
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বিজ্ঞানীরা শত বছর ধরে যে প্রাণীটির খোঁজে ছিলেন, সেটিকে অবশেষে জীবন্ত অবস্থায় ক্যামেরায় ধরতে সক্ষম হলেন। এই অদ্ভুত, রহস্যময় প্রাণীর নাম কলসাল স্কুইড (Colossal Squid)। বহু আগে থেকেই এর অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা ছিল, কিন্তু এবারই প্রথমবার এই প্রাণীকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা গেল।
নতুন এই আবিষ্কারটি সম্ভব হয়েছে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউট-এর গবেষণা জাহাজ ফলকর থেকে পরিচালিত একটি অভিযানের মাধ্যমে। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার গভীরে একটি রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল বা রোবট সাবমেরিন বস্টিতয়ানের ক্যামেরায় ধারণ করে এই বিরল স্কুইডের ভিডিও।
তবে এটাপূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইড নয় – একটি শিশু স্কুইড। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার বা প্রায় ১২ ইঞ্চি। ছোট্ট এই স্কুইডটি ধীরে ধীরে পানির গভীর অন্ধকারে সাঁতার কাটছিল, তার স্বচ্ছ দেহ এবং ছোট ছোট টেন্টাকলগুলো যেন এক অপার্থিব দৃশ্য।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-এর স্কুইড গবেষক ক্যাট বোলস্টাড বলেন, “একটি জীবন্ত শিশু কলসাল স্কুইডকে তার স্বাভাবিক পরিবেশে প্রথমবার দেখে আমরা রোমাঞ্চিত। ওরা তো জানেই না যে মানুষ বলে কিছু আছে!” তিনি আরও জানান, বিগত শত বছর ধরে আমরা এই প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেতাম তিমি বা সামুদ্রিক পাখির পেটে পড়ে থাকা টুকরো অংশ থেকে।
এই প্রাণীটিকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অমেরুদণ্ডী প্রাণী। পূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইডের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার (প্রায় ৪৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে –একটি বড় ট্রাকের সমান! ওজন হয় প্রায় ৫০০ কেজি, এবং এদের চোখ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় – প্রায় ২৭ সেন্টিমিটার বা ফুটবল ।
এরা মূলত দক্ষিণ মহাসাগরের বরফঠাসা গভীর পানিতে বসবাস করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরও গভীরে চলে যায়। ছোট স্কুইডদের পাওয়া যায় প্রায় ৫০০ মিটার গভীরতায়, মাঝবয়সীরা থাকে ৫০০ থেকে ২০০০ মিটার গভীরে, আর প্রাপ্তবয়স্করা থাকে আরও নিচে, যেখানে আলো পৌঁছায় না বললেই চলে।
কলসাল স্কুইডকে প্রথম আবিষ্কারের ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয়। ১৯২৪-২৫ সালের শীতকালে একটি স্পার্ম হোয়েলের পেটে দুটো স্কুইডের বাহু পাওয়া যায় – তখনই বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন এটি নতুন প্রজাতির কোনো বিশাল স্কুইড হতে পারে। এরপর শত বছর কেটে গেলেও খুব কমই এদের চোখে দেখা গেছে।
২০০৭ সালে প্রথম একটি পূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইড ধরা পড়ে এক মাছ ধরার জাহাজে, কিন্তু তখনও কোনো ভিডিও ছিল না। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২টি পূর্ণাঙ্গ দেহবিশিষ্ট স্কুইড পাওয়া গিয়েছে – এবং এর অর্ধেকই শিশু স্কুইড।
তবে এবার প্রথমবার একটি জীবন্ত কলসাল স্কুইডকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা গেল । অবসান ১০০ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার।
এই অভিযানই প্রথম নয়। এর আগেও, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে একই জাহাজ থেকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল আরেকটি রহস্যময় স্কুইড – যার নাম গ্লেসিয়াল গ্লাস স্কুইড এটিও আগে কখনো জীবন্ত অবস্থায় বা প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা যায়নি।
শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জ্যোতিকা ভিরমানি বলেন, “দুটি ভিন্ন স্কুইড প্রজাতিকে পরপর অভিযানে প্রথমবার দেখা পাওয়ার ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় – সমুদ্র এখনো রহস্যে ভরপুর।”
সমুদ্রের গভীর অংশ এখনো মানুষের কাছে অনেকটাই অজানা। আমরা যতটুকু জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি এখনও অন্ধকারে ঢাকা। এই কলসাল স্কুইডের মতো প্রাণীরা সেই অজানা জগতের একেকটি প্রতিনিধি।
রহস্যময় এই প্রাণীর আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনচক্র – সবই এখনো রহস্যে ঘেরা। তবে এই ভিডিও আমাদের নতুন দরজা খুলে দিলো। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেক বিস্ময়কর তথ্য জানব এই বিশাল অমেরুদণ্ডী প্রাণী সম্পর্কে।
একটি শিশুকলসাল স্কুইডের এই ছোট্ট উপস্থিতি যেন অনেক বড় একটা গল্পের সূচনা। যাদের এতদিন শুধু কল্পনার জগতে কাগজে কলমে আঁকা হতো, তারা আজ বাস্তবের জগতে ধরা দিচ্ছে। সমুদ্রের গভীরে এখনো কত রহস্য লুকিয়ে আছে, তার একটা ছোট্ট ঝলক মাত্র পেলাম আমরা।

বিজ্ঞানীরা শত বছর ধরে যে প্রাণীটির খোঁজে ছিলেন, সেটিকে অবশেষে জীবন্ত অবস্থায় ক্যামেরায় ধরতে সক্ষম হলেন। এই অদ্ভুত, রহস্যময় প্রাণীর নাম কলসাল স্কুইড (Colossal Squid)। বহু আগে থেকেই এর অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা ছিল, কিন্তু এবারই প্রথমবার এই প্রাণীকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা গেল।
নতুন এই আবিষ্কারটি সম্ভব হয়েছে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউট-এর গবেষণা জাহাজ ফলকর থেকে পরিচালিত একটি অভিযানের মাধ্যমে। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার গভীরে একটি রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল বা রোবট সাবমেরিন বস্টিতয়ানের ক্যামেরায় ধারণ করে এই বিরল স্কুইডের ভিডিও।
তবে এটাপূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইড নয় – একটি শিশু স্কুইড। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার বা প্রায় ১২ ইঞ্চি। ছোট্ট এই স্কুইডটি ধীরে ধীরে পানির গভীর অন্ধকারে সাঁতার কাটছিল, তার স্বচ্ছ দেহ এবং ছোট ছোট টেন্টাকলগুলো যেন এক অপার্থিব দৃশ্য।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-এর স্কুইড গবেষক ক্যাট বোলস্টাড বলেন, “একটি জীবন্ত শিশু কলসাল স্কুইডকে তার স্বাভাবিক পরিবেশে প্রথমবার দেখে আমরা রোমাঞ্চিত। ওরা তো জানেই না যে মানুষ বলে কিছু আছে!” তিনি আরও জানান, বিগত শত বছর ধরে আমরা এই প্রাণীর অস্তিত্ব টের পেতাম তিমি বা সামুদ্রিক পাখির পেটে পড়ে থাকা টুকরো অংশ থেকে।
এই প্রাণীটিকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অমেরুদণ্ডী প্রাণী। পূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইডের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার (প্রায় ৪৬ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে –একটি বড় ট্রাকের সমান! ওজন হয় প্রায় ৫০০ কেজি, এবং এদের চোখ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় – প্রায় ২৭ সেন্টিমিটার বা ফুটবল ।
এরা মূলত দক্ষিণ মহাসাগরের বরফঠাসা গভীর পানিতে বসবাস করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরও গভীরে চলে যায়। ছোট স্কুইডদের পাওয়া যায় প্রায় ৫০০ মিটার গভীরতায়, মাঝবয়সীরা থাকে ৫০০ থেকে ২০০০ মিটার গভীরে, আর প্রাপ্তবয়স্করা থাকে আরও নিচে, যেখানে আলো পৌঁছায় না বললেই চলে।
কলসাল স্কুইডকে প্রথম আবিষ্কারের ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয়। ১৯২৪-২৫ সালের শীতকালে একটি স্পার্ম হোয়েলের পেটে দুটো স্কুইডের বাহু পাওয়া যায় – তখনই বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন এটি নতুন প্রজাতির কোনো বিশাল স্কুইড হতে পারে। এরপর শত বছর কেটে গেলেও খুব কমই এদের চোখে দেখা গেছে।
২০০৭ সালে প্রথম একটি পূর্ণবয়স্ক কলসাল স্কুইড ধরা পড়ে এক মাছ ধরার জাহাজে, কিন্তু তখনও কোনো ভিডিও ছিল না। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২টি পূর্ণাঙ্গ দেহবিশিষ্ট স্কুইড পাওয়া গিয়েছে – এবং এর অর্ধেকই শিশু স্কুইড।
তবে এবার প্রথমবার একটি জীবন্ত কলসাল স্কুইডকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা গেল । অবসান ১০০ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার।
এই অভিযানই প্রথম নয়। এর আগেও, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে একই জাহাজ থেকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল আরেকটি রহস্যময় স্কুইড – যার নাম গ্লেসিয়াল গ্লাস স্কুইড এটিও আগে কখনো জীবন্ত অবস্থায় বা প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা যায়নি।
শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জ্যোতিকা ভিরমানি বলেন, “দুটি ভিন্ন স্কুইড প্রজাতিকে পরপর অভিযানে প্রথমবার দেখা পাওয়ার ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় – সমুদ্র এখনো রহস্যে ভরপুর।”
সমুদ্রের গভীর অংশ এখনো মানুষের কাছে অনেকটাই অজানা। আমরা যতটুকু জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি এখনও অন্ধকারে ঢাকা। এই কলসাল স্কুইডের মতো প্রাণীরা সেই অজানা জগতের একেকটি প্রতিনিধি।
রহস্যময় এই প্রাণীর আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনচক্র – সবই এখনো রহস্যে ঘেরা। তবে এই ভিডিও আমাদের নতুন দরজা খুলে দিলো। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেক বিস্ময়কর তথ্য জানব এই বিশাল অমেরুদণ্ডী প্রাণী সম্পর্কে।
একটি শিশুকলসাল স্কুইডের এই ছোট্ট উপস্থিতি যেন অনেক বড় একটা গল্পের সূচনা। যাদের এতদিন শুধু কল্পনার জগতে কাগজে কলমে আঁকা হতো, তারা আজ বাস্তবের জগতে ধরা দিচ্ছে। সমুদ্রের গভীরে এখনো কত রহস্য লুকিয়ে আছে, তার একটা ছোট্ট ঝলক মাত্র পেলাম আমরা।

বৈঠকে উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
১২ ঘণ্টা আগে
নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ২০ হাজার ৫৬২ জন পুরুষ ভোটার এবং ২ হাজার ১৯১ জন নারী ভোটার। দেশভিত্তিক নিবন্ধনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ হাজার ১৭৭ জন, জাপানে ৫ হাজার ৩৩২ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ হাজার ২৬৯ জন, চীনে ১ হাজার ৪৬২ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১ হাজার ৩৭০ জন ভোটার রয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এর আগে, এদিন ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে যমুনা ভবনের পেছনে এক্সটেনশনে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের উৎস বা কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
১৪ ঘণ্টা আগে