স্বাস্থ্য

শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে: কী করণীয় অভিভাবকদের?

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ডায়াবেটিস শব্দটা শুনলেই আমরা ভাবি, এটা বুঝি শুধু বয়স্কদের রোগ। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন ছোট ছোট শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাই অভিভাবকদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।

ডায়াবেটিস কী?

ডায়াবেটিস হলো এমন একটি রোগ, যেখানে শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোনের ঘাটতির কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। শিশুদের মধ্যে টাইপ-১ এবং টাইপ-২ এই দুই ধরনের ডায়াবেটিসই দেখা যাচ্ছে, যা আগে এত বেশি ছিল না।

শিশুদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ

ছোট শিশুরা শরীরের সমস্যা নিজেরা বুঝিয়ে বলতে পারে না। তাই বাবা-মাকে শিশুর আচরণ দেখে বুঝতে হবে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হোন:

  • অনেক বেশি পিপাসা পাওয়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করা
  • সবসময় খিদে লাগা
  • হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া
  • শিশু ক্লান্ত হয়ে পড়ছে বারবার
  • শ্বাস থেকে মিষ্টি গন্ধ আসা
  • মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন ইস্ট ইনফেকশন

টাইপ-১ ডায়াবেটিস

টাইপ-১ ডায়াবেটিস সাধারণত ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এটি একটি অটোইমিউন রোগ। শরীর নিজের ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

চিকিৎসা কী?

  • নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত মাপতে হয়
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং খেলাধুলা করা দরকার

টাইপ-২ ডায়াবেটিস

আগে শুধু বড়দের মধ্যে এই টাইপটি দেখা যেত, এখন ১৫-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ হলো খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মোবাইল-ট্যাবে আসক্তি আর শরীরচর্চার অভাব।

চিকিৎসা কী?

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
  • নিয়মিত রক্তের শর্করা পরীক্ষা
  • শরীরচর্চা ও খেলাধুলার অভ্যাস করানো

নবজাতকের ডায়েবেটিস

কখনো কখনো শিশু গর্ভেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। একে বলে নিওনেটাল ডায়াবেটিস। এটি সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। পিতা-মাতার ডায়াবেটিস থাকলে এই ঝুঁকি বাড়ে।

চিকিৎসা কী?

  • ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • জেনেটিক কাউন্সেলিং করানো
  • কীভাবে শিশুকে সুরক্ষা দেবেন?
  • ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভালো না হলেও, কিছু নিয়ম মানলে শিশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

করণীয়

সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, প্যাকেটজাত ও অতিমিষ্ট খাবার থেকে দূরে রাখুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, শিশুকে খেলাধুলা, হাঁটা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করান।

সক্রিয় জীবনযাপন নিশ্চিত করুন, মোবাইল, ট্যাব বা টিভির আসক্তি কমিয়ে শিশুকে বাইরে খেলতে উৎসাহিত করুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

শিশুর আচরণে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।

সূত্র: ডব্লুএইচও

ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

উত্তরে চীন, দক্ষিণে আমেরিকা— ইয়াহিয়ার ‘গালগপ্পো’ আর রূপসায় স্বজনের গোলা!

ঢাকার চারপাশের বৃত্ত বা ‘লুপ’ ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে যায়। উত্তরে ময়মনসিংহ মুক্ত হওয়ার পর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে ছুটছে, পূর্বে মেঘনা পাড় হয়ে নরসিংদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিশাল বহর, আর পশ্চিমে পদ্মার পাড়ে চলছে তুমুল প্রস্তুতি।

৪ দিন আগে

আকাশ থেকে নামল ‘উড়ন্ত যম’— পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না পাকিস্তানি বাহিনীর

পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের তথাকথিত ‘ফোর্ট্রেস ডিফেন্স’ বা দুর্গ রক্ষা কৌশলের ওপর যে অন্ধ বিশ্বাস রেখেছিল, তা তখন অন্ধের মতোই তাদের হোঁচট খাওয়াচ্ছিল। একদিকে বিশ্বরাজনীতির দাবার বোর্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌ বহর পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাপ ছড়াচ্ছিল, অন্যদিকে বাংলার

৫ দিন আগে

বিনয়-বাদল-দীনেশ— অগ্নিযুগের ৩ বিপ্লবী

তিন যুবকের হাতে মোটেও সময় নেই। বেচারা সিম্পসন! আজীবন নিরীহ-নিরপরাধ ভারতীয়দের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে এসেছেন। এ জন্য কতকিছু চিন্তা করে নির্যাতনের উপায় বের করতে হয়েছে। সেই মানুষটি নিজের শেষ সময়ে বিন্দুমাত্র ভাবনার সময়ও পেলেন না। তার দিকে তাক করা তিনটি রিভলবার থেকে ছয়টি বুলেট সিম্পসনের শরীর ভেদ করে

৬ দিন আগে

মেঘনা পাড়ে মৃত্যুফাঁদ— রাও ফরমান আলীর পালানোর আকুতি

তবে এ দিনের সবচেয়ে বড় ‘নাটক’ মঞ্চস্থ হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে নয়, বরং ঢাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে এবং নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। খোদ পাকিস্তানি জেনারেল রাও ফরমান আলী রাওয়ালপিন্ডির অনুমতি ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, ‘খেলা শেষ’।

৬ দিন আগে