ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রতিদিন আমরা কত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকি—কাজ, পড়াশোনা, মোবাইল, টেলিভিশন, কিংবা নানা সামাজিক মাধ্যম। কিন্তু এতসব কিছুর মাঝেও এক জগৎ রয়েছে, যেখানে ঢুকলেই আমরা হারিয়ে যেতে পারি অন্য এক দুনিয়ায়। এই জগতটি হলো—বইয়ের জগৎ। আর এই বইকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর পালিত হয় “বিশ্ব বই দিবস”।
বই দিবস কেন পালিত হয়?
বই শুধু একটা ছাপা কাগজ নয়। বইয়ের মলাট খুললে আমাদের সামনে খুলে যায় জ্ঞানের দরজা, কল্পনার পথ, ইতিহাসের গলি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তাই এই বইকে সম্মান জানানো, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য ইউনেস্কো ১৯৯৫ সালে একটি বিশেষ দিনকে “বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিবসটি।
২৩ এপ্রিল—এই দিনটির বিশেষত্ব কী?
২৩ এপ্রিল শুধু একটি তারিখ নয়, এটি অনেক বিখ্যাত লেখকের মৃত্যুর বা জন্মদিন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়—উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, যিনি ইংরেজি সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তিনি ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। একই দিনে মৃত্যু হয় স্প্যানিশ ভাষার বিখ্যাত লেখক মিগুয়েল দে সেরভান্তেস-এরও। এছাড়া অন্যান্য অনেক সাহিত্যিকের সঙ্গেও এই দিনটির যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয় বিশ্ব বই দিবস হিসেবে।
বই দিবসের উদ্দেশ্য
আজকের দিনে, যখন স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট মানুষের জীবনে দখল নিয়েছে, তখন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। এই অভ্যাস আবার জাগিয়ে তুলতেই এই দিবসটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
একজন মানুষ সারাজীবনে অনেক বন্ধু পায়, আবার হারায়ও। কিন্তু বই এমন এক বন্ধু, যাকে একবার পেলে সে কখনও ছেড়ে যায় না। মন খারাপ হলে, একঘেয়ে লাগলে, কিংবা কিছু শিখতে চাইলে—বই সব সময় পাশে থাকে। বই আমাদের নিয়ে যায় মিশরের পিরামিডে, আবার হাজির করে মধ্যযুগের কোনো রাজপ্রাসাদে। কখনও আমরা উড়ে যাই মহাকাশে, আবার কখনও ডুবে যাই সমুদ্রতলে। এই অভিজ্ঞতা কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র দিতে পারে না।
বই দিবস বিভিন্ন দেশে কীভাবে পালিত হয়?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি নানা রকমভাবে উদ্যাপন করা হয়। যেমন—
স্পেনে এই দিনটি "ডিয়াডা দে সেন্ট জর্ডি" নামে পরিচিত, যেখানে ছেলেরা মেয়েদের গোলাপ দেয়, আর মেয়েরা ছেলেদের বই উপহার দেয়। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বিশ্ব বই দিবস পালিত হয় মার্চ মাসে, তবে উদ্দেশ্য একই—শিশুদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও গ্রন্থাগারে বইমেলা, আলোচনা সভা, বই পড়ার প্রতিযোগিতা এবং লেখক-পাঠক সংলাপের আয়োজন করা হয়।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল হলেও বইয়ের গুরুত্ব কখনোই কমে যায়নি। বরং এখন বই পাওয়া আরও সহজ হয়েছে—ইবুক, অডিওবুক, পিডিএফ, কিণ্ডল ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম এসেছে। কিন্তু কাগজে ছাপা বইয়ের গন্ধ, তার পাতায় হাত বোলানো, কিংবা রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার মজাটাই আলাদা।
একটি ভালো বই শুধু আমাদের জ্ঞান দেয় না, আমাদের মননশীলতা, কল্পনাশক্তি ও চিন্তার জগৎকে আরও বিস্তৃত করে। তাই একটি বই মানে শুধু কাগজের ওপর ছাপা কিছু অক্ষর নয়, বরং এটা হলো এক জীবন্ত সঙ্গী।
শিশুদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে যা করবেন—
বিশ্ব বই দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞা করতে পারি—আমরা আরও বেশি বই পড়ব, অন্যদের বই পড়তে উৎসাহিত করব এবং জ্ঞানের এই অমূল্য ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করব।
প্রতিদিন আমরা কত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকি—কাজ, পড়াশোনা, মোবাইল, টেলিভিশন, কিংবা নানা সামাজিক মাধ্যম। কিন্তু এতসব কিছুর মাঝেও এক জগৎ রয়েছে, যেখানে ঢুকলেই আমরা হারিয়ে যেতে পারি অন্য এক দুনিয়ায়। এই জগতটি হলো—বইয়ের জগৎ। আর এই বইকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতি বছর পালিত হয় “বিশ্ব বই দিবস”।
বই দিবস কেন পালিত হয়?
বই শুধু একটা ছাপা কাগজ নয়। বইয়ের মলাট খুললে আমাদের সামনে খুলে যায় জ্ঞানের দরজা, কল্পনার পথ, ইতিহাসের গলি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তাই এই বইকে সম্মান জানানো, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য ইউনেস্কো ১৯৯৫ সালে একটি বিশেষ দিনকে “বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিবসটি।
২৩ এপ্রিল—এই দিনটির বিশেষত্ব কী?
২৩ এপ্রিল শুধু একটি তারিখ নয়, এটি অনেক বিখ্যাত লেখকের মৃত্যুর বা জন্মদিন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়—উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, যিনি ইংরেজি সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তিনি ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। একই দিনে মৃত্যু হয় স্প্যানিশ ভাষার বিখ্যাত লেখক মিগুয়েল দে সেরভান্তেস-এরও। এছাড়া অন্যান্য অনেক সাহিত্যিকের সঙ্গেও এই দিনটির যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয় বিশ্ব বই দিবস হিসেবে।
বই দিবসের উদ্দেশ্য
আজকের দিনে, যখন স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট মানুষের জীবনে দখল নিয়েছে, তখন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। এই অভ্যাস আবার জাগিয়ে তুলতেই এই দিবসটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
একজন মানুষ সারাজীবনে অনেক বন্ধু পায়, আবার হারায়ও। কিন্তু বই এমন এক বন্ধু, যাকে একবার পেলে সে কখনও ছেড়ে যায় না। মন খারাপ হলে, একঘেয়ে লাগলে, কিংবা কিছু শিখতে চাইলে—বই সব সময় পাশে থাকে। বই আমাদের নিয়ে যায় মিশরের পিরামিডে, আবার হাজির করে মধ্যযুগের কোনো রাজপ্রাসাদে। কখনও আমরা উড়ে যাই মহাকাশে, আবার কখনও ডুবে যাই সমুদ্রতলে। এই অভিজ্ঞতা কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র দিতে পারে না।
বই দিবস বিভিন্ন দেশে কীভাবে পালিত হয়?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি নানা রকমভাবে উদ্যাপন করা হয়। যেমন—
স্পেনে এই দিনটি "ডিয়াডা দে সেন্ট জর্ডি" নামে পরিচিত, যেখানে ছেলেরা মেয়েদের গোলাপ দেয়, আর মেয়েরা ছেলেদের বই উপহার দেয়। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বিশ্ব বই দিবস পালিত হয় মার্চ মাসে, তবে উদ্দেশ্য একই—শিশুদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও গ্রন্থাগারে বইমেলা, আলোচনা সভা, বই পড়ার প্রতিযোগিতা এবং লেখক-পাঠক সংলাপের আয়োজন করা হয়।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল হলেও বইয়ের গুরুত্ব কখনোই কমে যায়নি। বরং এখন বই পাওয়া আরও সহজ হয়েছে—ইবুক, অডিওবুক, পিডিএফ, কিণ্ডল ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম এসেছে। কিন্তু কাগজে ছাপা বইয়ের গন্ধ, তার পাতায় হাত বোলানো, কিংবা রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার মজাটাই আলাদা।
একটি ভালো বই শুধু আমাদের জ্ঞান দেয় না, আমাদের মননশীলতা, কল্পনাশক্তি ও চিন্তার জগৎকে আরও বিস্তৃত করে। তাই একটি বই মানে শুধু কাগজের ওপর ছাপা কিছু অক্ষর নয়, বরং এটা হলো এক জীবন্ত সঙ্গী।
শিশুদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে যা করবেন—
বিশ্ব বই দিবসে আমরা প্রতিজ্ঞা করতে পারি—আমরা আরও বেশি বই পড়ব, অন্যদের বই পড়তে উৎসাহিত করব এবং জ্ঞানের এই অমূল্য ভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করব।
বাংলা সাহিত্যের ভিত্তিতে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম হল সত্যজিৎ রায়। তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ অবলম্বনে ১৯৫৫ সালে যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন, তা কেবল বাংলা বা ভারতীয় চলচ্চিত্রের নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
৪ দিন আগেমীর জাফর, নবাবের সেনাপতি, ব্রিটিশদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করেন এবং যুদ্ধের সময় তার বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রাখেন। এই বিশ্বাসঘাতকতা নবাবের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪ দিন আগেগ্যাস্ট্রিকের মূল কারণ হলো পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হওয়া। এই অ্যাসিড আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু যখন এটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তৈরি হয় বা পাকস্থলীর দেওয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে, তখনই শুরু হয় সমস্যা।
৪ দিন আগেনারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার এখনও পুরুষদের তুলনায় অনেক কম, এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে তাঁদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে।
৪ দিন আগে