
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

পাবনার ঈশ্বরদীতে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পালটাপালটি বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলেই এ সংঘর্ষকে তাদের ওপর অন্য দলের হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। দুই দলই প্রতিপক্ষ দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ পালটাপালটি বিবৃতি দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বিবৃতি দিয়েছেন।
এ দিন বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় পাবনা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবু তালেব মন্ডলসহ দুই দলের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে ‘নির্বাচনি প্রচারের সময় দলের নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনতার ওপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর অস্ত্রধারী কর্মীদের পরিকল্পিত হামলা’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল স্বয়ং এ আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রুহুল কবির রিজভী বিবৃতিতে বলেন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে। অযৌক্তিক দাবি দাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখান করায় মরিয়া এই দলটি (জামায়াত) এখন সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, লাখো-কোটি সমর্থকের দল বিএনপির সংযম ও ঔদার্যকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না। শত উসকানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কারণ বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এদিকে এ ঘটনাকে বিএনপির হামলা উল্লেখ করে জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্বরোচিত হামলায় আবু তালেব মণ্ডলসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার (আবু তালেব মণ্ডল) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, যা একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি পরিবেশকে নস্যাৎ করার প্রকাশ্য অপচেষ্টা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে বলেন, একদিন আগে একই এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের ওপর বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার পর আজকের এই সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা একটি ভয়াবহ সহিংস পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনি মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সব নেতাকর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং তাদের পাশে থাকার জন্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।
‘প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশের প্রতি সরাসরি হুমকি’ উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

পাবনার ঈশ্বরদীতে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পালটাপালটি বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলেই এ সংঘর্ষকে তাদের ওপর অন্য দলের হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। দুই দলই প্রতিপক্ষ দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ পালটাপালটি বিবৃতি দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বিবৃতি দিয়েছেন।
এ দিন বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় পাবনা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবু তালেব মন্ডলসহ দুই দলের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে ‘নির্বাচনি প্রচারের সময় দলের নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনতার ওপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর অস্ত্রধারী কর্মীদের পরিকল্পিত হামলা’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল স্বয়ং এ আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রুহুল কবির রিজভী বিবৃতিতে বলেন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে। অযৌক্তিক দাবি দাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখান করায় মরিয়া এই দলটি (জামায়াত) এখন সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, লাখো-কোটি সমর্থকের দল বিএনপির সংযম ও ঔদার্যকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না। শত উসকানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কারণ বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এদিকে এ ঘটনাকে বিএনপির হামলা উল্লেখ করে জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্বরোচিত হামলায় আবু তালেব মণ্ডলসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার (আবু তালেব মণ্ডল) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, যা একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি পরিবেশকে নস্যাৎ করার প্রকাশ্য অপচেষ্টা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে বলেন, একদিন আগে একই এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের ওপর বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার পর আজকের এই সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা একটি ভয়াবহ সহিংস পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনি মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সব নেতাকর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং তাদের পাশে থাকার জন্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।
‘প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশের প্রতি সরাসরি হুমকি’ উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এর আগে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।
৭ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধি দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সাথে। কিন্তু এখন খুনীকে ধরতে পারে না। ডিপস্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। ৭১ সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিলো, এখনও চলছে। কাল উৎসব নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করবো।’
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না; তাদের যেহেতু আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলেদেশেও ভারতের সেপারেটিস্টদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।’
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক-আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভু
১১ ঘণ্টা আগে