ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত, ক্ষোভে উত্তাল ঢাবি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫০
ডাকসু ভবন। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের এ আদেশের খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন এ নির্বাচনের প্রার্থীসহ ভোটার ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোনোভাবেই ডাকসু নির্বাচন বন্ধ হতে দেবেন না বলে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটে’র প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে রিটটি করেছিলেন বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম।

রিট আবেদনে ডাকসুর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় জিএস পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়া কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

আসন্ন নির্বাচনে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার অংশটুকুর কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

এ দিন শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ২০২০ সাল থেকে এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০২০ সাল থেকে তিনি শিবিরের কোন কোন পদে ছিলেন সেগুলো তিনি তুলে ধরেন। তিনি দেখানোর চেষ্টা করেন, এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

এর পালটা জবাব দিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী। তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে শোনান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাদের আত্মপ্রকাশ ঘটল। তিনি বলতে চেয়েছেন, ঢাবি ছাত্রশিবিরের কমিটি ৫ আগস্টে আগে প্রকাশিত হয়নি। গুপ্ত রাজনীতের কারণেই এমনটা ঘটেছে।

আদালত পরে শুনানি নিয়ে নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। পাশাপাশি নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও স্থগিত করেন।

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের দুই মাসের স্থগিতাদেশের খবরে ঢাবি ক্যাম্পাস বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে৷ ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীসহ শিক্ষার্থীরা যেকোনো মূল্যে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।

তফসিল অনুযায়ী, ডাকসুসহ হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগমী ৯ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে এ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, জমা, প্রার্থী যাচাই~বাছাইসহ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

এরপর গত ২৬ আগস্ট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা৷ ১০টি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা লড়াই করছেন এ নির্বাচনে। ২৮টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন, যা সবশেষ ডাকসু নির্বাচনের দ্বিগুণের বেশি।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

কমিশন নতজানু হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মঈন খান

মঈন খান বলেন, প্রার্থীরা অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে তা স্পষ্ট আচরণবিধিতে নেই। নিয়মকানুন না বাড়িয়ে প্রার্থী এবং ভোটারদের মোটিভেট করার আহ্বান জানিয়েছি। তবে সব ধরনের নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

১০ ঘণ্টা আগে

গণভোট-সংসদ নির্বাচন নিয়ে জোনায়েদ সাকির প্রস্তাব

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন, গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের বুথ আলাদা হওয়া দরকার। একই স্থানে হলেও বুথ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী পৃথক থাকলে অনিয়মের ঝুঁকি কমবে।

১০ ঘণ্টা আগে

'দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে না চাইলে গণতন্ত্রে ফেরার বিকল্প নেই'

তিনি বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী সংগঠন নয়, বরং একটি মুক্ত, স্বাধীনচেতা গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বিধায় এই উদ্দেশ্য পূরণে সারাজীবন লড়াই করছে। দেশের মানুষও শত শত বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।

১১ ঘণ্টা আগে

লটারির মাধ্যমে 'ডিসি-এসপিদের' বদলির দাবি জামায়াতের

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এক মাসও হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, একজন ডিসি চলে গেলেন। সেটাও হঠাৎ করে। আবার এক সপ্তাহের মধ্যে অনেককে রদবদল করা হয়েছে। এটার পেছনে মনে হয় অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। তপশিল ঘোষণার পর প্রশাসনের সব ক্ষমতা ইসির হাতে আসে। সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং আস্থা রাখার মতো একটা উপায় হলো,

১২ ঘণ্টা আগে