
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

আওয়ামী লীগের শাসনামলকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবপূর্ব আরবের অন্ধকার যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আওয়ামী লীগের আমলে গড়ে তোলা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, গত সরকার আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সব ক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটি নমুনা। কীভাবে একটি দেশকে সব দিক থেকে ধ্বংস করা যায়, সব করেছে। একেবারে সামান্যতম যে মানবিক অধিকার, সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল সবাইকে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে তিনি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরের নৃশংসতার কথা যত শুনি, অবিশ্বাস্য লাগে। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদের সমাজ? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা নৃশংসতার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম কীভাবে এখানে নির্যাতন করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, বিনা কারণে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসা হতো। বিনা দোষে কতগুলো সাক্ষী হাজির করে তাদের বানিয়ে দেওয়া হতো জঙ্গি। এ রকম টর্চার সেল দেশ জুড়ে আছে বলেও আজকে শুনলাম।
আয়নাঘর তথা সরকারের এ রকম গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেলে ভুক্তভোগীর সংখ্যা কত ছিল— এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীর সংখ্যা আমার জানামতে প্রায় সাড়ে ১৭ শ। অজানা কত, সেটা তো আর জানি না। কেউ কেউ বলছেন এটা তিন হাজারেরও বেশি হতে পারে।

আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কথা শোনেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও আয়নাঘর আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ শুনলাম আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন দেশ জুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০টি, কেউ বলছে ৮০০টি আয়নাঘর আছে। এই সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না।
যেকোনো স্থানে আয়নাঘরের সন্ধান পেলেই সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। এসব নির্যাতন-নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিদেশি গণমাধ্যম কর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২-এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যরা।

আওয়ামী লীগের শাসনামলকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবপূর্ব আরবের অন্ধকার যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আওয়ামী লীগের আমলে গড়ে তোলা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, গত সরকার আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সব ক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটি নমুনা। কীভাবে একটি দেশকে সব দিক থেকে ধ্বংস করা যায়, সব করেছে। একেবারে সামান্যতম যে মানবিক অধিকার, সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল সবাইকে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে তিনি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরের নৃশংসতার কথা যত শুনি, অবিশ্বাস্য লাগে। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদের সমাজ? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা নৃশংসতার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম কীভাবে এখানে নির্যাতন করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, বিনা কারণে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসা হতো। বিনা দোষে কতগুলো সাক্ষী হাজির করে তাদের বানিয়ে দেওয়া হতো জঙ্গি। এ রকম টর্চার সেল দেশ জুড়ে আছে বলেও আজকে শুনলাম।
আয়নাঘর তথা সরকারের এ রকম গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেলে ভুক্তভোগীর সংখ্যা কত ছিল— এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীর সংখ্যা আমার জানামতে প্রায় সাড়ে ১৭ শ। অজানা কত, সেটা তো আর জানি না। কেউ কেউ বলছেন এটা তিন হাজারেরও বেশি হতে পারে।

আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কথা শোনেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও আয়নাঘর আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ শুনলাম আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন দেশ জুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০টি, কেউ বলছে ৮০০টি আয়নাঘর আছে। এই সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না।
যেকোনো স্থানে আয়নাঘরের সন্ধান পেলেই সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। এসব নির্যাতন-নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিদেশি গণমাধ্যম কর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২-এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এ সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।
১১ ঘণ্টা আগে
এর আগে দুপুরে শহরের নতুন বাজার বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপি ও বিজেপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
একইভাবে প্রেস টিমের প্রধান ড. সালেহ শিবলী, টিভি ও রেডিও টিমের প্রধান ড. মওদুদ হোসাইন আলমগীর পাভেল, বিএনপি গ্রাসরুটস নেটওয়ার্ক টিমের প্রধান ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক টিমের প্রধান এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, কনটেন্ট জেনারেশন টিমের প্রধান ড. সাইমুম পারভেজ এবং রিসার্চ ও মনিটরিং টি
১৬ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, আমরা আমাদের মেনিফেস্টোতে সেগুলো ঘোষণা করব। তবে এখনই মেনিফেস্টো প্রকাশ করছি না। আমরা ইলেকশন ঘোষণার আগে মেনিফেস্টোর কিছু প্রকাশ করব না। মিথ্যা কোনো আশ্বাস জাতিকে দেব না। আমাদের মেনিফেস্টোর সঙ্গে একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাও থাকবে।
১৬ ঘণ্টা আগে