প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একই দিনে রাজধানীতে বড় দুই সমাবেশ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে ছাত্রদলের সমাবেশ হবে শাহবাগ মোড়ে, এনসিপির সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে।
সমাবেশ দুটি ঘিরে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। তবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একই দিনে এমন বড় দুটি সমাবেশ কতটা নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ঢাকাবাসী।
কাছাকাছি অবস্থান ও সময়ে দুটি সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে তা সামাল দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে। দুটি সমাবেশ বিবেচনায় নিয়ে নগরবাসীকে চলাচলের জন্য কিছু ডাইভারশন বা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় ছাত্রদল ও বিকেল ৩টায় এনসিপির সমাবেশ শুরু হবে। ছাত্রদল বলছে, এটি হবে তাদের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। অন্যদিকে এনসিপি জানিয়েছে, তাদের সমাবেশ থেকে ‘নতুন বাংলাদেশে’র রূপরেখা হাজির করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারেই ৩ আগস্টের এই সমাবেশ আহ্বান করেছিল ছাত্রদল। সে অনুযায়ী পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতিও নিয়েছিল। পরে এনসিপিও এ দিন সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বছর আগে আজকের এই দিনেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক (বর্তমানে এনসিপি আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়েছিলেন। সে কারণে এনসিপিও তাদের সমাবেশের জন্য শহিদ মিনারকেই নির্বাচন করে।
জাতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে নানা ইস্যুতেই বিরোধ প্রকাশ্য। দুই দলের নেতারা বিবাদেও জড়িয়ে পড়েন মাঝে মাঝেই। তবে বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল শহিদ মিনারে সমাবেশ ইস্যুতে বড় ছাড় দেয়। এনসিপি অনুরোধ করলে ছাত্রদল তাদের সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে শাহবাগে নিয়ে যায়। এনসিপি নেতারা এ জন্য ছাত্রদলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে একে ইতিবাচক সম্প্রীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন অনেকে।
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রোববার শহিদ মিনারের সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা’ ঘোষণার কথা জানিয়েছে এনসিপি। শনিবার বাংলামোটরে দলীয় কার্যালয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই পদযাত্রায় আমরা দেশের নানা প্রান্তে গিয়েছি, মানুষের কথা শুনেছি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে আগামীকালের (রোববার) সমাবেশে।
নাহিদ বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকেই আমরা সরকার পতনের দাবি তুলেছিলাম। আমরা বারবার বলেছি— ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার রূপরেখা সম্পূর্ণ করব এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
শহিদ মিনারে কর্মসূচি থেকে সরে শাহবাগে নিয়ে যাওয়ায় ছাত্রদলকে ধন্যবাদ জানান এনসিপি আহ্বায়ক। একই দিনে দুটি দলের কর্মসূচি থাকায় রাজধানীতে যানজট হতে পারে উল্লেখ করে এনসিপির পক্ষ থেকে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন নাহিদ ইসলাম।
ছাত্রদল বলছে, তারা আগস্টের বর্ষপূর্তির এ সমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। এর জন্য সারা দেশের কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে তারা সমাবেশে হাজির করার বিষয়ে আশাবাদী। সারা দেশ থেকেই নেতাকর্মীদের আনার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে নেতাকর্মীরা আনতে ২০ বগির বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল বলছে, দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
ছাত্রদল বলছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দেওয়া হবে সমাবেশে। সংগঠনের সহসভাপতি ডা. আউয়াল বলেন, গত বছরের এই দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয়। এই দিনে হাসিনার পদত্যাগের ডাক আসে। এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হবে।
সমাবেশ সফল করতে ছাত্রদল নেতারা তো দফায় দফায় বৈঠক করেছেনই, এর মধ্যে বুধবার সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। বিএনপির অন্য নেতারাও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য ২৫৪ জনের সমন্বয়ে ৯০টি টিম গঠন করা হয়।
কর্মদিবসে রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশস্থল হওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। এটি বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রদল আগে থেকেই নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সহসভাপতি পদমর্যাদায় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। তারপরও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এ গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
সমাবেশে যেসব নেতাকর্মী অংশ নিতে আসবেন তাদের জন্য ছয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছে ছাত্রদল। এতে বলা হয়েছে, সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাওয়া না। প্রতিটি ইউনিটকে সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনকে চলাচলে সার্বিক সহায়তা করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে বহনকারী কোনো ইউনিটের গাড়ি কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়া যাবে না। সমাবেশ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে যেতে হবে।
এদিকে শাহবাগ-শহিদ মিনারের দুটি সমাবেশ ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে জুলাই জাগরণ শীর্ষক প্রদর্শনী। স্বাভাবিকভাবেই শাহবাগ, শহিদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। এ অবস্থায় বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল সম্ভব হবে না বিবেচনায় ডিএমপি ঢাকাবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে। সড়কগুলো হলো—
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়: সোনারগাঁও ক্রসিং বা বাংলামোটর ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং এ সোজা শাহবাগের দিকে না গিয়ে বামে মোড় নিয়ে হেয়ার রোড বা মিন্টো রোড হয়ে যাতায়াত করবে।
কাঁটাবন মোড়: সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হয়ে পশ্চিম দিক থেকে আসা যানবাহন কাঁটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত বা পলাশী হয়ে অথবা কাঁটাবন মোড় থেকে বামে মোড় নিয়ে সোনারগাঁও (হাতিরপুল) রোড হয়ে বাংলামোটর লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে।
মৎস্য ভবন মোড়: হাইকোর্ট বা কদম ফোয়ারা ক্রসিং হয়ে আসা যানবাহন মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হেয়ার রোড বা শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (মগবাজার রোড) হয়ে চলাচল করবে। কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহন মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলাচল করবে।
টিএসসি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং: নীলক্ষেত ক্রসিং বা দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে আসা যানবাহন টিএসটি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিংয়ে এসে শাহবাগের দিকে না গিয়ে দোয়েল চত্বর বা নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
শহিদ মিনারসংলগ্ন রাস্তা: শহিদ মিনারসংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথগুলো যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকাবাসী, বিশেষ করে এইচএসসি বা সমমান ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে রওয়ানা হতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একই দিনে রাজধানীতে বড় দুই সমাবেশ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে ছাত্রদলের সমাবেশ হবে শাহবাগ মোড়ে, এনসিপির সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে।
সমাবেশ দুটি ঘিরে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। তবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একই দিনে এমন বড় দুটি সমাবেশ কতটা নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ঢাকাবাসী।
কাছাকাছি অবস্থান ও সময়ে দুটি সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে তা সামাল দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে। দুটি সমাবেশ বিবেচনায় নিয়ে নগরবাসীকে চলাচলের জন্য কিছু ডাইভারশন বা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় ছাত্রদল ও বিকেল ৩টায় এনসিপির সমাবেশ শুরু হবে। ছাত্রদল বলছে, এটি হবে তাদের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। অন্যদিকে এনসিপি জানিয়েছে, তাদের সমাবেশ থেকে ‘নতুন বাংলাদেশে’র রূপরেখা হাজির করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারেই ৩ আগস্টের এই সমাবেশ আহ্বান করেছিল ছাত্রদল। সে অনুযায়ী পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতিও নিয়েছিল। পরে এনসিপিও এ দিন সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বছর আগে আজকের এই দিনেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক (বর্তমানে এনসিপি আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়েছিলেন। সে কারণে এনসিপিও তাদের সমাবেশের জন্য শহিদ মিনারকেই নির্বাচন করে।
জাতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে নানা ইস্যুতেই বিরোধ প্রকাশ্য। দুই দলের নেতারা বিবাদেও জড়িয়ে পড়েন মাঝে মাঝেই। তবে বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল শহিদ মিনারে সমাবেশ ইস্যুতে বড় ছাড় দেয়। এনসিপি অনুরোধ করলে ছাত্রদল তাদের সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে শাহবাগে নিয়ে যায়। এনসিপি নেতারা এ জন্য ছাত্রদলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে একে ইতিবাচক সম্প্রীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন অনেকে।
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রোববার শহিদ মিনারের সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা’ ঘোষণার কথা জানিয়েছে এনসিপি। শনিবার বাংলামোটরে দলীয় কার্যালয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই পদযাত্রায় আমরা দেশের নানা প্রান্তে গিয়েছি, মানুষের কথা শুনেছি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে আগামীকালের (রোববার) সমাবেশে।
নাহিদ বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকেই আমরা সরকার পতনের দাবি তুলেছিলাম। আমরা বারবার বলেছি— ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার রূপরেখা সম্পূর্ণ করব এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
শহিদ মিনারে কর্মসূচি থেকে সরে শাহবাগে নিয়ে যাওয়ায় ছাত্রদলকে ধন্যবাদ জানান এনসিপি আহ্বায়ক। একই দিনে দুটি দলের কর্মসূচি থাকায় রাজধানীতে যানজট হতে পারে উল্লেখ করে এনসিপির পক্ষ থেকে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন নাহিদ ইসলাম।
ছাত্রদল বলছে, তারা আগস্টের বর্ষপূর্তির এ সমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। এর জন্য সারা দেশের কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে তারা সমাবেশে হাজির করার বিষয়ে আশাবাদী। সারা দেশ থেকেই নেতাকর্মীদের আনার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে নেতাকর্মীরা আনতে ২০ বগির বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল বলছে, দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
ছাত্রদল বলছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দেওয়া হবে সমাবেশে। সংগঠনের সহসভাপতি ডা. আউয়াল বলেন, গত বছরের এই দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয়। এই দিনে হাসিনার পদত্যাগের ডাক আসে। এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হবে।
সমাবেশ সফল করতে ছাত্রদল নেতারা তো দফায় দফায় বৈঠক করেছেনই, এর মধ্যে বুধবার সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। বিএনপির অন্য নেতারাও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য ২৫৪ জনের সমন্বয়ে ৯০টি টিম গঠন করা হয়।
কর্মদিবসে রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশস্থল হওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। এটি বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রদল আগে থেকেই নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সহসভাপতি পদমর্যাদায় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। তারপরও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এ গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
সমাবেশে যেসব নেতাকর্মী অংশ নিতে আসবেন তাদের জন্য ছয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছে ছাত্রদল। এতে বলা হয়েছে, সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন বা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাওয়া না। প্রতিটি ইউনিটকে সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনকে চলাচলে সার্বিক সহায়তা করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে বহনকারী কোনো ইউনিটের গাড়ি কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়া যাবে না। সমাবেশ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে যেতে হবে।
এদিকে শাহবাগ-শহিদ মিনারের দুটি সমাবেশ ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে জুলাই জাগরণ শীর্ষক প্রদর্শনী। স্বাভাবিকভাবেই শাহবাগ, শহিদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। এ অবস্থায় বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল সম্ভব হবে না বিবেচনায় ডিএমপি ঢাকাবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে। সড়কগুলো হলো—
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়: সোনারগাঁও ক্রসিং বা বাংলামোটর ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং এ সোজা শাহবাগের দিকে না গিয়ে বামে মোড় নিয়ে হেয়ার রোড বা মিন্টো রোড হয়ে যাতায়াত করবে।
কাঁটাবন মোড়: সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হয়ে পশ্চিম দিক থেকে আসা যানবাহন কাঁটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত বা পলাশী হয়ে অথবা কাঁটাবন মোড় থেকে বামে মোড় নিয়ে সোনারগাঁও (হাতিরপুল) রোড হয়ে বাংলামোটর লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে।
মৎস্য ভবন মোড়: হাইকোর্ট বা কদম ফোয়ারা ক্রসিং হয়ে আসা যানবাহন মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হেয়ার রোড বা শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (মগবাজার রোড) হয়ে চলাচল করবে। কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা যানবাহন মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলাচল করবে।
টিএসসি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং: নীলক্ষেত ক্রসিং বা দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে আসা যানবাহন টিএসটি বা রাজু ভাস্কর্য ক্রসিংয়ে এসে শাহবাগের দিকে না গিয়ে দোয়েল চত্বর বা নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
শহিদ মিনারসংলগ্ন রাস্তা: শহিদ মিনারসংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথগুলো যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকাবাসী, বিশেষ করে এইচএসসি বা সমমান ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে রওয়ানা হতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, সপ্তম দিনে ডাকসুর বিভিন্ন পদে জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে ৪৪২ জন। এখন পর্যন্ত সাত দিনে ডাকসুতে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৬৫ জন এবং ১৮টি হল সংসদের জন্য মোট মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে এক হাজার ২২৬ জন।
১৫ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১৫ ঘণ্টা আগেডাকসুকে ভিপি পদে প্রার্থী সাদিক কায়েম শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। অন্যদিকে জিএস পদে প্রার্থী এস এম ফরহাদ শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি।
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদেক কায়েমকে ভিপি ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদকে জিএস করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
১৯ ঘণ্টা আগে