যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব। এবং আমি নিশ্চিত, আমরা খুব ভালো একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফররত প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এ কথা বলেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের জন্য নতুন হারে আমদানি শুল্ক ঘোষণা করেন। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি। আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী যে সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটি সমাধানের দিকে যেতে পারব, যেন উভয় পক্ষের জন্যই উইন-উইন সিচুয়েশন হয়।’

প্রেস সচিব দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এমন কিছু করব যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

এর আগে শফিকুল আলম বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার বাড়ানোর বিষয়ে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে। এসব শুল্ক আরও যুক্তিসঙ্গত করার উপায় খুঁজে বের করতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন।

প্রেস সচিব আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চলমান কার্যক্রম শুল্ক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-

বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসাল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় যা বলছে সরকার

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের পৃষ্ঠপোষক ভারত : হাসনাত

তিনি বলেন, ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই— যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এ দেশের সন্তানদের ওপর আস্থা রাখে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সেপারেটিস্টদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা

১৮ ঘণ্টা আগে

হাদি ইস্যুতে সিইসির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ জামায়াত আমির, চাইলেন ব্যাখ্যা

এর আগে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।

১৮ ঘণ্টা আগে

সিইসি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নাহিদ

বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধি দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সাথে। কিন্তু এখন খুনীকে ধরতে পারে না। ডিপস্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। ৭১ সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিলো, এখনও চলছে। কাল উৎসব নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করবো।’

১৮ ঘণ্টা আগে

‘আপনার-আমার মৃত্যু ইসির কাছে কেবল একটি সংখ্যা’

ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না; তাদের যেহেতু আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলেদেশেও ভারতের সেপারেটিস্টদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।’

১৯ ঘণ্টা আগে