
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি ও বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি জুলাই সনদ প্রণয়নে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ধরে রাখতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এ সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তিন দফা বাড়ানোর পর শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। গত ফেব্রুয়ারিতে এই কমিশন যাত্রা শুরু করে।
জনগণের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ, স্বৈরাচারের আগমন প্রতিরোধ এবং জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার প্রত্যাশা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, আশার কথা, আমরা নিজেরাই এ সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে।
‘এ কারণেই সব রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি,’— বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
ঐকমত্য কমিশনকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশের সব রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদেরও ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
জুলাই সনদকে সারা বিশ্বের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সামনে মহা চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
এর আগে গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন— সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই সংস্কার কমিশনগুলো যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে উঠে আসা সুপারিশ ও প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সহসভাপতি ছিলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবের আলোচনার পুরো প্রক্রিয়া মূলত তার নেতৃত্বেই হয়েছে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
শুরুতে ছয় মাস মেয়াদে এই কমিশন গঠন করা হলেও জুলাই সনদ প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় তিনবার এই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ৩১ অক্টোবর শেষ হয়েছে এই কমিশনের মেয়াদ।
এর মধ্যে প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে। গত ১৭ অক্টোবর এই সনদে সই করেছে ২৪টি রাজনৈতিক দল। একদিন পর আরও একটি দল এতে সই করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বামপন্থি সিপিবি-বাসদসহ আরও চারটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল এখনো এই সনদে সই করেনি।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঐকমত্য কমিশন। সনদ বাস্তবায়নের এই রূপরেখা নিয়ে অবশ্য এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা দেখা গেছে।

ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি ও বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি জুলাই সনদ প্রণয়নে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ধরে রাখতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এ সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তিন দফা বাড়ানোর পর শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। গত ফেব্রুয়ারিতে এই কমিশন যাত্রা শুরু করে।
জনগণের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ, স্বৈরাচারের আগমন প্রতিরোধ এবং জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার প্রত্যাশা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, আশার কথা, আমরা নিজেরাই এ সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে।
‘এ কারণেই সব রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি,’— বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
ঐকমত্য কমিশনকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশের সব রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদেরও ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
জুলাই সনদকে সারা বিশ্বের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সামনে মহা চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
এর আগে গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন— সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই সংস্কার কমিশনগুলো যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে উঠে আসা সুপারিশ ও প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সহসভাপতি ছিলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবের আলোচনার পুরো প্রক্রিয়া মূলত তার নেতৃত্বেই হয়েছে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
শুরুতে ছয় মাস মেয়াদে এই কমিশন গঠন করা হলেও জুলাই সনদ প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় তিনবার এই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ৩১ অক্টোবর শেষ হয়েছে এই কমিশনের মেয়াদ।
এর মধ্যে প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে। গত ১৭ অক্টোবর এই সনদে সই করেছে ২৪টি রাজনৈতিক দল। একদিন পর আরও একটি দল এতে সই করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বামপন্থি সিপিবি-বাসদসহ আরও চারটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল এখনো এই সনদে সই করেনি।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঐকমত্য কমিশন। সনদ বাস্তবায়নের এই রূপরেখা নিয়ে অবশ্য এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা দেখা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া বলেছেন, দেশে পতিত স্বৈরাচার ও নব্য স্বৈরাচাররা মিলে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
ড. মোশাররফ আরও বলেন, “যদি ভোটের হারে সংসদ সদস্য নির্ধারিত হয় এবং কোনো দল ৪০ শতাংশ ভোট পেলেও তাদের আসন হয় মাত্র ১২০টি, তাহলে তো সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না।
১১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, জাতীয় ঐক্য কমিশন প্রণীত জুলাই সনদ এখন নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। দলটির মতে, কথিত ঐক্যমত্য কমিশনের প্রণীত এই দলিল প্রতারণাপূর্ণ ও চাতুর্যমিশ্রিত, যা বর্তমান জাতীয় সংকট আরও গভীর করেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, “সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করতে হবে, তারপরও ঘি আমাদের লাগবেই।
১৩ ঘণ্টা আগে