ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলেই জামায়াত সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো ধরনের শঙ্কা দেখছে না। বরং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তরিকভাবেই নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা না গেলে মার্চ থেকে প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন— এমন কথাও সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সময়ের সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি মির্জা ফখরুলের এই সাক্ষাৎকার নেন। সোমবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমটি।
জামায়াতের পিআর ও এনসিপির গণপরিষদসহ অন্যান্য দলের নানা দাবি-দাওয়ার মধ্যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে কি না— এমন প্রশ্ন রাখা হয় মির্জা ফখরুলের কাছে। তিনি জানান, এ ধরনের কোনো শঙ্কা কাজ করছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছে, নির্বাচন চাইছে। উৎসবের মতো ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।
জামায়াত-এনসিপির দাবির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর-টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝে, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই বাংলাদেশে ভোট হবে। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। আর এনসিপিকে আমরা কোনো শক্তি বলেই আর মনে করি না। এটা ঠিক, এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের কিছু নেই। ডাকলে লোকও আসে না।
বিএনপির কাছে এনসিপি ও জামায়াত সংসদ নির্বাচনে আসন নিয়ে সমঝোতা করতে চেয়েছে— এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এনসিপি কখনো আসন চায়নি। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া। তবে জামায়াত ৩০টি আসন চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি।
পিআর নিয়ে আন্দোলন বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেবো না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ তৈরির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।
বিএনপি আগে সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাত দেখনোর অভিযোগ করেছে। কিন্তু এখন বিএনপি সরকারের ওপর নির্বাচন নিয়ে আস্থা রাখছে।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিস্থিতি বদলেছে। দলের পক্ষে আমি তার (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে কথা বলেছি। দেখছি, এখন তিনি সর্বোচ্চ সিরিয়াস। আন্তরিকভাবেই চান ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ও সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন। তার আগের রাতে অধ্যাপক ইউনূসের বাসভবনে তার ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান ডিসেম্বরে ভোটের কথা বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে আপত্তি নেই। সব সহযোগিতা করবেন। তিনি চান, নির্বাচন করিয়ে বাহিনী এবার ব্যারাকে ফিরুক।
ওই আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূসও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে অব্যাহতি চান বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস আর চাপ নিতে পারছেন না। আমরাও আশ্বাস দিয়েছি, সরকার গঠনের পরও সংস্কার চলবে। স্বৈরাচারীদের বিচার প্রক্রিয়াও চলবে। তিনটি আলাদা বিষয়।
আগস্টে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরপর দুদিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ কোনো বার্তা দিয়েছিলেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয় মির্জা ফখরুলের কাছে।
এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওই দিন অধ্যাপক আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সে বার্তা সংক্ষিপ্ত, এক লাইনের। এক ধরনের ফাইনাল বেল বলতে পারেন। তিনি আমাদের জানিয়ে দেন, ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বাস ধরতে না পারলে তিনি মার্চ থেকে আর থাকবেন না। এমন পরিস্থিতি যেন না হয়, যেন ভোটটাই করা গেল না।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লিগ বা তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিক কোনো দল অংশ নিতে পারবে কি না— এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি, আওয়ামী লিগ ও তাদের শরিকরা সবাই, এমনকি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নিক। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক।
তিনি বলেন, এ জন্য অনেকে আমাকে ভারতের এজেন্ট, আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালাগাল দিচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অপকর্ম আমরাও কেন করব? হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে আমরাও তো প্রতিফল পাব। তবে মানুষ এত রক্ত দেখেছে, এত প্রাণহানি— তাদের মধ্যে আওয়ামি-বিরোধিতা রয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে— অধ্যাপক ইউনূসের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এই সময়ের সাংবাদিক জানতে চান, সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই?
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, এক দিকে সাগর। সুতরাং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হলো, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামি লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লিগের ভাষ্য মেনে বিএনপি আর জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতি তো এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থি একটি গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা চাই, ভারত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুক। আমরা কলকাতা যাব। কলেজ স্ট্রিট থেকে কত বই কিনেছি, আবার সেই সুযোগ পাব। সিনেমা, থিয়েটার দেখব। মানুষে মানুষে অবাধ যোগাযোগ হবে। ভিসা প্রক্রিয়া সাবলীল হবে। ভারতীয়রাও বাংলাদেশ স্বাগত। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলেই জামায়াত সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো ধরনের শঙ্কা দেখছে না। বরং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তরিকভাবেই নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা না গেলে মার্চ থেকে প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন— এমন কথাও সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সময়ের সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি মির্জা ফখরুলের এই সাক্ষাৎকার নেন। সোমবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমটি।
জামায়াতের পিআর ও এনসিপির গণপরিষদসহ অন্যান্য দলের নানা দাবি-দাওয়ার মধ্যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে কি না— এমন প্রশ্ন রাখা হয় মির্জা ফখরুলের কাছে। তিনি জানান, এ ধরনের কোনো শঙ্কা কাজ করছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছে, নির্বাচন চাইছে। উৎসবের মতো ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।
জামায়াত-এনসিপির দাবির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর-টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝে, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই বাংলাদেশে ভোট হবে। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। আর এনসিপিকে আমরা কোনো শক্তি বলেই আর মনে করি না। এটা ঠিক, এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের কিছু নেই। ডাকলে লোকও আসে না।
বিএনপির কাছে এনসিপি ও জামায়াত সংসদ নির্বাচনে আসন নিয়ে সমঝোতা করতে চেয়েছে— এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এনসিপি কখনো আসন চায়নি। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া। তবে জামায়াত ৩০টি আসন চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি।
পিআর নিয়ে আন্দোলন বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেবো না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ তৈরির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।
বিএনপি আগে সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাত দেখনোর অভিযোগ করেছে। কিন্তু এখন বিএনপি সরকারের ওপর নির্বাচন নিয়ে আস্থা রাখছে।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিস্থিতি বদলেছে। দলের পক্ষে আমি তার (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে কথা বলেছি। দেখছি, এখন তিনি সর্বোচ্চ সিরিয়াস। আন্তরিকভাবেই চান ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ও সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন। তার আগের রাতে অধ্যাপক ইউনূসের বাসভবনে তার ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান ডিসেম্বরে ভোটের কথা বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে আপত্তি নেই। সব সহযোগিতা করবেন। তিনি চান, নির্বাচন করিয়ে বাহিনী এবার ব্যারাকে ফিরুক।
ওই আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূসও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে অব্যাহতি চান বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস আর চাপ নিতে পারছেন না। আমরাও আশ্বাস দিয়েছি, সরকার গঠনের পরও সংস্কার চলবে। স্বৈরাচারীদের বিচার প্রক্রিয়াও চলবে। তিনটি আলাদা বিষয়।
আগস্টে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরপর দুদিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ কোনো বার্তা দিয়েছিলেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয় মির্জা ফখরুলের কাছে।
এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওই দিন অধ্যাপক আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সে বার্তা সংক্ষিপ্ত, এক লাইনের। এক ধরনের ফাইনাল বেল বলতে পারেন। তিনি আমাদের জানিয়ে দেন, ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বাস ধরতে না পারলে তিনি মার্চ থেকে আর থাকবেন না। এমন পরিস্থিতি যেন না হয়, যেন ভোটটাই করা গেল না।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লিগ বা তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিক কোনো দল অংশ নিতে পারবে কি না— এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি, আওয়ামী লিগ ও তাদের শরিকরা সবাই, এমনকি জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নিক। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক।
তিনি বলেন, এ জন্য অনেকে আমাকে ভারতের এজেন্ট, আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালাগাল দিচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার অপকর্ম আমরাও কেন করব? হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে আমরাও তো প্রতিফল পাব। তবে মানুষ এত রক্ত দেখেছে, এত প্রাণহানি— তাদের মধ্যে আওয়ামি-বিরোধিতা রয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে— অধ্যাপক ইউনূসের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এই সময়ের সাংবাদিক জানতে চান, সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই?
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, এক দিকে সাগর। সুতরাং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হলো, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামি লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লিগের ভাষ্য মেনে বিএনপি আর জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতি তো এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থি একটি গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা চাই, ভারত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুক। আমরা কলকাতা যাব। কলেজ স্ট্রিট থেকে কত বই কিনেছি, আবার সেই সুযোগ পাব। সিনেমা, থিয়েটার দেখব। মানুষে মানুষে অবাধ যোগাযোগ হবে। ভিসা প্রক্রিয়া সাবলীল হবে। ভারতীয়রাও বাংলাদেশ স্বাগত। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক।
এ সময় প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলে বলেন, গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় থাকার অভিযোগ নিয়ে কেন এখনো নির্বাচন কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে না? নির্বাচনের এতদিন পরও তাদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বলতে চাই, ক্রমাগত হামলা চলছে। কিন্তু সরকার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের ভেতরের লোকজন জড়িত, তারা তথ্য পাচার করে।
১৬ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছে বলে মির্জা ফখরুল যে দাবি করেছেন, তার প্রমাণ জাতির জামনে উপস্থাপন করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
১৬ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে লাঞ্ছিত ও তাসনিম জারাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
১৮ ঘণ্টা আগে