রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা’ পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এই সুবিধাটিকে ‘পোষ্য কোটা’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে নারাজ তারা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়ে আগামীকাল রবিবার ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের বাইরের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট ২০২৪-এ ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। একই চিত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও, যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, যাতায়াত এবং পেশাগত সুযোগের মতো মৌলিক সুবিধাগুলোর উন্নতি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের বিচারের দাবিতেও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এসব অতি জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।’
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত আসনের কোনো অংশ দাবি করছেন না জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সিটের বাইরে আমাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাচ্ছি। নির্ধারিত আসনের বাইরে গিয়ে আমাদের সন্তানদের ভর্তি সুবিধাকে আমরা পোষ্য কোটা বলতে রাজি নই। কোটা হচ্ছে নির্ধারিত আসনের একটা ভাগ। আমরা সেই আসনের ভাগ তো চাচ্ছি না।’
ভর্তি সংক্রান্ত দাবি ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আরও ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ; শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত আবাসিকতার ব্যবস্থা করা; পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন; শিক্ষকগণের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারের ব্যবস্থা ও গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ;
এছাড়াও, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা; কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজের পরিবেশ উন্নয়ন; ফ্যাসিবাদী, দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যদের মধ্যে ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, অফিসার সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে পোষ্য কোটা বাতিল করে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা’ পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এই সুবিধাটিকে ‘পোষ্য কোটা’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে নারাজ তারা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়ে আগামীকাল রবিবার ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের বাইরের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট ২০২৪-এ ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। একই চিত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও, যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, যাতায়াত এবং পেশাগত সুযোগের মতো মৌলিক সুবিধাগুলোর উন্নতি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের বিচারের দাবিতেও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এসব অতি জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।’
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত আসনের কোনো অংশ দাবি করছেন না জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সিটের বাইরে আমাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাচ্ছি। নির্ধারিত আসনের বাইরে গিয়ে আমাদের সন্তানদের ভর্তি সুবিধাকে আমরা পোষ্য কোটা বলতে রাজি নই। কোটা হচ্ছে নির্ধারিত আসনের একটা ভাগ। আমরা সেই আসনের ভাগ তো চাচ্ছি না।’
ভর্তি সংক্রান্ত দাবি ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আরও ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ; শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত আবাসিকতার ব্যবস্থা করা; পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন; শিক্ষকগণের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারের ব্যবস্থা ও গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ;
এছাড়াও, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা; কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজের পরিবেশ উন্নয়ন; ফ্যাসিবাদী, দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যদের মধ্যে ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, অফিসার সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে পোষ্য কোটা বাতিল করে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান আলেক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। তা না করে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের সমন্বয়ে কমিটি করে নড়াইলে পাঠিয়েছেন।
১ দিন আগেসংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহিদ রবিউল ইসলামের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এখন তার মৃত্যুর পরও একই অপবাদ পরিবারের ওপর মানসিক যন্ত্রণা হয়ে ফিরে আসছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
১ দিন আগেমনিরা শারমিন বলেন, সংবিধানের প্রথমেই লেখা আছে, সংবিধানের মালিক জনগণ। এ কথা বলে আপনাদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। কারণ সংবিধানে আপনার মালিকানা আপনি বুঝে পাননি। এই সংবিধান নাগরিক অধিকার রক্ষা করে না। চব্বিশের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছে, সংবিধান নিয়েই পালিয়েছে। এখন বাংলাদেশে কোনো সংবিধান নাই।
১ দিন আগেসেলিমা রহমান বলেন, ১৬ বছর ধরে একটি শকুনি লুটপাট ও গুম-খুন করে বাংলদেশটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।
১ দিন আগে