দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ধাপে ২৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি গুলোতে ব্যালটে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের লাইনে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে সাতসকালেই দেশের কিছু ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে একাত্তরের প্রতিবেদককে কেন্দ্রে ঢুকতে দেননি প্রিজাইডিং অফিসার। কারণ হিসেবে তিনি জানান, কেন্দ্রে সাংবাদিক ঢোকা মানা।
এর আগে গত আট মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে মোট ভোট পড়েছিল ৩৬ দশমিক এক শতাংশ। তাই দ্বিতীয় ধাপের ভোটে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ভোটার উপস্থিতি হবে বলে প্রত্যাশা করছে ইসি।
দ্বিতীয় ধাপে গত দুই এপ্রিল ১৬১ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১৫৬টিতে। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না।
বান্দরবানের রুমা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার ভোট এ ধাপে থাকলেও তা পিছিয়ে চতুর্থ ধাপে নেওয়া হয়েছে।
এ ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান এবং সমানসংখ্যক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চেষ্টা করছে।
ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এক হাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫২৮ জন।