শুল্ক ছাড়াই ভারত থেকে বেনাপোলে এলো ৯৫ মহিষ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৩: ৫৫

শুল্ক ছাড়াই ভারতের হরিয়ানা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মহিষের একটি বড় চালান আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে কয়েকটি ভারতীয় ট্রাকে বাছুরসহ ৯৫টি মুরবাহ জাতের মহিষ আসে বেনাপোল বন্দরে।

কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মহিষগুলো ঢাকার সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামারে নিজস্ব গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে। গবেষণার জন্য ভারতের হরিয়ানার মুরবাহ জাতের ৪৫টি মা মহিষ, ৫টি পুরুষ মহিষ ও ৪৫টি বাছুর আমদানির দরপত্র দেওয়া হয়। তবে আমদানিকৃত মহিষ কোনো অবস্থাই খামারের বাইরে অন্যত্র স্থানান্তর বা ব্যবহার অথবা বিক্রি করা যাবে না। ঢাকার তোপখানা এলাকার তামাম কর্পোরেশন নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মহিষগুলো ভারত থেকে আমদানি করে। ভারতের হরিয়ানার রপ্তানিকারক খাসা মুরাহ বাফেলো ফার্ম।

মহিষের চালানের আমদানি মূল্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় দাম পড়েছে এক কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিটি মহিষের দাম পড়েছে বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫৭০ টাকা। এসব মহিষের কোনো আমদানি শুল্ক নেই। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ছাড়পত্র নিতে হবে।

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু কুমার সাহা বলেন, মহিষগুলো সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মহিষগুলো ভালো পাওয়া গেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সরকারি শুল্ক আদায় করে যথাযথভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আশরাফ আলী মহিষ আমদানির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহিষগুলো বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে খালাস নিতে তিশা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুল্কায়ন করার পর খালাস দেওয়া হবে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নিয়ন্ত্রণে আসেনি আশুলিয়ার পোশাক কারখানার আগুন

তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

১০ ঘণ্টা আগে

খুনের মামলা রাজনৈতিক দেখিয়ে প্রত্যাহার চেষ্টার অভিযোগ

লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।

১১ ঘণ্টা আগে

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

সাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।

১২ ঘণ্টা আগে

নাটোরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

নাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

১৩ ঘণ্টা আগে