প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই সমাধান ও নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি এখনো পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র চলমান বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। দিবসটি সামনে রেখে সোমবার (৪ আগস্ট) তার এই বাণী গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি সব জুলাই যোদ্ধাকে, যারা আহত হয়েছেন, চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সব লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহিদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচনব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সব সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
জুলাই একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে বাণীতে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে বলেও উল্লেখ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাজারও শহিদের আত্মত্যাগ আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনো দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
আসুন, সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না— জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বাণীতে এমন আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই সমাধান ও নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি এখনো পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র চলমান বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। দিবসটি সামনে রেখে সোমবার (৪ আগস্ট) তার এই বাণী গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি সব জুলাই যোদ্ধাকে, যারা আহত হয়েছেন, চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সব লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহিদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচনব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সব সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
জুলাই একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে বাণীতে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে বলেও উল্লেখ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাজারও শহিদের আত্মত্যাগ আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনো দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
আসুন, সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না— জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বাণীতে এমন আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেআবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূলের অদূরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িষ্যার উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে
১৪ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোর
১৪ ঘণ্টা আগে