ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিকৃতি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর তা আবার তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে এবার কর্কশিট ও হালকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রতিকৃতি।
পহেলা বৈশাখের মাত্র এক দিন আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় চারুকলার ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিকৃতি। তা সত্ত্বেও শোভাযাত্রায় এই প্রতিকৃতির উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই নতুন করে সেটি তৈরি করা হচ্ছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, এই প্রতিকৃতি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, এটি একটি প্রতীক, যা অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানের বার্তা দেয়।
এর আগে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররাই ওই প্রতিকৃতিতে আগুন দিয়েছে।
পরে রোববার আগুন দেওয়ার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আলোচনায় আসে। ওই ফুটেজে মাস্ক পরা যে তরুণকে দেখা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী কর্মী বলে ধারণা ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের।
ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদেরও মনে হয়েছে ওই ছেলে (আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী) হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এখন তদন্ত চলছে।
এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় এই প্রতিকৃতি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে নানা মহল থেকে। বাঁশ-বেতের কাঠামো দিয়ে তৈরি ফ্যাসিবাদবিরোধী সেই প্রতিকৃতির সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার মুখাবয়বের মিল থাকায় শোভাযাত্রার রাজনীতিকরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেউ অপরাধ করে থাকলেও বিমানবিকীকরণ না করে বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ দেন অনেকে।
এবারের শোভাযাত্রার নাম নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও পহেলা বৈশাখে ঢাবির চারুকলা বিভাগের এই শোভাযাত্রা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে আয়োজিত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে এ বছর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা।
ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ এ বিষয়ে জানান, শুরুতে বর্ষবরণ ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। আগে যেভাবে হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কতখানি ছিল, তা বিশ্লেষণের বিষয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে কী ঘটেছে এ জন্য পরিবর্তন নয়, পুনরুদ্ধার বলছি আনন্দ শোভাযাত্রাকে।
গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামপন্থি বিভিন্ন দল ও সংগঠন অবশ্য ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র মঙ্গল শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের দৃষ্টিতে, এই শোভাযাত্রা ধারণাটিই হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে। প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখের আগে আগে এ নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবারও কোনো কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ‘মঙ্গল’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এসব চাপ থেকেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনকে ‘হাস্যকর’ অভিহিত করে চারুকলার প্রথম শোভাযাত্রা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত চারুকলার সাতাশি ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজিব তারেক বলেন, একটি নাম যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে যার পরিচিতি ঘটেছে, এখন সেই নামটা পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন পড়ল? এর ফলে ‘ক্রেডিবিলিটি’ (বিশ্বাসযোগ্যতা) হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিকৃতি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর তা আবার তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে এবার কর্কশিট ও হালকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রতিকৃতি।
পহেলা বৈশাখের মাত্র এক দিন আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় চারুকলার ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিকৃতি। তা সত্ত্বেও শোভাযাত্রায় এই প্রতিকৃতির উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই নতুন করে সেটি তৈরি করা হচ্ছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, এই প্রতিকৃতি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, এটি একটি প্রতীক, যা অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানের বার্তা দেয়।
এর আগে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররাই ওই প্রতিকৃতিতে আগুন দিয়েছে।
পরে রোববার আগুন দেওয়ার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আলোচনায় আসে। ওই ফুটেজে মাস্ক পরা যে তরুণকে দেখা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী কর্মী বলে ধারণা ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের।
ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদেরও মনে হয়েছে ওই ছেলে (আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী) হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এখন তদন্ত চলছে।
এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় এই প্রতিকৃতি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে নানা মহল থেকে। বাঁশ-বেতের কাঠামো দিয়ে তৈরি ফ্যাসিবাদবিরোধী সেই প্রতিকৃতির সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার মুখাবয়বের মিল থাকায় শোভাযাত্রার রাজনীতিকরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেউ অপরাধ করে থাকলেও বিমানবিকীকরণ না করে বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ দেন অনেকে।
এবারের শোভাযাত্রার নাম নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও পহেলা বৈশাখে ঢাবির চারুকলা বিভাগের এই শোভাযাত্রা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে আয়োজিত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে এ বছর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা।
ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ এ বিষয়ে জানান, শুরুতে বর্ষবরণ ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। আগে যেভাবে হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কতখানি ছিল, তা বিশ্লেষণের বিষয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে কী ঘটেছে এ জন্য পরিবর্তন নয়, পুনরুদ্ধার বলছি আনন্দ শোভাযাত্রাকে।
গত কয়েক বছর ধরেই ইসলামপন্থি বিভিন্ন দল ও সংগঠন অবশ্য ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র মঙ্গল শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের দৃষ্টিতে, এই শোভাযাত্রা ধারণাটিই হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে। প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখের আগে আগে এ নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবারও কোনো কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ‘মঙ্গল’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এসব চাপ থেকেই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনকে ‘হাস্যকর’ অভিহিত করে চারুকলার প্রথম শোভাযাত্রা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত চারুকলার সাতাশি ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজিব তারেক বলেন, একটি নাম যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে যার পরিচিতি ঘটেছে, এখন সেই নামটা পরিবর্তনের প্রয়োজন কেন পড়ল? এর ফলে ‘ক্রেডিবিলিটি’ (বিশ্বাসযোগ্যতা) হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেই বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ফেব্রুয়ারি তো বটেই, জানুয়ারি মাসেও বইমেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আবার রমজান শেষ হতে হতে মার্চের শেষভাগ চলে আসবে। তখন মেলা নিয়ে যেতে হবে এপ্রিলে, যখন আবার থাকবে গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপ।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে। এ দুই ধরনের আদালত এখন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কাজ করবে। এর ফলে মামলার সময় বাঁচবে এবং নিষ্পত্তি হওয়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।
১৪ ঘণ্টা আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৬৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে