শেখ হাসিনাকে ফেরাতে চিঠি ইস্যুতে মুখ খুলছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে নিশ্চুপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাই কথা বলছেন না।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেবে সরকার। পরে তিনি আরও জানান, চিঠি ভারতকে দেওয়ার জন্য চিঠি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আর কোনো হালনাগাদ তথ্য মিলছে না। মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও ভারত বা শেখ হাসিনা ইস্যুতে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম। পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ মাসে এটিই ছিল তার প্রথম আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং। বিষয়বস্তু ছিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর।

সংবাদ সম্মেলনে সচিবের বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চিঠি ইস্যুতে প্রশ্ন তোলেন। তবে এক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে অন্য ইস্যুর প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব সিয়াম বলেন, এ সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে যে আলাপ চলছে, তা সম্পূর্ণই ভুটান সফরসংক্রান্ত। এর বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা করা অসৌজন্যমূলক হবে। আমি আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝবেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বও দ্বিপাক্ষিক সফরেই সীমাবদ্ধ রাখবেন।

পররাষ্ট্র সচিব আঞ্চলিক সফরের প্রসঙ্গ তোলার কারণেই প্রতিবেশী ভারত ও সেখান থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে অভিমত জানান এক সাংবাদিক। জবাবে সচিব বলেন, আঞ্চলিক বলতে আমরা সার্ক ও বিমসটেকবিষয়ক ইস্যু বুঝিয়েছি। আমরা আমাদের আলোচনার পরিধি সেখানেই সীমিত রাখতে চাই।

পরে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যখন মন্ত্রণালয় ছাড়ছিলেন, তখন তাকেও একই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। ভারতকে দেওয়ার জন্য চিঠি প্রস্তুত হয়েছে কি না কিংবা ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে কি না— এসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি উপদেষ্টাও। কোনো মন্তব্য করতেই রাজি হননি তিনি।

গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই আন্দোলনের প্রথম মামলার রায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেন। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড সাজা দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। আসাদুজ্জামান খান কামালও নিখোঁজ ছিলেন। পরে জানা যায়, তিনিও ভারতে অবস্থান করছেন।

রায়ের দিনই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, চিঠিটি সেদিন রাতেই বা পরদিন সকালে ভারতকে পাঠানো হবে। পরদিন তিনি জানান, সরকার যে চিঠি পাঠাবে তা প্রস্তুত হচ্ছে এবং নোট ভারবালের মাধ্যমে তা ভারতকে পাঠানো হবে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

শেখ হাসিনার মামলায় লড়বেন না আইনজীবী জেড আই খান পান্না

‘আদালতে যদি আমি প্রোপার-ওয়েতে, নির্বিঘ্নে ডিফেন্ড না করতে পারি তা হলে তো সেখানে আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে কোনো লাভ নেই,’ বলেন তিনি।

১৭ ঘণ্টা আগে

উপদেষ্টা পরিষদে চার অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

অনুমোদিত চারটি অধ্যাদেশ হলো—দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ ২০২৫, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫।

১৭ ঘণ্টা আগে

স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সারাফতের ফ্ল্যাট-প্লট পরিচালনায় রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ

সম্পত্তিগুলোর মধ্যে চৌধুরী নাফিজ সারাফতের নামে থাকা গুলশানে ২০ তলা বাড়ি, রাজধানী ঢাকায় নয়টি ফ্ল্যাট, রাজউক পূর্বাচল ও ঢাকার নিকুঞ্জে একটি করে প্লট, ঢাকা ও গাজিপুরে ২৩ কাঠা জমি। আঞ্জুমান আরা শহিদের ঢাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার তলা বাড়িসহ সাড়ে সাত কাঠা জমি, নিকুঞ্জে একটি প্লট ও ঢা

১৮ ঘণ্টা আগে

ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু

অধিদপ্তর জানায়, ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। বাকি চারজনের দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের, একজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।

১৮ ঘণ্টা আগে