বন্যার্তদের সহায়তায় রাজনৈতিক-ধর্মীয় পরিচয় নয়: তারেক রহমান\n
নোয়াখালীতে বৃষ্টি না হওয়া ও দিনভর রোদ থাকায় বিভিন্ন উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে, তাই কাউকে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চর বাগাদীতে কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট গর্ত সংস্কার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি। কমলনগর, রায়পুর ও রামগতির বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনভর বৃষ্টি না হওয়া, কোথাও কোথাও রোদের দেখা মেলায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে।
সিলেটে বৃষ্টি না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টায় কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ৭৫ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
লালমনিরহাটে তিস্তায় পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও স্রোত থাকায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, তিস্তায় বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে পানির স্রোত বেশি থাকায় কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় মনু নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া ধলাই নদীতে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক সড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
হবিগঞ্জ জেলার জালালাবাদ এলাকায় নদীভাঙনের ফলে নোয়াগাঁও, রিচি, জালালবাদ, সুলতান মাহমুদপুর, হুরগাঁওসহ অন্তত ২৫টি গ্রামে নতুন করে পানি উঠেছে। অন্তত ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাঈন জানান, খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীভাঙনের ফলে নতুন করে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।