সাত বছরে সর্বনিম্ন ফল, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ

রাজশাহী ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ; যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর রাজশাহী বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬৯ হাজার ৩৩৪ জন এবং ছাত্রী ৬৪ হাজার ৮০৯ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার ও জিপিএ–৫ পাওয়ার হার—দুটিই বেশি। ছাত্রদের পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছেন মোট ১০ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্র ও ৫ হাজার ৬৮২ জন ছাত্রী।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৮ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ২৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে ইংরেজি বিষয়ে। এছাড়া ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৬ জুন। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের ফলাফল ভালো। জিপিএ–৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বছর (২০২৪) রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। তার আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

১৭ ঘণ্টা পর সিইপিজেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সিইপিজেডের অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

৫ ঘণ্টা আগে

যেভাবে প্রণয়ন জুলাই সনদ, কী আছে এতে

রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে গত আট মাস ধরে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’।

৫ ঘণ্টা আগে

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও একবার, এ দফায় ১৬ দিন

১২ ফেব্রুয়ারি এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল ছয় মাস মেয়াদ দিয়ে। সে হিসাবে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ ছিল ঐকমত্য কমিশনের। তবে এ সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা না গেলে কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়।

১২ ঘণ্টা আগে

‘জুলাই সনদ সংশোধনের সুযোগ নেই, সইয়ের সুযোগ থাকবে পরেও’

আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ সইয়ের এ অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সংশোধনের সুযোগ না থাকলেও কোনো দল যদি আগামীকালের অনুষ্ঠানের পরেও এ সনদে সই করতে চায়, সে সুযোগ তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

১৭ ঘণ্টা আগে