প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল রোববার থেকে 'জুলাই জাতীয় সনদ' এর আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। তবে এই সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ঐকমত্য কমিশন বলেছিল, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন।
সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি একমত। তবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আরও কিছু দলের এ ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। তারা মনে করে, শুধু অঙ্গীকার থাকলে হবে না; জুলাই সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।
গতকাল ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি (অব.) এম এ মতিন ও বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, আইনজীবী তানিম হোসেইন ও আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। একটি বিষয় আলোচনায় আসে, যদি বিদ্যমান সংবিধানের মধ্যে থেকে বা সংবিধান মেনে সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিকল্প ভাবার সুযোগ কম। কিন্তু বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোতে অন্তর্বর্তী সরকার নেই। এই সরকার গঠিত হয়েছে মূলত জনগণের একধরনের ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে এবং উচ্চ আদালত থেকে রেফারেন্স নিয়ে। সুতরাং এই সরকারের সংস্কারের ম্যান্ডেট (এখতিয়ার) আছে। আলোচনায় কেউ কেউ মত দেন, জুলাই সনদকে সংবিধানের অংশ হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নেওয়া যেতে পারে। এখন একটি বিশেষ পরিস্থিতি চলছে, এই বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ ছাড়া প্রয়োজনে গণভোট করা যেতে পারে, এমন মতও এসেছে। জনগণ যদি ব্যাপক ভিত্তিতে জুলাই সনদের পক্ষে রায় দেন এবং সুপ্রিম কোর্ট যদি মতামত দেন, তাহলে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে জুলাই সনদ সংবিধানের অংশ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এ ছাড়া প্রোক্লেমেশন, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের (এলএফও) মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন করা যায়, এমন মতও দিয়েছেন কেউ কেউ। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার বিষয়েও মত এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো নিয়ে জটিলতা হবে বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ। কারণ, অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো কখন, কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটাও আলোচনায় আসে। কিছু বিষয় আছে সরকার চাইলে এখনই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো পরবর্তী সরকার যদি নির্ধারিত সময় এগুলো সংসদে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন না করে, তাহলে এসবের কার্যকারিতা আর থাকবে না। তাই পুরো সনদকে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হচ্ছে। গতকালের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন। কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের মতামত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেয়। পরে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
পরে ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি অংশে ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের ১৬৫টি ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ সুপারিশ। এগুলো বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আরেকটি অংশে ছিল ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ। এগুলো নিয়ে প্রথম পর্বে ৩৩টি দলের সঙ্গে (২০ মার্চ-১৯ মে) আলাদাভাবে আলোচনা হয়। প্রথম পর্বে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। প্রথম পর্বে ঐকমত্য না হওয়া ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ৩০টি দলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে (৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই) আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। দ্বিতীয় পর্বে ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে সব দলের ঐকমত্য ও ৯টিতে ভিন্নমতসহ (নোট অব ডিসেন্ট) সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন এসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এটি ঠিক হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সই করার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাবে জুলাই সনদ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল রোববার থেকে 'জুলাই জাতীয় সনদ' এর আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। তবে এই সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ঐকমত্য কমিশন বলেছিল, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন।
সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি একমত। তবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আরও কিছু দলের এ ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। তারা মনে করে, শুধু অঙ্গীকার থাকলে হবে না; জুলাই সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।
গতকাল ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি (অব.) এম এ মতিন ও বিচারপতি (অব.) মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, আইনজীবী তানিম হোসেইন ও আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। একটি বিষয় আলোচনায় আসে, যদি বিদ্যমান সংবিধানের মধ্যে থেকে বা সংবিধান মেনে সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিকল্প ভাবার সুযোগ কম। কিন্তু বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোতে অন্তর্বর্তী সরকার নেই। এই সরকার গঠিত হয়েছে মূলত জনগণের একধরনের ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে এবং উচ্চ আদালত থেকে রেফারেন্স নিয়ে। সুতরাং এই সরকারের সংস্কারের ম্যান্ডেট (এখতিয়ার) আছে। আলোচনায় কেউ কেউ মত দেন, জুলাই সনদকে সংবিধানের অংশ হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নেওয়া যেতে পারে। এখন একটি বিশেষ পরিস্থিতি চলছে, এই বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এ ছাড়া প্রয়োজনে গণভোট করা যেতে পারে, এমন মতও এসেছে। জনগণ যদি ব্যাপক ভিত্তিতে জুলাই সনদের পক্ষে রায় দেন এবং সুপ্রিম কোর্ট যদি মতামত দেন, তাহলে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে জুলাই সনদ সংবিধানের অংশ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এ ছাড়া প্রোক্লেমেশন, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের (এলএফও) মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন করা যায়, এমন মতও দিয়েছেন কেউ কেউ। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার বিষয়েও মত এসেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো নিয়ে জটিলতা হবে বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ। কারণ, অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো কখন, কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটাও আলোচনায় আসে। কিছু বিষয় আছে সরকার চাইলে এখনই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো পরবর্তী সরকার যদি নির্ধারিত সময় এগুলো সংসদে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন না করে, তাহলে এসবের কার্যকারিতা আর থাকবে না। তাই পুরো সনদকে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হচ্ছে। গতকালের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন। কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের মতামত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেয়। পরে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
পরে ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি অংশে ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের ১৬৫টি ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ সুপারিশ। এগুলো বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আরেকটি অংশে ছিল ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ। এগুলো নিয়ে প্রথম পর্বে ৩৩টি দলের সঙ্গে (২০ মার্চ-১৯ মে) আলাদাভাবে আলোচনা হয়। প্রথম পর্বে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। প্রথম পর্বে ঐকমত্য না হওয়া ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ৩০টি দলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে (৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই) আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। দ্বিতীয় পর্বে ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে সব দলের ঐকমত্য ও ৯টিতে ভিন্নমতসহ (নোট অব ডিসেন্ট) সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন এসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এটি ঠিক হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সই করার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাবে জুলাই সনদ।
অধূমপায়ী ও তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উৎখাত করে ‘জনতার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পায়রা চত্বর
১০ ঘণ্টা আগেপ্রসিকিউটর বলেন, এই মুহূর্তে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারেই তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি প্রয়োজন মনে হয় যে আরও কোনো দলও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সেক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারেও আমাদের তদন্ত সংস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১১ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এখনো আমরা এমন একটি স্থায়ী রাজনৈতিক কাঠামো গড়তে পারিনি, যা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। ফলে বর্তমান বাস্তবতায় কিছু মৌলিক ও সীমিত লক্ষ্য অর্জনই এখন প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে