top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন রাখাল রাহা

ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন রাখাল রাহা
রাখাল রাহা। ফাইল ছবি

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস ঘিরে ইসলামপন্থিদের তীব্র আক্রমণের শিকার রাখাল রাহা তার ওই স্ট্যাটাসের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি মুসলমান সমাজের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চান রাখাল রাহা। এর আগের স্ট্যাটাসটিও তিনি ডিলিট করেছেন বা মুছে ফেলেছেন।

রাখাল রাহা স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যা কিছু হ‌য়ে‌ছে, ঘ‌টে‌ছে,— এটা আমার ভুল। একটা ভুল বুঝতে গিয়ে আরেকটা ভুল। আমি আবারও আমার ভুল স্বীকার কর‌ছি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আমা‌কে ক্ষমা করুন। মুসলমান সমাজ আমাকে ক্ষমা করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার মঙ্গল করুন। বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করুন।’

এর আগে রাখাল রাহার একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিশেষ করে ইসলামপন্থিরা ওই পোস্ট নিয়ে তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের এক বিবৃতিতে রাখাল রাহাকে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার বিচারের দাবি জানানো হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাওহিদি ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেও রাখাল রাহার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, সরকার ব্যবস্থা না নিলে ইসলামপন্থিরা নিজেরাই রাখাল রাহার মতো নাস্তিকদের ফাঁসি কার্যকর করবে। এ সময় তিনি আল্লাহ-রাসুলসহ (সা.) ধর্ম অবমাননাকারীদের জন্য ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

আলাদা এক বিবৃতিতে রাখাল রাহার ধর্ম অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দায়ে রাখাল রাহাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে রাখাল রাহা পরে আরেক পোস্টে এনসিটিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, এনসিটিবির কোনো কাজের সঙ্গে তিনি আর যুক্ত নন।

রাখাল রাহা লিখেছেন, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি এনসিটিবিতে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনার কাজে যুক্ত ছিলাম। ওটা কোনো পদ নয়, ৫৭ জন মানুষ আমরা নানাভাবে কাজ করেছি।

এ কাজের জন্য কোনো অর্থ পাননি জানিয়ে রাখাল রাহা লিখেছেন, এনসিটিবি থেকে আমার জন্য বা আমাদের কারও জন্য আলাদা করে কোনো গাড়ি বরাদ্দ ছিল না। গাড়ি ফাঁকা থাকলে আমাদের আনা-নেওয়া করত। ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আমি আমার পেশায় ফিরে এসেছি। এনসিটিবির কোনো কাজের সঙ্গে আমি এখন আর যুক্ত নই। এনসিটিবি থেকে এখনো আমাদের কাউকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় নাই।

r1 ad
r1 ad
top ad image