
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে করা এমন অভিযোগকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনআস্থার জন্য ক্ষতি হিসেবেও বিবেচনা করছে সরকার।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা বিবৃতিতে সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবিএম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।
এতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আবদুস সাত্তারের কাছে কোনো অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তা দ্রুত জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই। যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, আমরা সকল অংশীজনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, জনপরিসরের আলোচনা অনুমান নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।
আব্দুস সাত্তার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘ঠিক ঠিক’ বলে হাততালি দেন।
সাবেক এই সচিব বলেন, কষ্ট লাগে একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি মন্ত্রণালয় নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একজন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টা দিয়ে চালানো ঠিক হচ্ছে?
সাবেক এই সচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দুর্নীতি না কমে বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের নামজারিতে ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন এবং ঢাকার আশপাশের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একটি কারখানার লে-আউট অনুমোদনের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।
সেমিনারে উপস্থিত সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, আব্দুস সাত্তার একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তিনি এমন কথা বলবেন না। তাঁর এই অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ওই আটজন উপদেষ্টাকে চিহ্নিত করা উচিত।

আট উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে করা এমন অভিযোগকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনআস্থার জন্য ক্ষতি হিসেবেও বিবেচনা করছে সরকার।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা বিবৃতিতে সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবিএম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।
এতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আবদুস সাত্তারের কাছে কোনো অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তা দ্রুত জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই। যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, আমরা সকল অংশীজনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, জনপরিসরের আলোচনা অনুমান নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।
আব্দুস সাত্তার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘ঠিক ঠিক’ বলে হাততালি দেন।
সাবেক এই সচিব বলেন, কষ্ট লাগে একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি মন্ত্রণালয় নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একজন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টা দিয়ে চালানো ঠিক হচ্ছে?
সাবেক এই সচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দুর্নীতি না কমে বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের নামজারিতে ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন এবং ঢাকার আশপাশের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একটি কারখানার লে-আউট অনুমোদনের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।
সেমিনারে উপস্থিত সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, আব্দুস সাত্তার একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তিনি এমন কথা বলবেন না। তাঁর এই অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ওই আটজন উপদেষ্টাকে চিহ্নিত করা উচিত।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। খসড়া তালিকা অনুযায়ী ভোটার ছিল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে ৪০,০০০ বডি ক্যামেরা দেওয়ার কথা থাকলেও এ সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাচ্ছে সরকার। শুধু স্পর্শকাতর এলাকায় বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্যানেল অনুযায়ী, ভিপি পদে লড়বেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এবং আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম, আর জিএস পদে লড়বেন শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল আলিম আরিফ।
১৭ ঘণ্টা আগে