পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শিশুটি\n
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি জবানবন্দিতে কী বলেছেন, সেটি জানা যায়নি।
হিটু মিয়া ছাড়াও একই মামলার আসামি তার স্ত্রী জাবেদা বেগম, ছেলে সজীব হোসেন ও আরেক ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোর। তারা তিনজনও রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার মধ্যরাতেই আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু মিয়ার বাড়ি মৃত শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়ি। যেখানে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। এ ঘটনায় শিশুটির মা গত ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মেয়েটির মৃত্যুতে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটিকে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। পরে গত শনিবার তাকে নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকা সিএমএইচ থেকে হেলিকপ্টারে করে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।