ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন রাখাল রাহা\n
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান ইসলাম ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্যে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন। বাদী সাজ্জাদ হোসেন বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়টি জানতে পেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করতে যান। মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিশ। সে অনুযায়ী তিনি সোমবার আদালতে মামলার আবেদন করেন।
এর আগে রাখাল রাহার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ইসলামপন্থিরা তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। গত ২১ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে ইসলামের এক বিবৃতিতে রাখাল রাহাকে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার বিচারের দাবি জানানো হয়।
ওই দিনই জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাওহিদি ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেও রাখাল রাহার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, সরকার ব্যবস্থা না নিলে ইসলামপন্থিরা নিজেরাই রাখাল রাহার মতো নাস্তিকদের ফাঁসি কার্যকর করবে। এ সময় তিনি আল্লাহ-রাসুলসহ (সা.) ধর্ম অবমাননাকারীদের জন্য ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
আলাদা এক বিবৃতিতে রাখাল রাহার ধর্ম অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দায়ে রাখাল রাহাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই অবশ্য রাখাল রাহা তার স্ট্যাটাসের জন্য ভুল স্বীকার করে মুসলমান সমাজের কাছে ক্ষমা চান। ওই স্ট্যাটাস ডিলিট করে দিয়ে তিনি নতুন স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘যা কিছু হয়েছে, ঘটেছে,— এটা আমার ভুল। একটা ভুল বুঝতে গিয়ে আরেকটা ভুল। আমি আবারও আমার ভুল স্বীকার করছি।’
রাখাল রাহা আরও লিখেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন। মুসলমান সমাজ আমাকে ক্ষমা করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার মঙ্গল করুন। বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করুন।’