গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন

মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল সরকার-নিরাপত্তা বাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ১৬

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ক্ষমতাচ্যুত সরকার এবং এর নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচএসিএইচআর)। এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করেছে। পাশাপাশি নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে।

ওএইচসিএইচআর বলছে, বিক্ষোভ ও ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় ও নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে একটি দল পাঠায়। ওই দলে ছিলেন মানবাধিকার অনুসন্ধানকারী, একজন ফরেনসিক চিকিৎসক ও একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বলছে, মরণঘাতী ঘটনাগুলোর বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য অনুসন্ধান পরিচালনা করে দলটি। অন্তর্বর্তী সরকার এই তদন্তে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। তদন্ত দলকে বিভিন্ন স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ছাড়াও সরকার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সরবরাহ করেছে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

‘দালালদের কথা শুনবেন না, ৫ বছর থাকুন’

রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার সকালে জামাত শুরু হয় ঠিক সাড়ে ৭টায় এবং শেষ হয় ৭টা ৪৩ মিনিটে।

৮ ঘণ্টা আগে

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নামাজ শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

১৪ ঘণ্টা আগে

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম ২ জামাত অনুষ্ঠিত

সারা দেশে মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত হবে। এরই মধ্যে সকাল ৭টায় প্রথম ও ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ ঘণ্টা আগে

জুলাই মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদের আশু করণীয় সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জুলাই সনদ অনুযায়ী আশুকরণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশকিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট অংশ পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।’

১ দিন আগে