
খুলনা ব্যুরো

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের খবরে ৫৮ ঘণ্টার অনশন ভেঙেছিলেন খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। ওই বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে গণমাধ্যমগুলোকে দুজনের পদত্যাগের খবরও প্রকাশিত হয়েছে। তবে কুয়েটের উপউপাচার্য (প্রোভিসি) খবর দেখে বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান কুয়েট ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে যান। তাতেই কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর দেখার পর কুয়েটের উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বুধবার রাত ১০টায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছি। কোনো কাগজে সই করিনি। এটা অব্যাহতি হতে পারে, কিন্তু আমি পদত্যাগ করিনি। আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি। আমাদের যদি বলা হতো যে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে, তাহলে আমরা পদত্যাগ করতাম। আমি কাউকে কোনো পদত্যাগপত্র পাঠাইনি।’
ইউজিসি সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে প্রোভিসি বলেন, ‘তাদের (ইউজিসি সদস্য) কোনো প্রশ্নই আমার কাছে মনে হয়নি যে কোথাও আমার কোনো ত্রুটি আছে কিংবা স্বচ্ছতা বা নিষ্ঠার অভাব আছে। প্রতিষ্ঠান বা ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করছি। আমি বুঝতেই পারছি না যে আমার অপরাধটা কী?’
এর আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে কুয়েটের উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
এ খবর জানার পর গণমাধ্যমে পদত্যাগ করেননি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে উপউপাচার্য পদে দায়িত্ব পেলে বিভিন্ন দাপ্তরিক সভা ও সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
কুয়েট উপাচার্যই বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে কোনো সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেন উপউপাচার্য। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গণমাধ্যম সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, তাকে উপউপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি তার অপরাধ সম্পর্কে জানেন না এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দিলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করেন উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়ার মতো পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি বা অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের খবরে ৫৮ ঘণ্টার অনশন ভেঙেছিলেন খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। ওই বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে গণমাধ্যমগুলোকে দুজনের পদত্যাগের খবরও প্রকাশিত হয়েছে। তবে কুয়েটের উপউপাচার্য (প্রোভিসি) খবর দেখে বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান কুয়েট ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে যান। তাতেই কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর দেখার পর কুয়েটের উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বুধবার রাত ১০টায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছি। কোনো কাগজে সই করিনি। এটা অব্যাহতি হতে পারে, কিন্তু আমি পদত্যাগ করিনি। আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি। আমাদের যদি বলা হতো যে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে, তাহলে আমরা পদত্যাগ করতাম। আমি কাউকে কোনো পদত্যাগপত্র পাঠাইনি।’
ইউজিসি সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে প্রোভিসি বলেন, ‘তাদের (ইউজিসি সদস্য) কোনো প্রশ্নই আমার কাছে মনে হয়নি যে কোথাও আমার কোনো ত্রুটি আছে কিংবা স্বচ্ছতা বা নিষ্ঠার অভাব আছে। প্রতিষ্ঠান বা ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করছি। আমি বুঝতেই পারছি না যে আমার অপরাধটা কী?’
এর আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে কুয়েটের উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
এ খবর জানার পর গণমাধ্যমে পদত্যাগ করেননি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে উপউপাচার্য পদে দায়িত্ব পেলে বিভিন্ন দাপ্তরিক সভা ও সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
কুয়েট উপাচার্যই বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে কোনো সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেন উপউপাচার্য। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গণমাধ্যম সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, তাকে উপউপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি তার অপরাধ সম্পর্কে জানেন না এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অব্যাহতি দিলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করেন উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়ার মতো পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি বা অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

নির্বাচনে ক্লাব সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত ও ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে শারফুজ্জামান টপি সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি এবং নয়জন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সরকার গানম্যান প্রদান করেছে। এ তালিকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এসবের ওপর শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর।
৪ ঘণ্টা আগে
হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি কোথায় আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যদি... কোথায় আছে জানলে তো তাকে ধরেই ফেলতাম। যদি আমাদের কাছে ওইরকম নিউজটা থাকত, তাহলে তো ধরেই ফেলতাম। দেশেও থাকতে পারে, বাইরেও থাকতে পারে। বাট আমরা এক্সজ্যাক্ট লোকেশন যদি জানতে পারতাম, তাহলে তো...।’
৫ ঘণ্টা আগে