কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের মামলা, তদন্ত কমিটি\n
এদিকে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে চলমান সব সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দফতরের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তাদের সব সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আরও বলেন, ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এটি কিন্তু চূড়ান্ত বহিষ্কার নয়। ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি বসবে। যেসব ছাত্রদের সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিরপরাধ কেউ যেন কোনো শাস্তির মুখোমুখি না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সূত্রপাত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে দিন কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করেছে।
একই ঘটনায় ছাত্রদলের দাবি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র শিবির হামলা করেছে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বললেও সাধারণ ছাত্রদের নাম ভাঙিয়ে এই দুটি সংগঠন রাজনীতি করছে।
ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন করেন। ওই সময় তারা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দাবিতে আন্দোলন করেন। ধীরে ধীরে তাদের সেই আন্দোলন উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নিয়েছে।