মঙ্গল শোভাযাত্রা: বদলে গেল নাম, বদলাবে কি বার্তা?\n
১৯৬৭ সাল থেকে রাজধানী ঢাকার রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। এ বছরও তারা বর্ষবরণের আয়োজন নিয়ে প্রস্তুত। রমনার বটমূলে পূর্ব-পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকারে ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি হয়েছে পাঁচটি ধাপ রেখে। ছায়ানটের এবারের অনুষ্ঠানে মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের পরিবেশনার মহড়ায় ছায়ানটের শিল্পীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
সকাল সোয়া ৬টায় বছরের দিনের সূচনালগ্নে ভৈরবী রাগের সুরে শুরু হবে তাদের অনুষ্ঠান। নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে সাজানো এ আয়োজনে থাকবে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও তিনটি পাঠ। সবার শেষে ছায়ানটের কথন পাঠ করবেন ডা. সারওয়ার আলী। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় শ কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী সুর ও বাণীতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন।
আশির দশকের শেষ ভাগে পহেলা বৈশাখে স্বৈরাচারবিরোধী বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে সেটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পালিত হতে হতে পহেলা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। নানা ‘বিতর্ক’ ছড়িয়ে এ বছর সেটি নাম পেয়েছে ‘বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা’। এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
কেবল নাম নয়, শোভাযাত্রার মোটিফ নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন ছড়িয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা দিতে দৈত্যাকৃতি এক প্রতিকৃতি তৈরি করেছিলেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাঁশ-বেতের কাঠামো দিয়ে তৈরি ফ্যাসিবাদবিরোধী সেই প্রতিকৃতির সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার মুখাবয়বের মিল থাকায় শোভাযাত্রার রাজনীতিকরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেউ অপরাধ করে থাকলেও বিমানবিকীকরণ না করে বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ দেন অনেকে।
আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব। ছবি: ফোকাস বাংলা
ফ্যাসিবাদের সেই মুখাবয়ব অবশ্য পহেলা বৈশাখের একদিন আগে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। সঙ্গে আগুনে পুড়েছে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিও। পরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এক তরুণ ওই দুটি প্রতিকৃতিতে আগুন দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধারণা, ওই তরুণ তাদের বিভাগেরই শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী।
‘বিতর্কিত’ প্রতিকৃতিটি পুড়ে গেলেও অবশ্য দমে যাননি চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তারা নতুন করে কর্কশিট ব্যবহার করে ফের ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ তৈরি করেছেন। রোববার (১৩ এপ্রিল) অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানান, পুড়ে যাওয়া দুটি প্রতিকৃতি ছাড়া বাকি সবকিছুই তারা প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন। নতুন করে স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি তৈরির কাজও প্রায় শেষ। সেটিও আনন্দ শোভযাত্রার অংশ হবে। চারুকলা অনুষদের সামনের সীমানা প্রাচীরেও এরই মধ্যে হলুদ রঙের ওপর রাজশাহী অঞ্চলের শখের হাঁড়ির মোটিফে আঁকা হয়েছে ফুল-পাখি, লতা-পাতার দৃশ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হবে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা। এ বছর ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথি এতে অংশ নেবেন। এতে থাকবে সাতটি বড় মোটিফ, সাতটি মাঝারি মোটিফ ও সাতটি ছোট মোটিফ।
আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত নানা মোটিফ। ছবি: ফোকাস বাংলা
সকাল ৬টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সুরের ধারা। এ ছাড়া মুক্তমঞ্চে হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আশপাশে পাবেন বাহারি বাঙালি খাবার।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ও ঢাকার চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় থাকছে পহেলা বৈশাখের বিশেষ ‘ড্রোন-শো’ ও ‘ব্যান্ড-শো’।
রাজধানীর গুলশান-২-এর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজন করেছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। রোববার শুরু হওয়া মেলা চলবে ২ বৈশাখ তথা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত।
পহেলা বৈশাখের সকালে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আয়োজন করেছে বর্ষবরণ উৎসব। সকাল ৯টায় বর্ষবরণ নগর উৎসবের ওয়েবসাইট উন্মোচন করা হবে। এরপর বারামখানা ও পল্লীবাংলার অংশগ্রহণে শুরু হবে বাউল গান। বিকেল ৪টায় ঘাসফড়িং কয়ার, শিরোনাম হীন ও প্লাজমিক নকের অংশগ্রহণে হবে কনসার্ট।
পটচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইতিহাস-ঐতিহ্য। ছবি: ফোকাস বাংলা
পহেলা বৈশাখে ‘ঐ নতুনের কেতন ওড়ে’ শিরোনামে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট। অনুষ্ঠানে ১৪টি শিল্পীগোষ্ঠী অংশ নেবে।
নববর্ষকে বরণ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে বৈশাখী আনন্দ র্যালি বের করবে। নগর ভবনে থাকবে পান্তা-ইলিশের আয়োজন, দুপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সকাল ৮টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে ‘জনমানুষের বৈশাখ, শেকড়ের সংস্কৃতি’ শিরোনামে ১০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে থাকছে নববর্ষের আয়োজন। বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বর্ষবরণের আয়োজন করেছে দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ। এর বাইরেও উত্তরার দিয়াবাড়ি, সূত্রাপুরের ধূপখোলা মাঠ, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড ও পূর্বাচলের তিন শ ফুট সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে থাকছে বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চট্টগ্রামে ৪৬ বছর ধরে নিয়মিত পালন করে এলেও এ বছর ৪৭তম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ। পহেলা বৈশাখের আগের সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ডিসি হিলে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে পরিষদ
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে হামলা চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মঞ্চ। আয়োজকরা নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে গিয়ে মঞ্চ ও আশপাশের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। পরে পরিষদের সমন্বয়কারী সুচরিত দাশ খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার অনুষ্ঠান করার মতো আর কোনো পরিবেশ ও প্রস্তুতি নেই।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ২০টি সংগঠনের একটি তালিকা দেওয়া হয় আয়োজকদের। ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ অভিযোগ এনে ওই সংগঠনগুলোকে মঞ্চে তুলতে নিষেধ করে প্রশাসন। সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার চিহ্নিত দোসরদের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান উদ্যাপন আয়োজনের প্রতিবাদ’ করে সম্মিলিত বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। মানববন্ধনের পর জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে ওই ২০ সংগঠনকে নববর্ষের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।
এদিকে পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণের আয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই বলে বারবার আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছে সবাইকে।
পহেলা বৈশাখের সাজের জন্য দরকার চুরিও। ঢাবির চারুকলার সামনের ফুটপাত থেকে চুড়ি কিনছেন দুই তরুণী। ছবি: ফোকাস বাংলা
রোববার রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হবে না। জেলা-উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়েও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাই সব জায়গায় র্যাবের নিরাপত্তা বলয় বিস্তৃত করা হবে, যেন সুন্দরভাবে সব জায়গায় এ অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হয়।
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ১৮ হাজার পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, সেনাবাহিনী ও অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন।
বর্ষবরণের আনন্দ শোভযাত্রা ঘিরে পহেলা বৈশাখে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও শাহবাগ স্টেশনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো বিরতি থাকবে না বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড রোববার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
আনন্দ শোভযাত্রার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপন উপলক্ষে জননিরাপত্তার স্বার্থে ১৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ মেট্রোরেল স্টেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
চৈত্রের খরতাপ শেষ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে বৈশাখের দাবদাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েকদিনের খরতাপে তেমন কোনো সুখবর নেই নতুন বছরের প্রথম দিনেও। সারা দেশেই তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে, সামান্য কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং বাকি বিভাগগুলোর দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকাতে পারে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব মোটিফই দেখা যাবে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায়। ছবি: ফোকাস বাংলা
নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবনে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি পহেলা বৈশাখকে সম্প্রীতির প্রতীক উল্লেখ বলে করেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। আগামীকাল (আজ) পহেলা বৈশাখ আমাদের সম্প্রীতির অন্যতম প্রতীক। প্রত্যেকে নিজ নিজ উপায়ে, নিজেদের রীতি অনুযায়ী আগামীকাল পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবেন। সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নেবেন।