ব্রিটিশ চুক্তিতে কি বাংলাদেশও পলাতক আসামিদের ফেরাতে পারবে?

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৪৫

শত বছরের বেশি পুরনো বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বেলজিয়াম থেকে হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে ভারত। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পালিয়ে যাওয়া চোকসিকে ভারতের অনুরোধে গ্রেপ্তার করেছিল বেলজিয়ামের পুলিশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেলজিয়ামের সঙ্গে ১৯০১ সাল থেকে এই বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতারও আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে করা ওই চুক্তি এখনও বলবৎ আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মামলার আসামি ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পালিয়ে রয়েছে।

পলাতক আসামিদের ফেরাতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় চেষ্টা চালালেও খুব কম ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, শত বছরের পুরনো ব্রিটিশ চুক্তি অনুযায়ী ভারত যদি পলাতক আসামিদের ফেরাতে চেষ্টা করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশও একই আইনে বিভিন্ন দেশ থেকে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে পারবে কি না?

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটিশ-ভারতের সময় যেসব চুক্তি হয়েছিলো, সেগুলোর অধিকাংশই ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর সেগুলো অনুমোদন করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সরকার পাকিস্তানের চুক্তিগুলোকে আর অনুমোদন করেনি।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, "বাংলাদেশের সরকার স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কোন চুক্তিগুলোকে অ্যাডপ্ট বা স্বাক্ষর করেনি। ফলে পাকিস্তান আমলের বাইরে যেসব চুক্তি রয়েছে সেগুলোর কোনটাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।"

পলাতকদের ফেরাতে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির চাইতেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বেশি কার্যকর বলে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী ওমর ফয়সাল। তিনি বলেন, " যত শক্ত আইনই (আন্তর্জাতিক চুক্তিই) থাকুক না কেন এখানে (পলাতক আসামি ফেরাতে) ডিপ্লোমেসিকে জোর দিতে হবে। যদি ভারতের কথাও ধরি এক্ষেত্রে (শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পদক্ষেপ) খুব বেশি পদক্ষেপ যে নিয়েছে বাংলাদেশ, সেটাও আমার কাছে মনে হয়নি।''

কাজী ওমর ফয়সাল আরও বলেন, 'ফলে আন্তর্জাতিক চুক্তি থাকলে ভালো হয়, না থাকলেও এডহক ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চুক্তি পরে করলেও চলে। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিপ্লোমেটিক প্রচেষ্টাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে দেশের বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মানবাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন'। সূত্র : বিবিসি নিউজ বাংলা

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

সংসদ ভবনে ওসমান হাদির জানাজা শনিবার দুপুর ২টায়

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজা হবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় এ জানাজা হবে।

২ ঘণ্টা আগে

দেশে পৌঁছেছে ওসমান হাদির মরদেহ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

২ ঘণ্টা আগে

‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে’

তিনি বলেন, ‘আমি ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে যাবতীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি যেন দ্রুত চালু করা যায় সে ব্যাপারে আর্থিক সহায়তাসহ সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।’

২ ঘণ্টা আগে

গণমাধ্যম-সাংবাদিকদের ওপর হামলায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের নিন্দা

বিবৃতি মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন বলেছে, সব গণমাধ্যম কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত এবং দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

৩ ঘণ্টা আগে