ব্রিটিশ চুক্তিতে কি বাংলাদেশও পলাতক আসামিদের ফেরাতে পারবে?

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৪৩

শত বছরের বেশি পুরনো বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বেলজিয়াম থেকে হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে ভারত। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পালিয়ে যাওয়া চোকসিকে ভারতের অনুরোধে গ্রেপ্তার করেছিল বেলজিয়ামের পুলিশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেলজিয়ামের সঙ্গে ১৯০১ সাল থেকে এই বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতারও আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে করা ওই চুক্তি এখনও বলবৎ আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মামলার আসামি ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পালিয়ে রয়েছে।

পলাতক আসামিদের ফেরাতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় চেষ্টা চালালেও খুব কম ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, শত বছরের পুরনো ব্রিটিশ চুক্তি অনুযায়ী ভারত যদি পলাতক আসামিদের ফেরাতে চেষ্টা করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশও একই আইনে বিভিন্ন দেশ থেকে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে পারবে কি না?

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটিশ-ভারতের সময় যেসব চুক্তি হয়েছিলো, সেগুলোর অধিকাংশই ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর সেগুলো অনুমোদন করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সরকার পাকিস্তানের চুক্তিগুলোকে আর অনুমোদন করেনি।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, "বাংলাদেশের সরকার স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কোন চুক্তিগুলোকে অ্যাডপ্ট বা স্বাক্ষর করেনি। ফলে পাকিস্তান আমলের বাইরে যেসব চুক্তি রয়েছে সেগুলোর কোনটাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।"

পলাতকদের ফেরাতে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির চাইতেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বেশি কার্যকর বলে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী ওমর ফয়সাল। তিনি বলেন, " যত শক্ত আইনই (আন্তর্জাতিক চুক্তিই) থাকুক না কেন এখানে (পলাতক আসামি ফেরাতে) ডিপ্লোমেসিকে জোর দিতে হবে। যদি ভারতের কথাও ধরি এক্ষেত্রে (শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পদক্ষেপ) খুব বেশি পদক্ষেপ যে নিয়েছে বাংলাদেশ, সেটাও আমার কাছে মনে হয়নি।''

কাজী ওমর ফয়সাল আরও বলেন, 'ফলে আন্তর্জাতিক চুক্তি থাকলে ভালো হয়, না থাকলেও এডহক ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চুক্তি পরে করলেও চলে। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিপ্লোমেটিক প্রচেষ্টাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে দেশের বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মানবাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন'। সূত্র : বিবিসি নিউজ বাংলা

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার হবে রোববার

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের শুনানি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরাসরি সম্প্রচার হবে। শনিবার (৩১ মে) এ তথ্য জানানো হয়।

১২ ঘণ্টা আগে

দেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না: ফয়েজ আহমদ

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এদেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না—এই আস্থাটা আমার উপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ডরকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি।

১২ ঘণ্টা আগে

আজহারের মুক্তি ও শিবিরের হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস এবং রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

১৩ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে রোববার (১ জুন) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

১৬ ঘণ্টা আগে