জুলাই আন্দোলনে আহতদের শিশুমেলা মোড় অবরোধ, শ্যামলী ঘিরে স্থবির সড়ক

পুনর্বাসন ও ক্যটাগরি পদ্ধতি বাতিলসহ দ্রুত সময়ের মধ্য উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর সড়কে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলন চলাকালে আহতরা। জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে থেকে কিছুটা সরে গিয়ে শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করেছেন তারা। এতে মিরপুর রোডসহ শ্যামলী-আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে আহতরা রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় সুচিকিৎসার দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, শ্যামলী পঙ্গু হাসপাতালের সামনে পুরো রাস্তা ব্লক করে আন্দোলন করছেন চিকিৎসারত জুলাই আন্দোলনে আহতরা। এ কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে আহতরা দীর্ঘ দিন ধরেই সুচিকিৎসায় ঘাটতির অভিযোগ করে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার দাবি জানালেও এ বিষয়ে কেউ ‘গুরুত্ব দিচ্ছেন না’ অভিযোগ করে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার পর সড়কে নেমে আসেন পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আহতরা। পরে রোববার সকালে তাদের পঙ্গু হাসপাতালের দুই পাশের সড়ক বেঞ্চ, চেয়ার ও বাঁশ ফেলে আটকে রাখতে দেখা গেছে।
আহতদের কেউ কেউ সড়কে বিছানা পেতেও শুয়ে পড়েন। এতে শিশু মেলা থেকে আগারগাঁও ট্রাফিক সিগন্যাল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সাড়ে ১১টার দিকে তারা শিশুমেলা মোড় অবরোধ করলে মিরপুরে রোডেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ওই এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, আগারগাঁও থেকে শিশুমেলা ও শ্যামলী অভিমুখী যানবাহনগুলোকে ৬০ ফিট সড়ক ও পাসপোর্ট অফিসের সামনের সড়ক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে শ্যামলীর দিক থেকে কোনো গাড়ি আগারগাঁওয়ের দিকে যেতে পারছে না। গাবতলী-কল্যাণপুরের দিক থেকে কোনো গাড়ি মিরপুর রোড দিয়েও কলেজ গেট-আসাদ গেট অভিমুখে যেতে পারছে না।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে আহতদের মধ্যে যাদের দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে, তাদের শারীরিক অবস্থা দেশে চিকিৎসাধীন আহতদের মতোই। কিন্তু দেশে যারা চিকিৎসাধীন, তাদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জানানো হলে তারাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেননি।