top ad image
top ad image
home iconarrow iconমতামত

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ঘিরে আলোচনা ও বিতর্ক

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ঘিরে আলোচনা ও বিতর্ক
৮ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার

বাংলাদেশের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করার পর ‘উপদেষ্টা পরিষদ ও নতুন নিয়োগ পাওয়া কয়েকজনকে’ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কেউ কেউ নতুন নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ উপদেষ্টা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘অঞ্চল প্রীতি’র অভিযোগ তুলেছেন।

‘খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে’- বলে অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আর উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

পরে সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমার চাই আপনারা অতি দ্রততম সময়ে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং ছাত্র নাগরিকদের অংশীদারিত্বের বাইরে গিয়ে আপনারা যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা মেনে নেয়া হবে না। অতিদ্রুত এই সিদ্ধান্তের নিরসন চাই।”

প্রসঙ্গত, রবিবার সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাহফুজ আলম, শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারকী। মূলত এরপরই আলোচনা উঠে আসে উপদেষ্টা পরিষদ এবং সামাজিক মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা ছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরাও শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অবশ্য বলছেন মানুষের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়াতেই নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

“কতগুলো জায়গায় আমরা মনে করেছি কাজের গতি ও দক্ষতা দুটোই বাড়ানো দরকার। আরও একটু অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া প্রয়োজন। সেজন্যই কারও কাজের চাপ কমাতে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় নিয়োগ হয়েছে। আরও কোনো মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টা পেয়েছি,” ঢাকায় সাংবাদিকদের বলছিলেন তিনি।

অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেছেন উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণ হওয়ায় সরকারের কাজের গতি বাড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন অবশ্য বলছেন আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে বলেই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন জরুরি ছিল। তবে মোস্তফা সরয়ার ও শেখ বশিরউদ্দীনের নিয়োগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করে হয়নি বলেই তারা ‘প্রতিক্রিয়া’ দেখাচ্ছেন ও বিতর্ক তৈরি করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

উপদেষ্টা পরিষদ ও দায়িত্ব বণ্টন

প্রবল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আটই অগাস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর ষোলই অগাস্ট উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আলী ইমাম মজুমদারসহ চার জন। সর্বশেষ রোববার আরও তিন জন শপথ নেয়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এখন ২৪ জন।

তবে উপদেষ্টারা একেকজন একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় বাণিজ্য, খাদ্য, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছিলো শুরু থেকেই। এর মধ্যেই দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে এসব মন্ত্রণালয়গুলো কতটা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারছে তা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ঢাকায় সোমবারএক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নিয়োগের কারণ জানাতে গিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে মানুষের প্রত্যাশাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। “আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে, জিনিসপত্রের দামের বিষয়ে মানুষের প্রত্যাশা আছে। এগুলো বিবেচনা করা হয়েছে,” বলছিলেন তিনি।

এর আগে, সরকারের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শপথ নেয়ার পর তাকে এই মন্ত্রণালয় দেয়া হয়। এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর হাতে কৃষি মন্ত্রণালয় থাকলেও- দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এক সাথে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে উঠছিলো বলে মনে হচ্ছিলো অনেকের কাছে। এখনো তার হাতে দুটি মন্ত্রণালয়ই রাখা আছে।

যদিও নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এখনো কোনো দপ্তর দেয়া হয়নি। অন্যদিকে উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের হাতে একই সাথে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছিল। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বলেও অভিযোগ ওঠে।

মাহফুজ আলম, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শেখ বশিরউদ্দীন

সর্বশেষ রবিবার শেখ বশিরউদ্দীন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি একই সাথে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন, যা আগে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনের হাতে ছিল।

মি. হোসেনকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা আগে আসিফ মাহমুদের হাতে ছিল। মি. মাহমুদ এখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় দেখবেন।

আইন মন্ত্রণালয় ছাড়াও প্রবাসী ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসিফ নজরুল। নতুন উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দেয়া হয়েছে। এদিকে, উপদেষ্টা হওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর মন্ত্রণালয় পেলেন আলী ইমাম মজুমদার। তাকে দেয়া হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাজার পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উপদেষ্টা ও পরিষদ নিয়ে বিতর্ক, ক্ষোভ

ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে সোমবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।বিক্ষোভকারীরা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্ররা যখন রাজপথে আওয়ামী লীগের দোসরদের তাড়াতে ব্যস্ত, ঠিক তখন আমরা খবর পাই নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হচ্ছে বঙ্গভবনে বসে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে যারা মনেপ্রাণে ধারণ করে তাদের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন দিয়েছে। তাদের রক্তকে পুঁজি করে যদি মনে করেন আপনারা উপদেষ্টা হবেন, পদ বাগিয়ে নেবেন তাহলে ভুল করছেন।

মি. আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ নিজেদের তাজা রক্ত ঢেলে ২৪ সালে দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু তাদের না জানিয়ে, তাদের প্রতিনিধিত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনারা কাদের পুনর্বাসনের ম্যান্ডেট নিয়েছেন- তা আমরা জানতে চাই। আমরা এখানে কোনো ছাড় দেব না। আপনারা মশকরা বন্ধ করেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “উপদেষ্টার আসনে এমন মানুষদের বসানো হয়েছে যাদের ২৪ এর আন্দোলনে কোনো মূখ্য ভূমিকা ছিল না। তাদের তাহলে কিসের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে? ছাত্র-জনতা তাদের উপদেষ্টা হিসেবে মানে না।”

অন্যদিকে এ সংগঠনের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন ‘শুধু একটা বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নাই! তার ওপর খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!

এই আন্দোলনের প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ লিখেছেন ‘যে কারো বিরোধিতা করতে আমি দ্বিধা করবো না এবং এ বিরোধিতা ন্যায্য ও দায়িত্বও বটে।’ মূলত উপদেষ্টা পরিষদে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাম ঘোষণার পরপরই শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ও সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন।

মি. ফারুকী ও তার অভিনেত্রী স্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উল্লেখ করে তারা একে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা অনেকে শেখ হাসিনার সাথে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার হাস্যোজ্জ্বল ছবিও পোস্ট করেছেন।

প্রসঙ্গত, মিজ তিশা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি করা ফিল্মে শেখ হাসিনার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী ঘরানার লোকজন উপদেষ্টা পরিষদে ঢুকে গেছে মন্তব্য করেছেন।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুকী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, “হাফিজ সাহেব সামাজিক মাধ্যমের ভ্রান্ত প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়েছেন।”

সোমবার প্রথম দিন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হলে তিনিও জেলে থাকতেন। তিনি দাবি করেছেন ২০১৮ সাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে সরকারের পতনের জন্য সক্রিয় ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল কি না, তার পুরস্কার হিসেবে এখানে দায়িত্ব পালন করতে এসেছি কি না, এসব বিষয় বড় নয়, আমার কাজ দিয়ে আমার অবস্থান বিবেচনা করতে হবে।”

অন্যদিকে শেখ বশিরউদ্দীন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের ভাই ও একটি মামলার আসামি এমন তথ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তার নাম সম্বলিত মামলার কাগজের ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে এটি সঠিক কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের আবেগের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আমার ধারণা, ওনারা মিস ইনফরমড (ভুল তথ্য পাওয়া)। ওনাদের তথ্যের ভিত্তি সঠিক নয়।”

এর আগে প্রথম দফায় উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়ার পরেই আলোচনায় আসে যে উপদেষ্টা পরিষদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। এছাড়া এ সরকারে ‘এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড’- এর লোকজন বেশি এমন মন্তব্যও ব্যাপক প্রচার পায়।

এ আলোচনা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত আটই নভেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এনজিও শাসিত আখ্যায়িত করে অবিরাম প্রচারণা চলছে। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্যও আছে।”

তিনি লিখেছেন, “তারা এই ধারণাটি প্রচার করছেন যে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তির আধিক্য রয়েছে। ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আনুষ্ঠানিক রেকর্ডে দেখা যায়, মাত্র চারজন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শীর্ষ আইনজীবী।”

বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন জনমনে স্বস্তি আনা ও অসন্তোষ দূর করার ক্ষেত্রে তিন মাসেও খুব একটা সাফল্য আসেনি বলেই উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হয়েছে।

“আওয়ামী লীগের লোকজন উপদেষ্টা পরিষদে এসে গেছে যারা বলছেন তারা আসলে ভাবছেন তাদের সাথে আলোচনা না করে এটা হলো কেন। নিজেরা ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন- আশঙ্কা থেকেই তারা বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিজ নাসরীন। সূত্র : বিবিসি বাংলা

r1 ad
r1 ad