না ফেরার দেশে পেরুর নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস য়োসা

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ১০
মারিও বার্গাস য়োসা [১৯৩৬ - ২০২৫]

২০ শতকের লাতিন আমেরিকান সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই। নিজ পরিবারের সান্নিধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে সাহিত্যে য়োসাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

রোববার (১৩ এপ্রিল) পেরুর রাজধানী লিমায় নিজ বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ বিদায় নিয়েছেন মারিও বার্গাস য়োসা। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

য়োসার ছেলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলভারো বার্গাস য়োসা এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে জানান, পারিবারিকভাবেই তার বাবার শেষকৃত্য করা হবে। কোনো নাগরিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে না।

১৯৩৬ সালে পেরুর আরেকুইপাতে জন্মগ্রহণ করেন নোবেলবিজয়ী এ ঔপন্যাসিক। দরিদ্র পরিবারে তার বেড়ে ওঠা ছিল ব্যাপক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। ধীরে ধীরে যখন বড় হন, প্রত্যক্ষ করেন পেরুর রাজনৈতিক টালমাটাল পরিবেশও।

এর মধ্যেই ১৯৪৮ সালে স্বৈরশাসক ম্যানুয়েল অদ্রিয়ার উত্থান ঘটে। সেই স্বৈরশাসন গভীরভাবে প্রভাব ফেলে কৈশোর থেকে তারুণ্যের দিকে ধাবমান য়োসার মধ্যে। ১৯৬৩ সালে তার প্রথম যে উপন্যাস ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’ প্রকাশিত হয়, সেটিও ছিল তার নিজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই। বিষয়বস্তু ছিল এক নিষ্ঠুর মিলিটারি একাডেমিতে কিশোরদের টিকে থাকার সংগ্রামের গল্প।

য়োসার লেখা ‘ডেথ ইন দ্য আন্দিজ’, ‘দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, ‘আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার’-এর মতো সাড়া জাগানো সব উপন্যাসগুলো কেবল লাতিন নয়, বিশ্বসাহিত্যেরই অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। নোবেল কমিটি তাকে পুরস্কৃত করার কারণ হিসেবে লিখেছিল, লেখনীর মাধ্যমে ক্ষমতা কাঠামোর মানচিত্র তুলে ধরা এবং ব্যক্তির প্রতিরোধ, বিদ্রোহ ও পরাজয়ের মর্মস্পর্শী চিত্র তুলে ধরার জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।

লাতিন আরও সাহিত্যের মতো য়োসাও সমাজতান্ত্রিক ধারণায় দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য রক্ষণশীল মতাদর্শ ধারণ করেন তিনি। ১৯৯০ সালে তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দ্বিতীয় দফার ভোটে তিনি আলবের্তো ফুজিমোরির কাছে পরাজিত হন।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরপরই স্পেনে চলে যান মারিও বার্গাস য়োসা। বছর তিনেক পরে তিনি স্পেনের নাগরিকত্বও নেন। ধারণা করা হয়, নির্বাচনে পরাজয়ের হতাশা থেকেই তিনি পেরু ত্যাগ করেন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ব্যাটল অব থার্মোপিলাই: সাহস ও আত্মত্যাগের অমর ইতিহাস

এই যুদ্ধের পটভূমি বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে তার আগের দশকগুলোতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালের আশপাশে পারস্য সাম্রাজ্য তখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য। বর্তমান ইরান, ইরাক, তুরস্ক, আফগানিস্তান, মিশরসহ এক বিশাল এলাকা জুড়ে পারস্যের শাসন বিস্তৃত ছিল।

১ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

এই শুল্ক কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাক শিল্প। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, যেখানে বছরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। বর্তমানে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কে প্রবেশ করত।

২ দিন আগে

ব্যাটল অব ম্যারাথন: সভ্যতার মোড় ঘোরানো যুদ্ধ

সমস্যার শুরু যখন পারস্যের অধীনে থাকা আয়োনীয় (বর্তমান তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চল) কিছু গ্রিক নগররাষ্ট্র বিদ্রোহ করে এবং অ্যাথেন্স তাদের সাহায্য করে। দরিয়ুস এটাকে নিজের সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেন এবং অ্যাথেন্সকে শিক্ষা দিতে একটি সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন।

৩ দিন আগে

পশ্চিম তীরে সংঘাতের ইতিহাস

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন শুরু করে। তারা বলেছিল, এটি ঐতিহাসিকভাবে ইহুদি জাতির ভূমি। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পশ্চিম তীর তাদের রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

৩ দিন আগে