সিন্ধু নদীর পানি নিয়ে কেন এত দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান?\n
গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তানের মদত রয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে ভারত। ১৯৬০ সালে সই হওয়ার পর এই প্রথম এই চুক্তি স্থগিত করা হলো।
তবে এ মুহূর্তে সিন্ধু নদীর পানি প্রবাহ আটকানোর মতো কোনো অবকাঠামো ভারতের নেই। সিআর পাতিল অবশ্য তাতে দমছেন না। তিনি বলেছেন, অবকাঠামো না থাকলেওে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই স্ট্যাটাস দেন পাতিল। তিনি লিখেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি— সম্ভাব্য তিনটি অপশন নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কাশ্মির হামলার জের ধরে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের প্রধান কৃষিভিত্তিক অঞ্চল পাঞ্জাবের মাঠ-ঘাট, খেত-খামার বাঁচিয়ে রাখে সিন্ধু ও এর শাখা নদীগুলোর পানি। পুরো দেশের খাদ্য উৎপাদনের বড় অংশও আসে এই এলাকা থেকে।
পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ এই পাঞ্জাবের সেচব্যবস্থার প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে সিন্ধু চুক্তির অধীনে পাওয়া বিভিন্ন নদীর পানির ওপর। ভারত পানি বন্ধ করে দিলে শুকিয়ে যাবে এই এলাকা। পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ব্যবস্থা আর অর্থনীতি— সব ধসে পড়বে।
এ কারণেই সিন্ধুর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ বা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা করা হলে তা যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।