পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের, চাইল স্বাধীনতার আগের পাওনা\n
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বৈঠকে দুই দেশই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বন্ধন ও জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় দুপক্ষের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই সব যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো দ্রুত চূড়ান্তকরণ, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে এবং শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
সংযোগকে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বৈঠকে দুপক্ষ করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌ যান চলাচল শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, দুই পক্ষই সরাসরি আবার আকাশপথে যোগাযোগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে। ভ্রমণ ও ভিসা সহজী করতে অগ্রগতির প্রতিও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলেছে, বৈঠকে দুই দেশ সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দিয়েছে। এ সময় কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।