বুধবারের মধ্যে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ সেন্ট পিটার্সে নেওয়া হতে পারে: ভ্যাটিকান

বিবিসি বাংলা
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১: ২৮

৮৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ভ্যাটিকান বলছে, শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ আগামী বুধবার নেওয়া হতে পারে সেন্ট পিার্ট ব্যাসিলিকায়।

ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি জানান, কার্ডিনালদের একটি দল বুধবার একত্রিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

মাত্তেও আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর দিনক্ষণের সিদ্ধান্ত আরও আগেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষজন বুধকবারের আগেও শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুমতি পেতে পারে।

তবে ভ্যাটিক্যানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে নেই পোপ ফ্রান্সিসের অনুরাগীরা। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই অসংখ্য মানুষ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় যেতে শুরু করেছেন।

এর আগে সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ ফ্রান্সিস। ২০১৩ সাল থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছিলেন।

৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমের সব পোপই ছিলেন ইউরোপিয়ান। প্রায় ১৩ শ বছর পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ হিসেবে নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। দায়িত্ব নিয়ে ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার চালু রাখলেও তিনি ছিলেন সবার কাছে জনপ্রিয়।

ধর্মযাজকের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও কানাডার আদিবাসীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সমলিঙ্গের যুগলদের আশীর্বাদ করতে রোমান ক্যাথলিক যাজকদের অনুমতিও দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামীদের (এলজিবিটি) জন্যও ক্যাথলিক গির্জার দরজা খোলা।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া

ত্রিশুল স্থল, আকাশ, মহাকাশ এবং মানবহীন নজরদারি সম্পদ একীভূত করার উপর জোর দিচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো একীভূত অভিযান, গভীর আক্রমণ এবং বহু-ডোমেন যুদ্ধ। এছাড়া পূর্ণ-চক্র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম অপারেশন এবং কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম কিল-চেইন যাচাই করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

১৭ ঘণ্টা আগে

দুর্বল শাসনই বাংলাদেশে সরকার পতনের কারণ: অজিত দোভাল

দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে দুর্বল শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তিনি বলেন, দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো প্রায়ই একটি দেশের সরকারের পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে, আর বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোতেও সেটিই

২ দিন আগে

ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতন, ভিডিও ফাঁসের জেরে ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ

পদত্যাগপত্রে মেজর জেনারেল ইফাত বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনবহির্ভূত কিছু করেননি, বরং সেনাবাহিনীর আইনি বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধ চলাকালে সেই বিভাগটি ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু’তে পরিণত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

২ দিন আগে

‘সুদানের এল-ফাশের থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে’

২ দিন আগে