বিশ্ব নেতাদের নিয়ে সামরিক শক্তি প্রদর্শন চীনের

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৫

বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতার উপস্থিতে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে চীনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হওয়া এই সামরিক কুচকাওয়াজে স্টেলথ ফাইটার, ট্যাংক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। কুচকাওয়াজে বিশ্বকে শান্তি ও সংলাপের পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বুধবার সকালে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে এই কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, সামরিক প্রদর্শনীতে হাজির করা অস্ত্রগুলো ছিল সর্বাধুনিক ও বহরে সবশেষ যোগ হওয়া।

বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

তিয়ানআনমেনের গেট অব হেভেনলি পিস থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ১০ হাজার সদস্যের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদর্শনীতে শি ঘোষণা দেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথেই অগ্রসর হতে থাকবে। তিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয় এবং বিশ্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বিদেশি সরকারগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা বলেন, যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানবজাতি আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেটি হলো- শান্তি নাকি যুদ্ধ, সংলাপ নাকি মুখোমুখি সংঘাত, পারস্পরিক লাভজনক ফলাফল নাকি একজনের লাভ ও আরেকজনের ক্ষতি।

সামরিক প্রদর্শনীতে ছিল, নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মিসাইল, ব্যালিস্টিক মিসাইল, পানিতে চলাচলে সক্ষম ড্রোন, যুদ্ধবিমান, প্রাথমিক সতর্কতা বিমান এবং বিমান জ্যামিং সিস্টেম। আরও ছিল, দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল। প্রদর্শনী দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক।

চীনের এমন প্রদর্শনী নিয়ে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিশ্লেষক ইয়ান চং বলছেন, এমন প্রদর্শনীর পেছনে শি জিনপিংয়ের একটি উদ্দেশ্য আছে। সেটি হলো চীন একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে সেটি বোঝানো। এই প্রদর্শনীর সময় বিশ্বের অন্য দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এটিরও অর্থ আছে। সেটি কোনো চাপ বা ভয় তৈরি করা নয়, বরং এটি বোঝানো যে, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে ভীত নয়।

প্রদর্শনীর সময় আকাশে চীনা বিমানবাহিনী কসরত দেখায়। তখন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ন্যায়বিচার জয়ী হবে’, ‘শান্তি জয়ী হবে’ এবং ‘জনগণ জয়ী হবে’।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় নিহত ৫৫

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে অবস্থিত দারুল জামা গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র যোদ্ধারা মোটরসাইকেলে করে এসে গুলি চালায় এবং ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

১৯ ঘণ্টা আগে

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৬৭

২১ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্পের কণ্ঠে নরম সুর, মোদিও বললেন ‘পূর্ণ প্রতিদান দেবো’

ট্রাম্প-মোদির সুর পালটে দেওয়া এমন নরম বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্কে যে চড়াই-উৎরাই চলছে, তাতে কি শেষ পর্যন্ত বরফ গলতে শুরু করল?

১ দিন আগে

ড. ইউনূস দেশটাকে মবের রাজত্ব বানিয়েছেন: প্রিন্স

তিনি বলেন, ‘এটা (মব) আমরা চাই না। অতএব ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার এই সরকারের নেই। তাই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আপনি আপনার কাজে ফিরে যান।’

১ দিন আগে