প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
কক্সবাজারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতার আলোচিত সফর প্রসঙ্গে দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী। সেখানে তিনি লিখেছেন, গভীরভাবে ভাবতেই দলের বাকিদের সঙ্গে তিনি কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়’ উল্লেখ করে নাসির লিখেছেন, কেবল দলীয় বৈঠকে নয়, নির্জন ঘর বা সাগরপারেও ইতিহাস জন্ম নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে কারণ দর্শানোর নোটিশের এই জবাব পোস্ট করেছেন নাসির। এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) দল থেকে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তার সঙ্গে আরও ছিলেন এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে তা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে যেখানে ঢাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চলছে দিনভর আয়োজন, বিকেলে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ হবে, সেখানে আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা পাঁচ নেতার কক্সবাজার সফরকে অনেকেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন। পরদিন এ বিষয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এনসিপি।
এর আগে একাধিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ওই পাঁচ নেতা বৈঠক করেছেন। পরে অবশ্য জানা যায়, পিটার হাস বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন না।
এনসিপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের মাধ্যমে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পাঠানো নোটিশের জবাবে নাসিরুদ্দীন লিখেছেন, ‘৫ আগস্ট আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি।’
এ পরিস্থিতিতে দলের আরেক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রস্তাবে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জানিয়ে নাসীরুদ্দীন লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন ব্যবহার করে আমাকে জানায়, স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবে। আমি তাকে আহ্বায়ক মহোদয়কে অবহিত করতে বলি এবং সে জানায় যে বিষয়টি জানাবে, এবং আমাকেও জানাতে বলে যেহেতু তার নিজস্ব ফোন পদযাত্রায় চুরি হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে পার্টি অফিসে আমি আহ্বায়ক মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাই। একই রাতে আমি সদস্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি এবং জানতে পারি যে রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং সেখানে আমার কোনো কাজ নাই। আমি কোনো দায়িত্বে না থাকায়, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।’
ঘুরতে গেলেও রাজনীতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনাই প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে নোটিশের জবাবে উল্লেখ করেছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা-ভাবনা করা। সাগরের পারে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
তাদের কক্সবাজার সফরে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন নিয়েও লিখেছেন নাসীর। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার পৌঁছানোর পর হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা নাকি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায়, সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।’
‘এই গুজব একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা। অতীতেও আমি এই হোটেলে থেকেছি এবং কখনো কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। অতীতেও আমি বেশ কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি, কিন্তু ঘুরতে আসলে দলের বিধিমালা লঙ্ঘন হয়— এমন কোনো বার্তা আমাকে কখনো দল থেকে দেওয়া হয়নি,’— লিখেছেন নাগরিক পার্টির এই নেতা।
নোটিশের সমালোচনা করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘পরিস্থিতির আলোকে আমি মনে করি, শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র। তবু দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে।’
নাসীরুদ্দীন তার জবাবে আরও লিখেছেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট— ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পারেও জন্ম নেয়।’
নাসিরুদ্দীনের পাশাপাশি হাসনাত আব্দুল্লাহও কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের একটি কপি তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। তিনি তার জবাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের সমালোচনা করেন। জানান, এই ঘোষণাপত্রের নীরব প্রতিবাদ জানাতেই কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
নাসীরুদ্দীনের মতো হাসনাতও কারণ দর্শানোর নোটিশের সমালোচনা করেছেন জবাবে। বলেছেন, পার্টির উচিত ছিল মিডিয়া অপপ্রচার ও গোয়েন্দা হয়রানির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। কিন্তু পার্টির শোকজে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই ষড়যন্ত্রকেই যুক্তি ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে।
হাসনাত দাবি করেন, ‘এটি (শোকজ) বিধিবহির্ভূত। কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে শোকজ করতে হলে গঠনতন্ত্র বা বাই-লজের নির্দিষ্ট কোনো ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকতে হয়। আমাকে দেওয়া শোকজে এমন কিছু উল্লেখ নেই, কারণ আমি কোনো আইন ভাঙিনি।’
কক্সবাজারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতার আলোচিত সফর প্রসঙ্গে দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী। সেখানে তিনি লিখেছেন, গভীরভাবে ভাবতেই দলের বাকিদের সঙ্গে তিনি কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়’ উল্লেখ করে নাসির লিখেছেন, কেবল দলীয় বৈঠকে নয়, নির্জন ঘর বা সাগরপারেও ইতিহাস জন্ম নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে কারণ দর্শানোর নোটিশের এই জবাব পোস্ট করেছেন নাসির। এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) দল থেকে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তার সঙ্গে আরও ছিলেন এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে তা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে যেখানে ঢাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চলছে দিনভর আয়োজন, বিকেলে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ হবে, সেখানে আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা পাঁচ নেতার কক্সবাজার সফরকে অনেকেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন। পরদিন এ বিষয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এনসিপি।
এর আগে একাধিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ওই পাঁচ নেতা বৈঠক করেছেন। পরে অবশ্য জানা যায়, পিটার হাস বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন না।
এনসিপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের মাধ্যমে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পাঠানো নোটিশের জবাবে নাসিরুদ্দীন লিখেছেন, ‘৫ আগস্ট আমার কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও আমাকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়নি।’
এ পরিস্থিতিতে দলের আরেক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রস্তাবে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জানিয়ে নাসীরুদ্দীন লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন ব্যবহার করে আমাকে জানায়, স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবে। আমি তাকে আহ্বায়ক মহোদয়কে অবহিত করতে বলি এবং সে জানায় যে বিষয়টি জানাবে, এবং আমাকেও জানাতে বলে যেহেতু তার নিজস্ব ফোন পদযাত্রায় চুরি হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি লিখেছেন, ‘৪ আগস্ট রাতে পার্টি অফিসে আমি আহ্বায়ক মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাই। একই রাতে আমি সদস্য সচিব মহোদয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি এবং জানতে পারি যে রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে দল থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছেন এবং সেখানে আমার কোনো কাজ নাই। আমি কোনো দায়িত্বে না থাকায়, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।’
ঘুরতে গেলেও রাজনীতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনাই প্রধান লক্ষ্য ছিল বলে নোটিশের জবাবে উল্লেখ করেছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে এই ঘোরার লক্ষ্য ছিল রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে চিন্তা-ভাবনা করা। সাগরের পারে বসে আমি গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি গণঅভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে। আমি এটিকে কোনো অপরাধ মনে করি না, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি একটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা।’
তাদের কক্সবাজার সফরে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন নিয়েও লিখেছেন নাসীর। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার পৌঁছানোর পর হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা নাকি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাই যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানায়, সেখানে পিটার হাস নামে কেউ নেই। পরে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।’
‘এই গুজব একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা। অতীতেও আমি এই হোটেলে থেকেছি এবং কখনো কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। অতীতেও আমি বেশ কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি, কিন্তু ঘুরতে আসলে দলের বিধিমালা লঙ্ঘন হয়— এমন কোনো বার্তা আমাকে কখনো দল থেকে দেওয়া হয়নি,’— লিখেছেন নাগরিক পার্টির এই নেতা।
নোটিশের সমালোচনা করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘পরিস্থিতির আলোকে আমি মনে করি, শোকজ নোটিশটি বাস্তবভিত্তিক নয়। আমার সফর ছিল স্বচ্ছ, সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী নয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনার সুযোগ মাত্র। তবু দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি এই লিখিত জবাব প্রদান করছি। অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন হিসেবে।’
নাসীরুদ্দীন তার জবাবে আরও লিখেছেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট— ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংয়ে নয়, অনেক সময় নির্জন চিন্তার ঘরে বা সাগরের পারেও জন্ম নেয়।’
নাসিরুদ্দীনের পাশাপাশি হাসনাত আব্দুল্লাহও কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের একটি কপি তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। তিনি তার জবাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের সমালোচনা করেন। জানান, এই ঘোষণাপত্রের নীরব প্রতিবাদ জানাতেই কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
নাসীরুদ্দীনের মতো হাসনাতও কারণ দর্শানোর নোটিশের সমালোচনা করেছেন জবাবে। বলেছেন, পার্টির উচিত ছিল মিডিয়া অপপ্রচার ও গোয়েন্দা হয়রানির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। কিন্তু পার্টির শোকজে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা এই ষড়যন্ত্রকেই যুক্তি ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে।
হাসনাত দাবি করেন, ‘এটি (শোকজ) বিধিবহির্ভূত। কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে শোকজ করতে হলে গঠনতন্ত্র বা বাই-লজের নির্দিষ্ট কোনো ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকতে হয়। আমাকে দেওয়া শোকজে এমন কিছু উল্লেখ নেই, কারণ আমি কোনো আইন ভাঙিনি।’
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, সপ্তম দিনে ডাকসুর বিভিন্ন পদে জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে ৪৪২ জন। এখন পর্যন্ত সাত দিনে ডাকসুতে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৬৫ জন এবং ১৮টি হল সংসদের জন্য মোট মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে এক হাজার ২২৬ জন।
১৭ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেডাকসুকে ভিপি পদে প্রার্থী সাদিক কায়েম শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। অন্যদিকে জিএস পদে প্রার্থী এস এম ফরহাদ শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি।
২০ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদেক কায়েমকে ভিপি ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদকে জিএস করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
১ দিন আগে