বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেনকে হত্যার দিনে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ রোববার রাজপথে নামার ঘোষণা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ হয়েছে।
‘খুনি কেন বাহিরে, মুগ্ধ কেন কবরে,’ ‘নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’—এমন স্লোগান দেন তারা।
রোববার ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পয়েন্ট ছাত্র-জনতার দখলে থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, "৪ আগস্ট যেমন বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে প্রতিহত করা হয়েছে- তারা যদি আবার মাঠে নামে তবে এবারের পরিণতি তার থেকেও খারাপ হবে।"
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টায় নোয়াখালীর মাইজদীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুকে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, "১০ নভেম্বর হোক ইউনুসের ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসনের অবসান এর শুরু।"
তবে গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে শনিবার হুঁশিয়ার করেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া কয়েকটি পোস্টে রোববার বিকাল তিনটায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতা-কর্মীদের জড়ো হয়ে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
জবাবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে আগামীকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গণজমায়েতের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগের ফেইসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে।”
এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (৯ নভেম্বর) দেওয়া স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, "গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।"
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেন, "দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।"
শফিকুল আলম আরও লিখেন, "বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই।"
"গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে," বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।"
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন’র অংশ হিসেবে একটি মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন পুরানো ঢাকার বাসিন্দা নূর হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, খালি গায়ে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এই শ্লোগান ধারণ করে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় তৎকালিন স্বৈরাচার বিরোধী একটি মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন নূর হোসেন। ওই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন।
আওয়ামী লীগের ফেইসবুক পোস্টে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, "১০ নভেম্বর নূর হোসেন চত্তরের নেতৃত্ব দেবে কে?"
জবাবে বলা হয়, "আমি আপনি ও আমরা - আমরা সবাই নূর হোসেন।"
এতে আরও বলা হয়, "বাঁধা আসলে, সেই বাঁধা অতিক্রম করতে আওয়ামী লীগ জানে।
যারা ঢাকায় আছেন, তারা প্রস্তুতি নিন, কাল গুলিস্তান দখলে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের।"
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেনকে হত্যার দিনে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ রোববার রাজপথে নামার ঘোষণা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ হয়েছে।
‘খুনি কেন বাহিরে, মুগ্ধ কেন কবরে,’ ‘নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’—এমন স্লোগান দেন তারা।
রোববার ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পয়েন্ট ছাত্র-জনতার দখলে থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, "৪ আগস্ট যেমন বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে প্রতিহত করা হয়েছে- তারা যদি আবার মাঠে নামে তবে এবারের পরিণতি তার থেকেও খারাপ হবে।"
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টায় নোয়াখালীর মাইজদীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুকে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, "১০ নভেম্বর হোক ইউনুসের ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসনের অবসান এর শুরু।"
তবে গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে শনিবার হুঁশিয়ার করেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া কয়েকটি পোস্টে রোববার বিকাল তিনটায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতা-কর্মীদের জড়ো হয়ে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
জবাবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে আগামীকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গণজমায়েতের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগের ফেইসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে।”
এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (৯ নভেম্বর) দেওয়া স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, "গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।"
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেন, "দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।"
শফিকুল আলম আরও লিখেন, "বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই।"
"গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে," বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।"
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন’র অংশ হিসেবে একটি মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন পুরানো ঢাকার বাসিন্দা নূর হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, খালি গায়ে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এই শ্লোগান ধারণ করে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় তৎকালিন স্বৈরাচার বিরোধী একটি মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন নূর হোসেন। ওই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন।
আওয়ামী লীগের ফেইসবুক পোস্টে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, "১০ নভেম্বর নূর হোসেন চত্তরের নেতৃত্ব দেবে কে?"
জবাবে বলা হয়, "আমি আপনি ও আমরা - আমরা সবাই নূর হোসেন।"
এতে আরও বলা হয়, "বাঁধা আসলে, সেই বাঁধা অতিক্রম করতে আওয়ামী লীগ জানে।
যারা ঢাকায় আছেন, তারা প্রস্তুতি নিন, কাল গুলিস্তান দখলে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের।"
জুলিয়াস সিজার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র ইউনিয়ন বলছে, শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন করতেন তিনি। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরকে যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের গণহত্যার দোসর ইসলামী ছাত্র সংঘের সরাসরি উত্তরাধিকার বলে অভিহিত করেছে সংগ
৯ ঘণ্টা আগেনির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো সংশয় নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১০ ঘণ্টা আগেরিজভী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে সেগুলো বাতিল করে ভোটারবান্ধব কেন্দ্র হতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে যেসব কেন্দ্র হয়েছে সেগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
১০ ঘণ্টা আগেদলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কোমো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে মাহিন সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্রদের একটি প্যানেল 'ডিইউ ফার্স্টে'র হয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
১ দিন আগে