আল্লাহ-রসুলের কটূক্তিকারীদের ‘কল্লা কাটা’র স্বাধীনতা চান এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী\n
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঘৃণা ছড়ানো বাক্স্বাধীনতা নয়। বাক্স্বাধীনতার সীমা-পরিসীমাগুলোও সবার জানা থাকা জরুরি। কিন্তু এ দেশে মূলত ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে নাস্তিকতা, মুক্তমনা ও প্রগতিশীলতা চর্চার নামে ইসলাম, রাসুল (সা.) ও মুসলমানদের নিয়ে জনপরিসরে কটূক্তি ও ঘৃণার চর্চা দেখা যায়। এটা রোধ করার দায়িত্ব সরকারের।’
হেফাজত নেতারা অভিযোগ করেন, দিল্লির যোগসাজশে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নতুন অস্থিরতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রগতিশীল লোক তৌহিদি জনতাকে একের পর এক উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। সরকারকে অবিলম্বে এসব উসকানিদাতাকে থামাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এদিকে আলাদা এক বিবৃতিতে রাখাল রাহার ধর্ম অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দায়ে রাখাল রাহাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ছাড়া শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাওহিদি ছাত্র-জনতার ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেও রাখাল রাহার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, সরকার ব্যবস্থা না নিলে ইসলামপন্থিরা নিজেরাই রাখাল রাহার মতো নাস্তিকদের ফাঁসি কার্যকর করবে। এ সময় তিনি আল্লাহ-রাসুলসহ (সা.) ধর্ম অবমাননাকারীদের জন্য ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।