
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ও প্রক্টর জামায়াত-শিবির সমর্থিত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসু নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
তার অভিযোগ, একদিকে জামায়াত, অন্যদিকে বিএনপি— দুটি দল মিলে ঢাবিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে চলেছে। একটি দল প্রক্টরিয়াল বডিতে থাকলে আরেকটি দল থাকছে ডিনস প্যানেলে। ডাকসু নির্বাচনেও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পরস্পরকে করা পালটাপালটি অভিযোগের চিত্রকে ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াই হিসেবেই দেখছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির টিএসসি এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আব্দুল কাদের। এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও এজিএস প্রার্থী আশরেফা আক্তারও বক্তব্য রাখেন। ডাকসু নির্বাচন ঘিরে তারাও নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে, ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে নিমজ্জিত। আমরা দেখেছি, ভিসি, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা সবাই ভাগাভাগির মাধ্যমে পদ বণ্টন করেছেন। তাদের কেউ জামায়াতপন্থি, কেউ বিএনপিপন্থি। সেখানে তারা নিজ নিজ দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।
কাদের কারও বলেন, বিশেষ করে বলতে চাই এসএমটির (সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম) কথা। ঢাবি উপাচার্য এই এসএমটি গঠন করেছেন। যে প্রক্টরের মর্যাদা শিক্ষকের সমান, যার পদক্রম উপাচার্যের অনেক নিচে, সেই প্রক্টরকে এসএমটিতে জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে উপাচার্য অনেক ক্ষমতাশালী করেছেন। তাকে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে বসানো হয়েছে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই নেতা বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের নির্বাচন ছিল না। এটি স্পষ্টত জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে হিসাব-নিকাশ ও ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন।
ঢাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আমরা আগে থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অথর্ব, আনাড়ি, অনভিজ্ঞ ও নতজানু। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগ ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে, অন্যটি শিবিরের। প্রচার থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত তারা অনেক বিধিনিষেধ দিলেও প্রার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করেছে। কিন্তু কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের কৌশল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল কাদের। বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু কমিশনের অদক্ষতা প্রমাণ করেছে, তারা ব্যর্থ। ভেতরে-বাইরে উভয় দিক থেকে ছাত্রদল ও শিবির মেকানিজম চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ ছিল সাদিক কায়েম ভেতরে থেকে মেকানিজম করেছে, বাইরে থেকেও ছাত্রদল প্রভাব খাটিয়েছে। সকাল থেকে বারবার রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, আমরা দেখেছি, ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই ব্যালট পেপারে নাম পূরণ করা ছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে কেবল সেই ব্যালট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এটা কোনো সমাধান নয়।
হলগুলোতে শৃঙ্খলা কমিটির নামে প্রক্টর ছায়া সরকার চালাচ্ছেন এবং ‘মেকানিজম করেছেন’ বলেও অভিযোগ কাদেরের। তিনি বলেন, ১৭০ জন পোলিং অফিসার নিয়োগের বিষয়েও কেবল প্রক্টরই জানতেন। সব মিলিয়ে আজকের নির্বাচন শিক্ষার্থীরা আন্তরিকভাবে অংশ নিলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা এবং দলীয় প্রভাবের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন আব্দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, আজ সারাদিন আমরা অনেক অসঙ্গতি লক্ষ করেছি। নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম যে সাজসজ্জা বা ডেকোরেশন ক্যাম্পাসে করার কথা ছিল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০০ মিটারের ভেতরে প্রচার নিষিদ্ধ করার যে নিয়ম, তা স্পষ্ট লাল দাগ টেনে দেখানো হয়নি। কোথা থেকে ভোটার প্রবেশ করবে, কোথা থেকে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না— এসব রুলস ও রেগুলেশন অনুযায়ী পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব ছিল কমিশনের। কিন্তু তারা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
বাকের আরও বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও পরে বিভিন্ন হলে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বিশেষ করে একুশে হল, রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল— এ তিনটি হলে সরাসরি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, সেখানে দেখা গেছে, এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছে। ছাত্রদল শিবিরকে, আবার শিবির ছাত্রদলকে দায়ী করছে। অথচ ক্যাম্পাসে স্পষ্ট দেখা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত উভয় সংগঠনই চারপাশে অবস্থান করছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তারা তাদের ছাত্রসংগঠনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ও প্রক্টর জামায়াত-শিবির সমর্থিত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসু নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
তার অভিযোগ, একদিকে জামায়াত, অন্যদিকে বিএনপি— দুটি দল মিলে ঢাবিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে চলেছে। একটি দল প্রক্টরিয়াল বডিতে থাকলে আরেকটি দল থাকছে ডিনস প্যানেলে। ডাকসু নির্বাচনেও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পরস্পরকে করা পালটাপালটি অভিযোগের চিত্রকে ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াই হিসেবেই দেখছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির টিএসসি এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আব্দুল কাদের। এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও এজিএস প্রার্থী আশরেফা আক্তারও বক্তব্য রাখেন। ডাকসু নির্বাচন ঘিরে তারাও নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে, ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে নিমজ্জিত। আমরা দেখেছি, ভিসি, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা সবাই ভাগাভাগির মাধ্যমে পদ বণ্টন করেছেন। তাদের কেউ জামায়াতপন্থি, কেউ বিএনপিপন্থি। সেখানে তারা নিজ নিজ দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।
কাদের কারও বলেন, বিশেষ করে বলতে চাই এসএমটির (সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম) কথা। ঢাবি উপাচার্য এই এসএমটি গঠন করেছেন। যে প্রক্টরের মর্যাদা শিক্ষকের সমান, যার পদক্রম উপাচার্যের অনেক নিচে, সেই প্রক্টরকে এসএমটিতে জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে উপাচার্য অনেক ক্ষমতাশালী করেছেন। তাকে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে বসানো হয়েছে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই নেতা বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের নির্বাচন ছিল না। এটি স্পষ্টত জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে হিসাব-নিকাশ ও ক্ষমতার ভাগাভাগির নির্বাচন।
ঢাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আমরা আগে থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অথর্ব, আনাড়ি, অনভিজ্ঞ ও নতজানু। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগ ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে, অন্যটি শিবিরের। প্রচার থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত তারা অনেক বিধিনিষেধ দিলেও প্রার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করেছে। কিন্তু কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের কৌশল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল কাদের। বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু কমিশনের অদক্ষতা প্রমাণ করেছে, তারা ব্যর্থ। ভেতরে-বাইরে উভয় দিক থেকে ছাত্রদল ও শিবির মেকানিজম চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ ছিল সাদিক কায়েম ভেতরে থেকে মেকানিজম করেছে, বাইরে থেকেও ছাত্রদল প্রভাব খাটিয়েছে। সকাল থেকে বারবার রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, আমরা দেখেছি, ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই ব্যালট পেপারে নাম পূরণ করা ছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে কেবল সেই ব্যালট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এটা কোনো সমাধান নয়।
হলগুলোতে শৃঙ্খলা কমিটির নামে প্রক্টর ছায়া সরকার চালাচ্ছেন এবং ‘মেকানিজম করেছেন’ বলেও অভিযোগ কাদেরের। তিনি বলেন, ১৭০ জন পোলিং অফিসার নিয়োগের বিষয়েও কেবল প্রক্টরই জানতেন। সব মিলিয়ে আজকের নির্বাচন শিক্ষার্থীরা আন্তরিকভাবে অংশ নিলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা এবং দলীয় প্রভাবের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন আব্দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, আজ সারাদিন আমরা অনেক অসঙ্গতি লক্ষ করেছি। নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম যে সাজসজ্জা বা ডেকোরেশন ক্যাম্পাসে করার কথা ছিল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০০ মিটারের ভেতরে প্রচার নিষিদ্ধ করার যে নিয়ম, তা স্পষ্ট লাল দাগ টেনে দেখানো হয়নি। কোথা থেকে ভোটার প্রবেশ করবে, কোথা থেকে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না— এসব রুলস ও রেগুলেশন অনুযায়ী পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব ছিল কমিশনের। কিন্তু তারা তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
বাকের আরও বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও পরে বিভিন্ন হলে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বিশেষ করে একুশে হল, রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল— এ তিনটি হলে সরাসরি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, সেখানে দেখা গেছে, এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছে। ছাত্রদল শিবিরকে, আবার শিবির ছাত্রদলকে দায়ী করছে। অথচ ক্যাম্পাসে স্পষ্ট দেখা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত উভয় সংগঠনই চারপাশে অবস্থান করছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তারা তাদের ছাত্রসংগঠনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একতরফা ও স্বেচ্ছাচারী পদ্ধতিতে যে নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয় যে নির্বাচন কমিশন সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলছে।
২০ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘যে তরুণরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পর্বত সমান হস্তিকে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’
১ দিন আগে