ডয়চে ভেলে
সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন চায় না নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে বিএনপি তাদের আগের অবস্থানে অনড়। নতুন অবস্থান জানিয়েছে জামায়াত, তারা এখন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচন চায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বলছে, ডিসেম্বরে ভোট ধরেই তারা প্রস্ততি নিচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও আগের মতোই বলা যাচ্ছে, সংস্কারের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।
জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। তখন নির্বাচন করা না গেলে এপ্রিলের পর আর যাওয়া ঠিক হবে না বলে মত দেন তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে। তবে যদি এ সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থার পর্যায়ে না আসে, তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত না। কারণ এরপর কোরবানির ঈদ ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে জামায়াতের আমির লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ফিরে রোজার আগে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। পরে আবার ব্যাখায় বলেন, আগে সংস্কার হতে হবে।
এদিকে শুক্রবারও ঢাকায় এনসিপি তাদের সমাবেশে বলেছে, আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আর বিএনপি বারবার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে। তা না হলে দলটি আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকবারই বলেছেন যে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে একেবারে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো স্পষ্ট হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নানা কারণে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নানা মত, আর অন্তর্বর্তী সরকার সময় নির্দিষ্ট করে না বলায় নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সবার কথা শুনলে মনে হয় এখন সবকিছুই অস্বচ্ছ হয়ে পড়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল-জাজিরার সঙ্গে যে সাক্ষাৎকার দিলেন সেখানে তিনি তো বলেই দিলেন, জনগণ চায় তিনি আরও কিছুদিন থাকুন। এটাতে বোঝা যায়, তার নিয়ত খারাপ।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এই ঢাবি অধ্যাপক বলেন, এ টপিনের মধ্যেও কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। উদ্দেশ্য হতে পারে— তিনি যে থাকতে চান, তার জন্য বৃহৎ শক্তির একটা সমর্থন তিনি পেতেও পারেন।
তবে আল-জাজিরার সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এটাও বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, সময়সীমাটি নির্ভর করবে সংস্কারের বিষয়ে কতটা ঐকমত্য তৈরি হয় তার ওপর।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছে না সরকারের অবস্থান নিয়ে। দলটির নেতারা মনে করছেন, সরকার নানা অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে চাইছে। কিছু রাজনৈতিক দলও নানা স্বার্থে সরকারের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোন দল কী চায় তার চেয়ে বড় কথা হলো দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। তারা ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশে যেন কেউ নির্বাচন না চায়, তেমন একটি পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা দেখছি। কোনো কোনো গোষ্ঠী এটা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে।
বিএনপির দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। যে যে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে এরই মধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে তারা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তা করতে সাত দিন লাগে। এর বাইরে চিন্তা করা ঠিক না। স্বৈরাচার পতনের পর মানুষের এখন চাওয়া তার গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়া। আর সেটার জন্যই দ্রুত নির্বাচন দরকার।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এখন দ্রুত নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচন যথাসময়ে চায় না বা কালক্ষেপণ করতে চায়, তারা আসলে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিপরীতে কথা বলছেন। দেশে নির্বাচন যত দেরি হবে জটিলতা তত বাড়বে। নানা অপশক্তি তৎপর হবে৷ সরকার তা সামলাতে পারবে না।’
সিপিবির এই নেতা জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। সংস্কারের ব্যাপারে তার অভিমত, রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে সেগুলো নিয়েই কাজ শুরু করা যেতে পারে। তাতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।
‘আর যারা বিচার শেষ হওয়ার কথা বলছে, তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নাই। এতে অনেক সময় লাগে। নির্বাচন কি ততদিন হবে না?,’— প্রশ্ন করেন প্রিন্স।
তবে নির্বাচনে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একাংশের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। তাদের মতে, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ার ব্যাপারেও অবস্থান নিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আগে নির্বাচন হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন দলের নেতারা। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেনি দলটি।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ক্ষমতাকে একমুখী করে রাখা এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরই বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা ঠিক না করে তো নির্বাচন দিয়ে কোনো লাভ নাই।
এনসিপির প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থকে সামনে রেখে সব দলকে ঐকমত্যে আসতে হবে। আর এই দায়িত্ব সরকারের। সরকারকেই এটা সব দলকে বুঝাতে হবে যে বিচার আগেই মৌলিক সংস্কার দরকার। নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র কাজ না। তাদের সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি চায় না বলে হবে না, সেটা তো হতে পারে না।
এনসিপি মনে করে, সবার আগে সংস্কারের রোডম্যাপ দরকার। তারপর নির্বাচন। মনিরা শারমিন বলেন, এ কারণে আমরা নির্বাচনের কোনো টাইম ফ্রেম বেধে দিতে চাই না।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা করে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তাই হবে। তিনি অনড় আছেন।’
ড. ইউনূসের ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে আসছে নির্বাচন কমিশনও। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই এগুচ্ছে তারা।
নির্বাচন কমিশন জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন। সেই টার্গেটে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে নির্বাচনের তফসিল হবে রাজনৈতিক দল ও সরকারের মতামতের ওপর ভিত্তি করে।
সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের আগে নির্বাচন চায় না নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে বিএনপি তাদের আগের অবস্থানে অনড়। নতুন অবস্থান জানিয়েছে জামায়াত, তারা এখন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচন চায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বলছে, ডিসেম্বরে ভোট ধরেই তারা প্রস্ততি নিচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও আগের মতোই বলা যাচ্ছে, সংস্কারের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।
জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। তখন নির্বাচন করা না গেলে এপ্রিলের পর আর যাওয়া ঠিক হবে না বলে মত দেন তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে। তবে যদি এ সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থার পর্যায়ে না আসে, তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত না। কারণ এরপর কোরবানির ঈদ ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে জামায়াতের আমির লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ফিরে রোজার আগে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। পরে আবার ব্যাখায় বলেন, আগে সংস্কার হতে হবে।
এদিকে শুক্রবারও ঢাকায় এনসিপি তাদের সমাবেশে বলেছে, আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আর বিএনপি বারবার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে। তা না হলে দলটি আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকবারই বলেছেন যে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে একেবারে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো স্পষ্ট হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নানা কারণে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নানা মত, আর অন্তর্বর্তী সরকার সময় নির্দিষ্ট করে না বলায় নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সবার কথা শুনলে মনে হয় এখন সবকিছুই অস্বচ্ছ হয়ে পড়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল-জাজিরার সঙ্গে যে সাক্ষাৎকার দিলেন সেখানে তিনি তো বলেই দিলেন, জনগণ চায় তিনি আরও কিছুদিন থাকুন। এটাতে বোঝা যায়, তার নিয়ত খারাপ।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এই ঢাবি অধ্যাপক বলেন, এ টপিনের মধ্যেও কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। উদ্দেশ্য হতে পারে— তিনি যে থাকতে চান, তার জন্য বৃহৎ শক্তির একটা সমর্থন তিনি পেতেও পারেন।
তবে আল-জাজিরার সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এটাও বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, সময়সীমাটি নির্ভর করবে সংস্কারের বিষয়ে কতটা ঐকমত্য তৈরি হয় তার ওপর।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছে না সরকারের অবস্থান নিয়ে। দলটির নেতারা মনে করছেন, সরকার নানা অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে চাইছে। কিছু রাজনৈতিক দলও নানা স্বার্থে সরকারের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোন দল কী চায় তার চেয়ে বড় কথা হলো দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। তারা ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশে যেন কেউ নির্বাচন না চায়, তেমন একটি পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা দেখছি। কোনো কোনো গোষ্ঠী এটা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে।
বিএনপির দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। যে যে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে এরই মধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে তারা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তা করতে সাত দিন লাগে। এর বাইরে চিন্তা করা ঠিক না। স্বৈরাচার পতনের পর মানুষের এখন চাওয়া তার গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়া। আর সেটার জন্যই দ্রুত নির্বাচন দরকার।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এখন দ্রুত নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচন যথাসময়ে চায় না বা কালক্ষেপণ করতে চায়, তারা আসলে গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিপরীতে কথা বলছেন। দেশে নির্বাচন যত দেরি হবে জটিলতা তত বাড়বে। নানা অপশক্তি তৎপর হবে৷ সরকার তা সামলাতে পারবে না।’
সিপিবির এই নেতা জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। সংস্কারের ব্যাপারে তার অভিমত, রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে সেগুলো নিয়েই কাজ শুরু করা যেতে পারে। তাতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।
‘আর যারা বিচার শেষ হওয়ার কথা বলছে, তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নাই। এতে অনেক সময় লাগে। নির্বাচন কি ততদিন হবে না?,’— প্রশ্ন করেন প্রিন্স।
তবে নির্বাচনে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একাংশের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। তাদের মতে, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ার ব্যাপারেও অবস্থান নিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আগে নির্বাচন হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন দলের নেতারা। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেনি দলটি।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ক্ষমতাকে একমুখী করে রাখা এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরই বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা ঠিক না করে তো নির্বাচন দিয়ে কোনো লাভ নাই।
এনসিপির প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থকে সামনে রেখে সব দলকে ঐকমত্যে আসতে হবে। আর এই দায়িত্ব সরকারের। সরকারকেই এটা সব দলকে বুঝাতে হবে যে বিচার আগেই মৌলিক সংস্কার দরকার। নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র কাজ না। তাদের সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি চায় না বলে হবে না, সেটা তো হতে পারে না।
এনসিপি মনে করে, সবার আগে সংস্কারের রোডম্যাপ দরকার। তারপর নির্বাচন। মনিরা শারমিন বলেন, এ কারণে আমরা নির্বাচনের কোনো টাইম ফ্রেম বেধে দিতে চাই না।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা করে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তাই হবে। তিনি অনড় আছেন।’
ড. ইউনূসের ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে আসছে নির্বাচন কমিশনও। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই এগুচ্ছে তারা।
নির্বাচন কমিশন জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরেই প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন। সেই টার্গেটে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে নির্বাচনের তফসিল হবে রাজনৈতিক দল ও সরকারের মতামতের ওপর ভিত্তি করে।
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১৮ জুন) রাতে তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিএনপি বলছে, এনসিসি গঠন করা হলে তার ‘জবাবদিহিতা থাকবে না’ বলে এর কোনো প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে এটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান’ হয়ে গড়ে উঠবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গণফোরাম। বাসদ-সিপিবিও এ প্রস্তাবকে এখনই প্রয়োজনীয় মনে করছে না।
১ দিন আগেবৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
১ দিন আগেএই বিদ্রোহে যুক্ত হয়েছেন দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল ইসলাম চুন্নু, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আবদুস সাত্তার ও কাজী মামুনুর রশীদসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই। এদের কেউ কেউ দলে ‘রওশনপন্থি’ তথা রওশন এরশাদের অনুসারী বলে পরিচি
১ দিন আগে