
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের কাজ হলো ঐক্য সৃষ্টি করা, বিভক্তি তৈরি করা নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে, কমিশন জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এখানে দাবি পেশের কোনো বিষয় নেই। দীর্ঘ ১০-১১ মাস ধরে প্রথমে ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে এলডি হলে। সেই মতামতের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশন গঠিত হয়েছে, যার সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা। সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানদের সদস্য করা হয়েছে এবং সহসভাপতি করা হয়েছে প্রফেসর আলী রিয়াজকে।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে কোনো দাবি নিয়ে আলোচনা হয়নি। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে আমরা লিখিতভাবে জবাব দিয়েছিলাম। সেই জবাবের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর মতামত আহ্বান করা হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ তিন মাস ধরে ৩০ কার্যদিবসব্যাপী দ্বিতীয় দফার আলোচনা হয়, যা ৩১ জুলাই সমাপ্ত হয়।”
বিএনপির এই নেতা জানান, সেই আলোচনায় বিভিন্ন দল নোট অফ ডিসেন্ট দেয়। বিএনপিও কিছু ভিন্নমত দেয়, যা জুলাই জাতীয় সনদের ৮৪ দফায় উল্লেখ করা হয়েছে। “প্রত্যেক প্রস্তাবের বিপরীতে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমত্য এবং নোট অফ ডিসেন্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
একই প্রসঙ্গে তিনি ৭০ অনুচ্ছেদের নোট অফ ডিসেন্ট তুলে ধরে বলেন, “আমরা বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব রাখে এবং জনগণের ম্যান্ডেট পায়, তাহলে তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি বা জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়েও এমপিরা দলের পক্ষেই ভোট দেবেন।”
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, “জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই ভিন্নমতগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাদের নিজস্ব প্রস্তাব রেখে ৪৮ দফার একটি তফসিল তৈরি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই দফাগুলোর ওপর গণভোট হবে। অথচ কারা কী মত দিয়েছে, কীভাবে ঐকমত্য হয়েছে—সেগুলো উল্লেখ করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “বিল তো সংসদের এখতিয়ার। সংসদে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড রিডিং শেষে জনমত যাচাই ও স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পরই কোনো বিল আইনে পরিণত হয়। এখন যদি বলা হয় সংবিধান সংস্কার পরিষদের বিবেচনার জন্য বিল উপস্থাপন করা হবে—এমন ধারণা আমরা আগে কখনো শুনিনি।”
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রশ্ন তোলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ নামে কোনো সংস্থা গঠনের এখতিয়ার কে দিয়েছে? নির্বাচন কমিশনের তো সংবিধান অনুযায়ী শুধু জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা আছে। তাহলে এই প্রস্তাব হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো?”
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল জাতির ঐক্য সৃষ্টি, অনৈক্য নয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তারা বিভাজন সৃষ্টি করছে। এটা তাদের কাজ নয়।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমরা আশা করি সংবিধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুসারে, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের গৃহীত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়িত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই সেটি আইনি রূপ পাবে এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা সরকার, ঐক্যমঞ্চ কমিশন এবং সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের কাজ হলো ঐক্য সৃষ্টি করা, বিভক্তি তৈরি করা নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে, কমিশন জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এখানে দাবি পেশের কোনো বিষয় নেই। দীর্ঘ ১০-১১ মাস ধরে প্রথমে ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে এলডি হলে। সেই মতামতের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশন গঠিত হয়েছে, যার সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা। সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানদের সদস্য করা হয়েছে এবং সহসভাপতি করা হয়েছে প্রফেসর আলী রিয়াজকে।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে কোনো দাবি নিয়ে আলোচনা হয়নি। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে আমরা লিখিতভাবে জবাব দিয়েছিলাম। সেই জবাবের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর মতামত আহ্বান করা হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ তিন মাস ধরে ৩০ কার্যদিবসব্যাপী দ্বিতীয় দফার আলোচনা হয়, যা ৩১ জুলাই সমাপ্ত হয়।”
বিএনপির এই নেতা জানান, সেই আলোচনায় বিভিন্ন দল নোট অফ ডিসেন্ট দেয়। বিএনপিও কিছু ভিন্নমত দেয়, যা জুলাই জাতীয় সনদের ৮৪ দফায় উল্লেখ করা হয়েছে। “প্রত্যেক প্রস্তাবের বিপরীতে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমত্য এবং নোট অফ ডিসেন্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
একই প্রসঙ্গে তিনি ৭০ অনুচ্ছেদের নোট অফ ডিসেন্ট তুলে ধরে বলেন, “আমরা বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব রাখে এবং জনগণের ম্যান্ডেট পায়, তাহলে তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি বা জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়েও এমপিরা দলের পক্ষেই ভোট দেবেন।”
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, “জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই ভিন্নমতগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাদের নিজস্ব প্রস্তাব রেখে ৪৮ দফার একটি তফসিল তৈরি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই দফাগুলোর ওপর গণভোট হবে। অথচ কারা কী মত দিয়েছে, কীভাবে ঐকমত্য হয়েছে—সেগুলো উল্লেখ করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “বিল তো সংসদের এখতিয়ার। সংসদে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড রিডিং শেষে জনমত যাচাই ও স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পরই কোনো বিল আইনে পরিণত হয়। এখন যদি বলা হয় সংবিধান সংস্কার পরিষদের বিবেচনার জন্য বিল উপস্থাপন করা হবে—এমন ধারণা আমরা আগে কখনো শুনিনি।”
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রশ্ন তোলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ নামে কোনো সংস্থা গঠনের এখতিয়ার কে দিয়েছে? নির্বাচন কমিশনের তো সংবিধান অনুযায়ী শুধু জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা আছে। তাহলে এই প্রস্তাব হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো?”
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যমঞ্চ কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল জাতির ঐক্য সৃষ্টি, অনৈক্য নয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তারা বিভাজন সৃষ্টি করছে। এটা তাদের কাজ নয়।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমরা আশা করি সংবিধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুসারে, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের গৃহীত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়িত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই সেটি আইনি রূপ পাবে এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা সরকার, ঐক্যমঞ্চ কমিশন এবং সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধি দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সাথে। কিন্তু এখন খুনীকে ধরতে পারে না। ডিপস্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। ৭১ সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিলো, এখনও চলছে। কাল উৎসব নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করবো।’
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না; তাদের যেহেতু আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলেদেশেও ভারতের সেপারেটিস্টদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।’
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক-আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভু
১২ ঘণ্টা আগে