ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে, বিকল্প নেই: সালাহউদ্দিন

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪৭
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বলেছেন, এর কোনো বিকল্প নেই, জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘জরুরি বৈঠকে’ তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে কমিশনপ্রধান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত আছেন।

ঐকমত্য কমিশনের এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আপনার প্রতি আমাদের সমর্থন সীমাহীন নয়, এর সীমারেখা আছে। আপনার প্রতি আমাদের সমর্থন কন্ডিশনাল, আপনি এটা উপলব্ধি করুন।

প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন বিএনপির এ সিনিয়র নেতা। বলেন, আমরা চাই, আপনার সঙ্গে প্রতিরক্ষার বাহিনীর সম্পর্কের অবনতি না হোক, রাষ্ট্রের ব্যালান্স রাখতে হবে। আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাই না, আমরা এটা মোকাবিলা কর‍তে পারব না।

এর আগে কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

ঐকমত্য কমিশন জানায়, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ সই করবে রাজনৈতিক দলগুলো। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার প্রস্তুতি হিসেবেই আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল ঐকমত্য কমিশন।

এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে এটি বাস্তবায়নের কোনো রূপরেখা না থাকায় এই সনদে সই করবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কিছু রাজনৈতিক দল। এরই প্রেক্ষাপটে সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে সনদে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তাতে কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ও দলগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত সুপারিশ দেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন।

প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে দুই পর্বের আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জুলাই সনদের নোট অব ডিসেন্ট ও গণভোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট নয়: আখতার

সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আখতার হোসেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে, সেটি পরিষ্কার হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টের একটি সংজ্ঞা প্রয়োজন এবং যেভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেই পথনকশা এবং গণভোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

৬ ঘণ্টা আগে

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রিজভী

এদিকে, একই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণসংযোগের মাধ্যমে বলেন, আর বিভাজন করবেন না, আর কোনো দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট, পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দিন, দেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি ভোট হতে দিন।

৬ ঘণ্টা আগে

‘অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ উপযুক্ত বিবেচিত হতো’

জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান অবক্ষয় থেকে রক্ষাকবচ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়। সে কারনে প্রয়োজন সরকার পরিবর্তন। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও সে সরকারের অধীনে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশ গ্রহনমূলক

৮ ঘণ্টা আগে

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি হলে 'কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ' হতে পারে: রিজভী

'জুলাই সনদে' উল্লিখিত গণভোট প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, "এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়, নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে।" তিনি রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা বিবেচনা করে বলেন, গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, এতে সংকট তৈরি হব

১০ ঘণ্টা আগে