
বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম

বৈঠকে বসতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিন দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জরুরি এ বৈঠকেই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। পরে সংবাদ সম্মেলনে সে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হতে পারে।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে গণভোট। রাজনৈতিক দলগুলো এ গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হলেও এর দিনক্ষণসহ কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যে চূড়ান্ত রূপ পাওয়া জুলাই সনদে সংস্কারের জন্য রয়েছে ৮৪টি প্তস্তাব৷ এর মধ্যে ৩৬টি সংস্কার প্রস্তাব সরকারি দাপ্তরিক আদেশ বা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। এসব প্রস্তাব সরাসরি এ ধরনের আদেশের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে সম্মতি রয়েছে সব দলের।
জুলাই সনদে থাকা বাকি ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধনী। রাজনৈতিক দলসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ করেছে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার প্রথমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। এরপর সেই আদেশের বলে আয়োজন করা হবে গণভোট। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ সম্মত কি না, সেটিই উঠে আসবে গণভোটে।
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, গণভোটে 'হ্যাঁ' রায় তথা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে রায় এলে তৃতীয় ধাপে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে। কনস্টিটিউয়েন্সি পাওয়ার তথা গাঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সেই পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
জুলাই সনদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৫টি রাজনৈতিক দল এতে সই করে। শুরু থেকেই জুলাই সনদ প্রক্রিয়ায় সরব জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বামপন্থি আরও চার দল। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়।
রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনে সম্মত হলেও এর দিন-তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই গণভোটের তারিখ সরকারকে নির্ধারণ করতে বলেছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সরকারঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো চলতি নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে অনড়। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখাতেও গণভোট আয়োজনের সুপারিশ রেখেছে। তবে গণভোট আয়োজনের তারিখ সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এনসিপির অবশ্য গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ নেই।
এদিকে গণভোটে যাওয়া জুলাই সনদের সংবিধান সংশোধনীবিষয়ক প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি উঠেছে। বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, জুলাই সনদের যে চূড়ান্ত রূপে তারা সই করছে, ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাবিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় সেটির প্রতিফলন হয়নি। কিছু প্রস্তাব পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটিও কখনো ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় আসেনি বলে অভিযোগ বিএনপিসহ কয়েকটি দলের। এমনকি জুলাই সনদের প্রস্তাবে দলগুলো যেসব 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে সেগুলোও ওই বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠক থেকেই গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৈঠকে বসতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিন দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জরুরি এ বৈঠকেই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। পরে সংবাদ সম্মেলনে সে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হতে পারে।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে গণভোট। রাজনৈতিক দলগুলো এ গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হলেও এর দিনক্ষণসহ কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যে চূড়ান্ত রূপ পাওয়া জুলাই সনদে সংস্কারের জন্য রয়েছে ৮৪টি প্তস্তাব৷ এর মধ্যে ৩৬টি সংস্কার প্রস্তাব সরকারি দাপ্তরিক আদেশ বা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। এসব প্রস্তাব সরাসরি এ ধরনের আদেশের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে সম্মতি রয়েছে সব দলের।
জুলাই সনদে থাকা বাকি ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধনী। রাজনৈতিক দলসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ করেছে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার প্রথমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। এরপর সেই আদেশের বলে আয়োজন করা হবে গণভোট। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ সম্মত কি না, সেটিই উঠে আসবে গণভোটে।
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, গণভোটে 'হ্যাঁ' রায় তথা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে রায় এলে তৃতীয় ধাপে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে। কনস্টিটিউয়েন্সি পাওয়ার তথা গাঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সেই পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
জুলাই সনদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৫টি রাজনৈতিক দল এতে সই করে। শুরু থেকেই জুলাই সনদ প্রক্রিয়ায় সরব জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বামপন্থি আরও চার দল। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়।
রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনে সম্মত হলেও এর দিন-তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই গণভোটের তারিখ সরকারকে নির্ধারণ করতে বলেছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সরকারঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো চলতি নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে অনড়। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখাতেও গণভোট আয়োজনের সুপারিশ রেখেছে। তবে গণভোট আয়োজনের তারিখ সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এনসিপির অবশ্য গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ নেই।
এদিকে গণভোটে যাওয়া জুলাই সনদের সংবিধান সংশোধনীবিষয়ক প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি উঠেছে। বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, জুলাই সনদের যে চূড়ান্ত রূপে তারা সই করছে, ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাবিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় সেটির প্রতিফলন হয়নি। কিছু প্রস্তাব পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটিও কখনো ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় আসেনি বলে অভিযোগ বিএনপিসহ কয়েকটি দলের। এমনকি জুলাই সনদের প্রস্তাবে দলগুলো যেসব 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে সেগুলোও ওই বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠক থেকেই গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর সালাহউদ্দিন আহমদ প্রার্থী হননি। সেবার প্রার্থী হন তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ। তিনিও আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপিকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে নিজ এলাকায় যেতে পারেননি এসএম জিলানী। এবার তিনি নির্বাচনে লড়বেন এই আসনে।
৭ ঘণ্টা আগে
ঠাকুরগাঁও-১ আসনটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসন থেকে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ওই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হননি।
৭ ঘণ্টা আগে