
চট্টগ্রাম ব্যুরো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরীর একাংশ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
একই দিনে ‘জুলাইযোদ্ধা’ এক ছাত্রদল নেতা জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক মামলার আসামি জাতীয় পার্টির এই নেতাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ উল্লেখ করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে গ্রেফতারের জন্য চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আলাদা আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক। এতে তিনি আনিসুলের বিরুদ্ধে জেলার হাটহাজারী থানায় দু’টি এবং নগরীর কোতোয়ালি ও ডবলমুরিং থানায় দু’টিসহ মোট চারটি মামলার কথা উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
ওমর ফারুক জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই তিনি নগরীর মুরাদপুরে ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। একইদিন হামলায় তার সহযোদ্ধা চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতা ওয়াসিম আকরাম নিহত হন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ এবং আহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও গণহত্যায় জড়িত আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মতো চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। এরই মধ্যে অনেকে স্বৈরাচারের দোসর সন্ত্রাসীদের হামলায় হতাহত হয়েছেন। একজন জুলাইযোদ্ধা হিসেবে আমি এটা মেনে নিতে পারি না।’
এ ছাড়া আনিসুলকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যাবেন জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার দাবি হচ্ছে, আগে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার হতে হবে। তারপর তারা রাজনীতিতে থাকবেন বা নির্বাচন করতে পারবেন কী না সেটা তখনকার বিষয়। কিন্তু আগে বিচার হতে হবে।’
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরীর একাংশ) আসন থেকে কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মহাজোটের সংসদ সদস্য হিসেবে একবার তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মূলধারা থেকে বের হয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ কয়েকজন নেতা সম্প্রতি আলাদা দল গড়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টি এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি-জেপির নেতৃত্বে ২০টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামের একটি জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এনডিএফ’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ১২২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়, যাতে তিনি রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘এনডিএফ’র নাম উল্লেখ করেছেন।
এদিন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় মিলিয়ে মোট ৩১টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহকারীদের মধ্যে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী ফ্রন্ট, জাসদ, জাতীয় পার্টি, ইনসানয়িাত বিপ্লবসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরীর একাংশ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
একই দিনে ‘জুলাইযোদ্ধা’ এক ছাত্রদল নেতা জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক মামলার আসামি জাতীয় পার্টির এই নেতাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ উল্লেখ করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে গ্রেফতারের জন্য চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আলাদা আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক। এতে তিনি আনিসুলের বিরুদ্ধে জেলার হাটহাজারী থানায় দু’টি এবং নগরীর কোতোয়ালি ও ডবলমুরিং থানায় দু’টিসহ মোট চারটি মামলার কথা উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
ওমর ফারুক জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই তিনি নগরীর মুরাদপুরে ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। একইদিন হামলায় তার সহযোদ্ধা চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতা ওয়াসিম আকরাম নিহত হন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ এবং আহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও গণহত্যায় জড়িত আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মতো চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। এরই মধ্যে অনেকে স্বৈরাচারের দোসর সন্ত্রাসীদের হামলায় হতাহত হয়েছেন। একজন জুলাইযোদ্ধা হিসেবে আমি এটা মেনে নিতে পারি না।’
এ ছাড়া আনিসুলকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যাবেন জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার দাবি হচ্ছে, আগে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার হতে হবে। তারপর তারা রাজনীতিতে থাকবেন বা নির্বাচন করতে পারবেন কী না সেটা তখনকার বিষয়। কিন্তু আগে বিচার হতে হবে।’
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরীর একাংশ) আসন থেকে কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মহাজোটের সংসদ সদস্য হিসেবে একবার তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মূলধারা থেকে বের হয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ কয়েকজন নেতা সম্প্রতি আলাদা দল গড়েছেন। গত ৮ ডিসেম্বর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টি এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি-জেপির নেতৃত্বে ২০টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামের একটি জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এনডিএফ’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ১২২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়, যাতে তিনি রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘এনডিএফ’র নাম উল্লেখ করেছেন।
এদিন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় মিলিয়ে মোট ৩১টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহকারীদের মধ্যে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী ফ্রন্ট, জাসদ, জাতীয় পার্টি, ইনসানয়িাত বিপ্লবসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আছেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সুখচর ইউনিয়নের জাগল্লার চরে এ ঘটনা ঘটে।
১২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলাটিতে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
২০ ঘণ্টা আগে
হাসনাত বলেন, যখন আমি বলেছিলাম যে কুমিল্লার অনেক আসনে বিএনপির রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগের টাকায় চলে, তখন যারা আমার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল বের করেছিলেন, আজ তাদের হাতেই শহিদ জিয়ার রাজনীতির জানাজা হচ্ছে।
১ দিন আগে
দলের মনোনয়নের তালিকায় নাম না থাকায় স্বতন্ত্র হিসেবে তিন আসনে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের খবর জেলায় ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে। ‘সিলভার সেলিম’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ভোটের হিসাব কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কোনো কোনো আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ‘সুবিধা’ পেতে পারেন বলেও মনে করছেন ভোটারদের
১ দিন আগে