কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার\n
গত সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে কুয়েট শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন। ৩২ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলেও এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। দুজন বাড়ি চলে গেছেন। বাকিরা এখনো অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনশন করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলেও তারা উপাচার্য পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না। শিক্ষার্থীদের এক কথা, ‘প্রয়োজন হলে মরে যাব, কিন্তু অনশন ছাড়ব না।’
শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান থেকে টলাতে পারেননি শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারও। বুধবার সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তবে তাতে কাজ হয়নি।
পরে শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি— তোমরা তো অনশন ভাঙতে চাচ্ছ না। তবে তোমাদের মধ্যে যারা অনেক অসুস্থ হয়ে গেছ, তাদের আন্দোলন তো অন্যরা অব্যাহত রাখবে, তাই তোমরা অল্প একটু পানি খাও, নিজেদের সুস্থ করে তোলো। তখন তারা বলল, না, তারা এটা করবে না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার দিক থেকে পিতা হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে যতটুকু বলার বলেছি। আমি খুশি হতাম— যদি তারা আমার কথা মেনে নিত। আবার এটাও বুঝি, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তারা যা করছে তা তাদের অধিকার।’
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের কমিটিও সকাল থেকে কুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন সারা দেশের অন্য শিক্ষার্থীরাও। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ-অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকায় শাহবাগ মোড় অবরোধও করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।