top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

১ মাস ধরে কারাগারের ছাদ ছিদ্র করেন ৪ আসামি

১ মাস ধরে কারাগারের ছাদ ছিদ্র করেন ৪ আসামি
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ছিদ্র করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে। ওই চার আসামি একটি সেলে গাদাগাদি করে ছিলেন। প্রায় এক মাস ধেরে তারা ওই ছাদ ফুটো করেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ১৪১ বছরের প্রাচীন বগুড়া জেলা কারাগার চুন-সুরকির গাঁথুনি দিয়ে নির্মিত। ছাদের নিচে লোহার বিম দেওয়া থাকলেও ভেতরে কোনো রড নেই। এতে ছাদ দুর্বল হয়ে গেছে। এ সুযোগে কনডেম সেলে থাকা চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি পরিকল্পনা করে বালতির লোহার হাতল দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে ছাদের কর্নারের একটি অংশ ছিদ্র করে।

পুলিশ বলছে, কারাগারের সব সিসিটিভি ক্যামেরা সচল নেই। ৭০০ বন্দী ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে তিন গুণের বেশি ২ হাজার ২০০ বন্দী আছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ওই চার আসামি একটি সেলে গাদাগাদি করে ছিলেন। ওই সেলের ভেতরে কারারক্ষী যাওয়ার সুযোগ ছিল না। কারাকক্ষের যে জায়গায় ছাদে ফুটোটি করা হয়েছে, সেটি ভেতরে না ঢুকলে বোঝার উপায় নেই।

কারাগারের পূর্ব-উত্তর কোণে তিনটি কনডেম সেল রয়েছে। সেখানে ১৩ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে রাখা হয়েছে। জাফলং ভবনের কনডেম সেলে ছিল এই চারজন। এরা সেলের ছাদ দুর্বল জেনে ছিদ্র করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। প্রায় এক মাস আগে সেলের বাথরুমে থাকা বালতির লোহার হাতল খুলে সোজা করে। এরপর পুরোনো কাপড় ও বিছানার চাদর পেঁচিয়ে রশির মতো করে নেয়। এসব রশি দেওয়ালে বেঁধে তারা ছাদ স্পর্শ করতে পারে। এরপর ওই লোহার হাতল দিয়ে প্রতিদিন একটু একটু করে ছিদ্র করতে থাকেন। সম্প্রতি ছিদ্রটি বড় হয়ে সেদিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার রাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে চার কয়েদি একে একে ওই ছিদ্র পথে কনডেম সেলের ছাদে আসেন। এরপর তারা হামাগুড়ি দিয়ে গ্রিলের বেষ্টনী পার হন। পরে ওই কাপড় ও চাদর দিয়ে তৈরি রশি বেয়ে জেলচত্বরে নামেন। এরপর পাশে করতোয়া নদী পেরিয়ে কাছেই চাষি বাজারে গিয়ে সমবেত হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোর ৪.১০ মিনিটের দিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

r1 ad
r1 ad