জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথাও বলছেন\n
এ দিন তামিম হার্ট অ্যাটাক করার পর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে আর ঢাকা নেওয়া যায়নি। দ্রুত নেওয়া হয় বিকেএসপির পাশেই অবস্থিত কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। সেখানে সিপিআর ও ডিসি শক দেওয়ার পর এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে ‘রিং’ (স্টেন্ট) পরানো হয়েছে তামিমকে।
বর্তমানে ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন তামিম। বিকেলে জ্ঞান ফিরে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হ তামিমকে।
রাতে সাকিব ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ আমার জন্য বিশেষ দিন। কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই। কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে। আর সবসময় চাইব, আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।
তামিম দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন— এমন কামনা করে সাকিব লিখেছেন, তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। তোমার দ্রুত সুস্থতা ও মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশাআল্লাহ, তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
সবার কাছে তামিমের জন্য দোয়া চেয়ে সাকিব আরও লিখেছেন, তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। দোয়া করবেন— আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে!
সাকিব ও তামিমের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা তাদের খেলোয়াড়ি জীবনের একদম শুরুতে, বিকেএসপির সময় থেকে। প্রায় একই সময়ে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক দুজনেরই। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা ছিল সর্বজনবিদিত।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে প্রায় বছর দুয়েক ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে বিশ্বকাপের মাস ছয়েক আগে হঠাৎ করেই ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি। পরে অবসর ভাঙার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলের স্থান হয়নি তার। এর মধ্যে সাকিবকে দেওয়া হয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব। এই সময়টায় তাদের দুজনের মধ্যেকার সম্পর্কে ফাটল দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
বিশ্বকাপের আগে সাকিব ও তামিম পালটাপালটি ভিডিও, লাইভ ও সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে যথেষ্ট খোলামেলা কথা বলেন। পালটাপালটি দোষারোপও প্রকাশ্য হয়ে পড়ে।