
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের গণভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনের জন্য জনগণের ভোটাধিকার দেশের মালিকানার স্বাক্ষর। সবাইকে তাই ভোট দেওয়ার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে দেশের অগযাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ উদ্বেগের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। ভাষণের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার জন্য যুগ যুগ ধরে লড়াই-সংগ্রামে আত্মত্যাগ করা বীর যোদ্ধা ও শহিদদের স্মরণ করেন তিনি।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।
এই নির্বাচন সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সর্বোপরি সুষ্ঠু হোক— এমন আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
জনগণের মূল্যবান ভোট রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখলেই হবে না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সেই মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।’
‘এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। আমি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান জানাচ্ছি— আপনারা একে অন্যকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যেন দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন,’— বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভোট দিতে বাধা পেলে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বানও জানান প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর। ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা দিলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।’
জুলাই জাতীয় সনদকে জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রার ঐতিহাসিক দলিল অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়। এ কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি, যেন দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কারদিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।’
ভোট দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট, যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী। কাজেই অঅবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। এর মাধ্যমে জানিয়ে দিন— আপনারা জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের গণভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনের জন্য জনগণের ভোটাধিকার দেশের মালিকানার স্বাক্ষর। সবাইকে তাই ভোট দেওয়ার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে দেশের অগযাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ উদ্বেগের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। ভাষণের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার জন্য যুগ যুগ ধরে লড়াই-সংগ্রামে আত্মত্যাগ করা বীর যোদ্ধা ও শহিদদের স্মরণ করেন তিনি।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।
এই নির্বাচন সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সর্বোপরি সুষ্ঠু হোক— এমন আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
জনগণের মূল্যবান ভোট রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখলেই হবে না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সেই মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।’
‘এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। আমি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান জানাচ্ছি— আপনারা একে অন্যকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যেন দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন,’— বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভোট দিতে বাধা পেলে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বানও জানান প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর। ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা দিলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।’
জুলাই জাতীয় সনদকে জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রার ঐতিহাসিক দলিল অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়। এ কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি, যেন দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কারদিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।’
ভোট দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট, যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী। কাজেই অঅবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। এর মাধ্যমে জানিয়ে দিন— আপনারা জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীকে জড়িয়ে ভারতের ট্রলার ডুবি নিয়ে প্রচারিত তথ্য ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও ভুল বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। এ ধরনের ভুল অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে আইএসপিআর অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে এ কুশপুতুল দাহ করা হয়। এ ছাড়া পদদলিত করার জন্য মধুর ক্যান্টিনের পাশে নরেন্দ্র মোদির ছবি সংবলিত একটি স্টিকার টানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত কয়েক বছরের ইতিহাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এত বড় ও জটিল কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়া একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
৮ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তিতে নতুন করে জাতীয় জীবনে সবাইকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৯ ঘণ্টা আগে