দেশের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ কারা, তারা কী সুবিধা পান

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৯
অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি: রাজনীতি ডটকম

বাংলাদেশে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিভিআইপি মর্যাদা সবসময়ই বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

কিন্তু এই মর্যাদা আসলে কী, কাদের দেওয়া হয়, কীভাবে দেওয়া হয় এবং এর সঙ্গে কী ধরনের বিশেষাধিকার যুক্ত থাকে— তা অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়।

কারা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি

রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যারা রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে আসীন অথবা যাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থানকে নিরাপত্তার দৃষ্টিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল মনে করা হয়, তারা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মতো উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা পদাধিকারবলেই ভিভিআইপি মর্যাদা বহন করেন। তাদের আলাদা করে ভিভিআইপি ঘোষণার প্রয়োজন পড়ে না।

তাদের পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানরাও এ মর্যাদার আওতাভুক্ত হন। এর বাইরেও সরকার যখন প্রয়োজন মনে করে, তখন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও ব্যক্তিকে এই তালিকায় যুক্ত করতে পারে।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১-এর ২ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে একই ধরনের ব্যক্তি বলে ঘোষিত অন্য কোনো ব্যক্তিও এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।

কীভাবে ঘোষণা করা হয়

এই ঘোষণা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) থেকে আসে। গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি হলেই সেই ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার এক বিশেষ স্তরের আওতায় চলে আসেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও সেই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। তবে পদাধিকার বলের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেটা আলাদা করে প্রয়োজন হয় না।

কী সুবিধা পান তারা

এ মর্যাদার মূল সুরক্ষা প্রদান করে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১ অনুযায়ী, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বিধান করা এসএসএফের দায়িত্ব।

আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, শুধু শারীরিক নিরাপত্তাই নয়, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চলাফেরা, অবস্থান, বাসস্থান, গণসমাগমে অংশগ্রহণ— সবকিছু ঘিরে সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা, তথ্য সংগ্রহ, তা বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এসএসএফের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কারও চলাচলের সময় রাস্তা খালি করা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থলে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা— এসএসএফের তৎপরতা সর্বত্র বিস্তৃত থাকে।

অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য কাউকে ক্ষতিকর মনে হলে এসএসএফ তাকে বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেপ্তারও করতে পারে এবং বিধান দেশের যেকোনো স্থানে প্রযোজ্য। এমনকি পরিস্থিতি নিরাপত্তার চরম ঝুঁকিতে পৌঁছালে অস্ত্র ব্যবহারেরও অনুমতি রয়েছে, প্রয়োজনে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ পর্যন্ত আইনসম্মত।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে এসএসএফ

এর আগে গতকাল সোমবার বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে তার নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

৩ ঘণ্টা আগে

বিশ্ব রেকর্ড গড়া তামিমের ব্যাটে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ফিল্ডিংয়ে পাঁচ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া তামিম এদিন ব্যাট হাতেও খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস। পূর্ণ সদস্যের দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ম্যাচে পাঁচ ক্যাচ ধরা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। ৩৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই টাইগার ওপেনার। ২৬ বলে ৩৩ রান করেন ইমন। লিটনের ব্যাট থেকে আসে কেবল ৭ রান। ১৯

৩ ঘণ্টা আগে

দেশে কারো নিরাপত্তার শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। যার যে স্ট্যাটাস অনুযায়ী নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেই ব্যবস্থা দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার নিরাপত্তায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

৪ ঘণ্টা আগে

সেনাবাহিনীই পারে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে: ড. ইফতেখারুজ্জামান

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা দেখতে চাই, সেনাবাহিনী চেষ্টা করে দেখাক যে, পার্বত্য অঞ্চলে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। যে বিভাজন ও শাসন চলমান রয়েছে, সেটা থেকে সরে এসে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকারের অঙ্গীকার এবং ফ্যাক্ট বা ঘটনাভিত্তিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে যদি তারা উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে সেনাবাহিনীর

৫ ঘণ্টা আগে