
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

মাথায় গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বুধবার ওসমান হাদিকে দেখতে যান হাসপাতালে। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন। এ সময় হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে কথোপকথনের পর প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওসমান হাদি পরিচিতির আলোয় আসেন মূলত জুলাই আন্দোলনের সময়। ওই সময় তিনি গড়ে তোলেন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চ, যার লক্ষ্য— ‘সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ’।
শাহবাগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের স্বীকৃতির দাবিতে সমাবেশের মাধ্যমে ইনকিলাব মঞ্চের যাত্রা শুরু হয়। হাদি পরে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে। এই কমিটির বেশির ভাগ নেতা পরে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেও হাদি ইনকিলাব মঞ্চেই থেকে যান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ যখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে, ওসমান হাদি আবারও আলোচনায় উঠে আসেন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। নিজের সংগঠন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় সে ব্যানারে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না তার। তাই ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচন সামনে রেখে জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাদি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার রাতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
পরে গত সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

মাথায় গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বুধবার ওসমান হাদিকে দেখতে যান হাসপাতালে। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন। এ সময় হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে কথোপকথনের পর প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওসমান হাদি পরিচিতির আলোয় আসেন মূলত জুলাই আন্দোলনের সময়। ওই সময় তিনি গড়ে তোলেন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চ, যার লক্ষ্য— ‘সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ’।
শাহবাগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের স্বীকৃতির দাবিতে সমাবেশের মাধ্যমে ইনকিলাব মঞ্চের যাত্রা শুরু হয়। হাদি পরে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে। এই কমিটির বেশির ভাগ নেতা পরে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেও হাদি ইনকিলাব মঞ্চেই থেকে যান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ যখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে, ওসমান হাদি আবারও আলোচনায় উঠে আসেন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। নিজের সংগঠন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় সে ব্যানারে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না তার। তাই ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচন সামনে রেখে জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাদি। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার রাতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
পরে গত সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

এর কিছুক্ষণ পরই শাহবাগ মোড়ের দিকে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।
৫ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহিদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে